ময়মনসিংহ , শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
নির্বাচনের জোয়ার বইছে, ফেব্রুয়ারিতেই ভোট বললেন প্রেস সচিব দুপক্ষের সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধসহ আহত ১৫ নরসিংদীতে নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে আমি রাজশাহীতে আসিনি বললেন আইন উপদেষ্টা নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে আসিনি বললেন আসিফ নজরুল ইসির গণবিজ্ঞপ্তি নতুন ১৬টি নির্বাচনি পর্যবেক্ষক সংস্থার বিষয়ে দাবি-আপত্তি চেয়ে কিছু ভুলের জন্য এনসিপিকে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জিল্লুর রহমান সব উপজেলায় সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম পাঠানোর নির্দেশ ইসির সভা রবিবার এনআইডি ও ভোটার তালিকা নিয়ে এনসিপি ক্ষমতায় গেলে ন্যায্য দাবি পূরণ করা হবে বললেন হান্নান মাসউদ ইসির গুরুত্বপূর্ণ সভা কাল এনআইডি ও ভোটার তালিকা নিয়ে
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

যুদ্ধবিরতিতেও ত্রাণ প্রবেশে ইসরায়েলি বাধা, ফিলিস্তিনিরা ক্ষুধায় কাতর

  • ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৯:০০:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি চলমান থাকলেও ত্রাণ প্রবেশে ইসরায়েলের অব্যাহত বিধিনিষেধের কারণে তীব্র খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে, যার ফলে ফিলিস্তিনিরা ক্ষুধা ও দুর্ভোগে কাতর হচ্ছেন।

জাতিসংঘ সতর্ক করে জানিয়েছে, সীমিত সীমান্ত খোলা থাকায় ত্রাণ সরবরাহে বড় বাধা তৈরি হয়েছে এবং বৈশ্বিক এই সংস্থাটি এখন সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ফিলিস্তিনিদের কাছে ত্রাণ পৌঁছানোর চেষ্টা করছে।

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) মুখপাত্র আবির ইতেফা মঙ্গলবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গত মাসে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ কিছুটা বাড়লেও সীমিতভাবে সীমান্ত খোলা থাকার কারণে ত্রাণের পরিমাণ এখনো ‘অত্যন্ত কম’।

তবে সংস্থাটি জানায়, যে পরিমাণ খাদ্য গাজায় প্রবেশ করছে তা যথেষ্ট নয়। বিশেষ করে উত্তর গাজায় পৌঁছানো এখনো কঠিন, যেখানে গত আগস্টেই বৈশ্বিক পর্যবেক্ষক সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি শনাক্ত করেছিল। ইতেফা আরও বলেন, ‘উত্তর গাজার প্রবেশপথ এখনো বন্ধ। ফলে আমাদের ত্রাণ কাফেলাগুলোকে দক্ষিণ দিকের দীর্ঘ ও ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তায় ঘুরে যেতে হচ্ছে। কার্যকর ত্রাণ বিতরণের জন্য সীমান্ত পারাপারের সব পয়েন্ট খোলা দরকার, বিশেষ করে উত্তর দিকেরগুলো।’

গাজার সরকারি তথ্য অফিস জানিয়েছে, ১০ থেকে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ৩ হাজার ২০৩টি বাণিজ্যিক ও ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে, অর্থাৎ গড়ে দিনে ১৪৫টি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে। যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী দৈনিক ৬০০টি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করার কথা। এর পাশাপাশি, যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হামলা চালানো অব্যাহত রেখেছে।

মঙ্গলবার গাজা সিটির তুফাহ এলাকায় ইসরায়েলি কোয়াডকপ্টার হামলায় একজন নিহত ও একজন আহত হন। উত্তর গাজার জাবালিয়ায়ও সেনাদের গুলিতে একজন নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে স্থানীয় হাসপাতাল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২৪০ জন নিহত ও ৬০৭ জন আহত হয়েছেন।

এদিকে, ইসরায়েলি সেনারা ‘ইয়েলো লাইন’-এ পিছু হটার পর সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি উত্তর গাজার বাড়িতে ফিরে গেছেন, কিন্তু অধিকাংশই ফিরে দেখেছেন, তাদের ঘরবাড়ি ও আশপাশের এলাকা মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচনের জোয়ার বইছে, ফেব্রুয়ারিতেই ভোট বললেন প্রেস সচিব

যুদ্ধবিরতিতেও ত্রাণ প্রবেশে ইসরায়েলি বাধা, ফিলিস্তিনিরা ক্ষুধায় কাতর

আপডেট সময় ০৯:০০:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫

ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি চলমান থাকলেও ত্রাণ প্রবেশে ইসরায়েলের অব্যাহত বিধিনিষেধের কারণে তীব্র খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে, যার ফলে ফিলিস্তিনিরা ক্ষুধা ও দুর্ভোগে কাতর হচ্ছেন।

জাতিসংঘ সতর্ক করে জানিয়েছে, সীমিত সীমান্ত খোলা থাকায় ত্রাণ সরবরাহে বড় বাধা তৈরি হয়েছে এবং বৈশ্বিক এই সংস্থাটি এখন সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ফিলিস্তিনিদের কাছে ত্রাণ পৌঁছানোর চেষ্টা করছে।

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) মুখপাত্র আবির ইতেফা মঙ্গলবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গত মাসে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ কিছুটা বাড়লেও সীমিতভাবে সীমান্ত খোলা থাকার কারণে ত্রাণের পরিমাণ এখনো ‘অত্যন্ত কম’।

তবে সংস্থাটি জানায়, যে পরিমাণ খাদ্য গাজায় প্রবেশ করছে তা যথেষ্ট নয়। বিশেষ করে উত্তর গাজায় পৌঁছানো এখনো কঠিন, যেখানে গত আগস্টেই বৈশ্বিক পর্যবেক্ষক সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি শনাক্ত করেছিল। ইতেফা আরও বলেন, ‘উত্তর গাজার প্রবেশপথ এখনো বন্ধ। ফলে আমাদের ত্রাণ কাফেলাগুলোকে দক্ষিণ দিকের দীর্ঘ ও ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তায় ঘুরে যেতে হচ্ছে। কার্যকর ত্রাণ বিতরণের জন্য সীমান্ত পারাপারের সব পয়েন্ট খোলা দরকার, বিশেষ করে উত্তর দিকেরগুলো।’

গাজার সরকারি তথ্য অফিস জানিয়েছে, ১০ থেকে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ৩ হাজার ২০৩টি বাণিজ্যিক ও ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে, অর্থাৎ গড়ে দিনে ১৪৫টি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে। যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী দৈনিক ৬০০টি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করার কথা। এর পাশাপাশি, যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হামলা চালানো অব্যাহত রেখেছে।

মঙ্গলবার গাজা সিটির তুফাহ এলাকায় ইসরায়েলি কোয়াডকপ্টার হামলায় একজন নিহত ও একজন আহত হন। উত্তর গাজার জাবালিয়ায়ও সেনাদের গুলিতে একজন নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে স্থানীয় হাসপাতাল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২৪০ জন নিহত ও ৬০৭ জন আহত হয়েছেন।

এদিকে, ইসরায়েলি সেনারা ‘ইয়েলো লাইন’-এ পিছু হটার পর সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি উত্তর গাজার বাড়িতে ফিরে গেছেন, কিন্তু অধিকাংশই ফিরে দেখেছেন, তাদের ঘরবাড়ি ও আশপাশের এলাকা মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।