ময়মনসিংহ , সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
‘ভোট দিলে জান্নাতে যাবে’, জামায়াত নেতাদের এই প্রচারণা ইসলামসম্মত নয় বললেন হারুনুর রশীদ ঢাকা ও আইডিয়াল কলেজের মধ্যে ‘শান্তি চুক্তি’ ১৩ নভেম্বর থেকে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসবেদলে সাবেক মেয়র আইভীর হত্যাসহ ৫ মামলায় হাইকোর্টে জামিন ব্যারিস্টার সরোয়ার ট্রাইব্যুনালে আসামি সেনা কর্মকর্তার আইনজীবী হিসেবে লড়বেন না দুই ঈদের ছুটি ১১ দিন, দুর্গাপূজায় ২ দিন ২০২৬ সালে ষষ্ঠ দিনের অবস্থান কর্মসূচি রাজস্বখাতে অন্তর্ভুক্তি ও বকেয়া বেতনের দাবিতে প্রতিবন্ধী তরুণী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা নেত্রকোনায় ১৭টি মানিলন্ডারিং মামলার অভিযোগপত্র দাখিল শিগগিরই সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে পাকিস্তান হকি দল প্রধান কোচ ছাড়াই ঢাকায় আসলো
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

কার্বন-নিউট্রাল শিশু রুহাব বাংলাদেশের প্রথম

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে ‘কার্বন-নিউট্রাল শিশু’ হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার শিবপুর গ্রামের শিশু আয়ান খান রুহাব। মাত্র ৮ মাস বয়সেই এই বিশেষ স্বীকৃতি অর্জন করেছে রুহাব।

রুহাবের বাবা ইমরান রাব্বি, পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রীনম্যানের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং মা আয়শা আক্তার কিরণের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছেন। তাদের এই উদ্যোগের লক্ষ্য- শিশুর জন্মের মুহূর্ত থেকেই পৃথিবীর প্রতি দায়িত্ববোধ তৈরি করা।

চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি রুহাবের জন্ম। তার জীবনব্যাপী কার্বন নিঃসরণ অফসেট করতে সেপ্টেম্বর মাসে তারা সাতক্ষীরার শিবপুর গ্রামে ৫৮০টি ফলজ ও বনজ গাছ রোপণ করেছেন। রোপিত গাছের মধ্যে রয়েছে আম, জাম, কাঁঠাল, আমড়া, সুপারি ও নিম।

এই উদ্যোগের স্বীকৃতি দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ICCCAD)। সংস্থার গ্রান্টজয়ী প্রকল্প ঢাকা প্ল্যান্টারস-এর আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে রুহাবকে বাংলাদেশের প্রথম কার্বন-নিউট্রাল শিশু হিসেবে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।বাবা ইমরান রাব্বি বলেন, আমরা রুহাবের জন্য গাছ লাগিয়েছি, যেন সে বিশুদ্ধ বাতাস ও সবুজ পরিবেশে বড় হতে পারে। এটা তার ভবিষ্যৎ ও পৃথিবীর জন্য আমাদের ছোট্ট একটি উদ্যোগ মাত্র। সবাই রুহাবের জন্য দোয়া করবেন, যেন সে সুন্দর মনের মানুষ হয় এবং প্রকৃতির সঙ্গে বেড়ে ওঠে।

মা আয়শা আক্তার বলেন, আমাদের ছেলের জন্য গাছ লাগিয়েছি আমরা, কিন্তু তা সব শিশুদের জন্যই উপকারে আসবে। আপনি চাইলে আপনার পরিবারের নতুন সদস্য এলে কিছু গাছ লাগিয়ে ফেলতে পারেন, যা তার ভবিষ্যৎকে সুন্দর করবে।

পরিবেশ সচেতনতার এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ স্থানীয়ভাবে প্রশংসিত হওয়া ছাড়াও বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন ও জলবায়ু অভিযোজন প্রচেষ্টায় এক নতুন দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

‘ভোট দিলে জান্নাতে যাবে’, জামায়াত নেতাদের এই প্রচারণা ইসলামসম্মত নয় বললেন হারুনুর রশীদ

কার্বন-নিউট্রাল শিশু রুহাব বাংলাদেশের প্রথম

আপডেট সময় ১০:০০:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে ‘কার্বন-নিউট্রাল শিশু’ হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার শিবপুর গ্রামের শিশু আয়ান খান রুহাব। মাত্র ৮ মাস বয়সেই এই বিশেষ স্বীকৃতি অর্জন করেছে রুহাব।

রুহাবের বাবা ইমরান রাব্বি, পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রীনম্যানের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং মা আয়শা আক্তার কিরণের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছেন। তাদের এই উদ্যোগের লক্ষ্য- শিশুর জন্মের মুহূর্ত থেকেই পৃথিবীর প্রতি দায়িত্ববোধ তৈরি করা।

চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি রুহাবের জন্ম। তার জীবনব্যাপী কার্বন নিঃসরণ অফসেট করতে সেপ্টেম্বর মাসে তারা সাতক্ষীরার শিবপুর গ্রামে ৫৮০টি ফলজ ও বনজ গাছ রোপণ করেছেন। রোপিত গাছের মধ্যে রয়েছে আম, জাম, কাঁঠাল, আমড়া, সুপারি ও নিম।

এই উদ্যোগের স্বীকৃতি দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ICCCAD)। সংস্থার গ্রান্টজয়ী প্রকল্প ঢাকা প্ল্যান্টারস-এর আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে রুহাবকে বাংলাদেশের প্রথম কার্বন-নিউট্রাল শিশু হিসেবে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।বাবা ইমরান রাব্বি বলেন, আমরা রুহাবের জন্য গাছ লাগিয়েছি, যেন সে বিশুদ্ধ বাতাস ও সবুজ পরিবেশে বড় হতে পারে। এটা তার ভবিষ্যৎ ও পৃথিবীর জন্য আমাদের ছোট্ট একটি উদ্যোগ মাত্র। সবাই রুহাবের জন্য দোয়া করবেন, যেন সে সুন্দর মনের মানুষ হয় এবং প্রকৃতির সঙ্গে বেড়ে ওঠে।

মা আয়শা আক্তার বলেন, আমাদের ছেলের জন্য গাছ লাগিয়েছি আমরা, কিন্তু তা সব শিশুদের জন্যই উপকারে আসবে। আপনি চাইলে আপনার পরিবারের নতুন সদস্য এলে কিছু গাছ লাগিয়ে ফেলতে পারেন, যা তার ভবিষ্যৎকে সুন্দর করবে।

পরিবেশ সচেতনতার এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ স্থানীয়ভাবে প্রশংসিত হওয়া ছাড়াও বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন ও জলবায়ু অভিযোজন প্রচেষ্টায় এক নতুন দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।