ময়মনসিংহ , সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
শাহবাগ অবরোধ ৫ কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের অবৈধ আয়ে পরিচালিত রাজনীতি শক্তির প্রদর্শনকে উৎসাহিত করে বললেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা হাসপাতালে ভর্তি নচিকেতা কওমী মাদ্রাসার স্বীকৃত ডিগ্রিধারী নিকাহ রেজিস্ট্রার হতে পারবে বললেন আসিফ নজরুল ‘কাজী হতে পারবেন কওমীর স্বীকৃত ডিগ্রিধারীরাও’- ড. আসিফ নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনে ভালো করতে না পারার কারণ জানালেন ফখরুল গুম করে আয়নাঘরে নির্যাতন:তিন সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে হাজির ১১৪ জুলাই শহিদের মরদেহ উত্তোলন করছে সিআইডি রায়েরবাজার থেকে জেঁকে বসেছে শীত তেঁতুলিয়ায় , তাপমাত্রা ১১.১ সালমান-আনিসুলকে ট্রাইব্যুনালে আনা হলো
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

রাশেদ খানের বিস্ফারক মন্তব্য জামায়াত-শিবিরকে নিয়ে !

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৫৭:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫০ বার পড়া হয়েছে

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান দাবি করেছেন যে, জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কৌশলের কারণে দেশের মধ্যপন্থি রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে, অন্য রাজনৈতিক দলে নিজেদের কর্মী যুক্ত করার নীতির কারণে গণঅধিকার পরিষদ এবং ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের টাইমলাইনে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই দাবি করেন।

রাশেদ খান তাঁর পোস্টে লিখেছেন, “জামায়াত এবং শিবিরের অন্য দলে নিজেদের কর্মী যুক্ত করার রাজনীতির নীতি বন্ধ করতে হবে। সাম্প্রতিককালে এ নীতির কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপি।”

জামায়াত-শিবিরের উদ্দেশে রাশেদ খান কঠোর বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, যদি তারা বাংলাদেশে মধ্যপন্থি ধারার রাজনীতিতে প্রবেশ করতে চায়, তবে সেটাকে সাধুবাদ জানানো হবে। কিন্তু শর্ত হলো:

“তাদের পুরো রাজনীতির নীতি হতে হবে প্রকাশ্য নীতি। অন্য দলে যুক্ত হয়ে সেই দলে প্রভাব বিস্তারের রাজনীতি পুরোপুরি বন্ধ না করলে পুরো দেশের সিস্টেম কলাপস করবে এবং বিরাজনীতিকরণ সৃষ্টি হবে।”

তিনি সতর্ক করে দেন যে, দেশের রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হলে এতে জামায়াত-শিবিরও চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

রাশেদ খান ইসলামকে রাজনীতিতে হাজির করার ক্ষেত্রেও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর মতে, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে জামায়াত ও শিবিরের রাজনীতি মধ্যপন্থি ধারায় চলছে। এই ধারার সঙ্গে ইসলামকে যুক্ত করলে ইসলামিক দল সম্পর্কে সাধারণ মানুষ ভুল বার্তা পাবে।

তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “ইসলামিক রাজনীতি করলে পুরোপুরি সেটাই করা উচিত। আর মধ্যপন্থি রাজনীতি করলে সেটাই করা উচিত।” উপসংহারে তিনি মত দেন যে, “পলিটিক্যাল ইসলাম বলে কিছু নাই। ইসলাম কায়েম ও শরিয়াহ আইন প্রতিষ্ঠানের মাঝখানে কোনো কৌশল কাজ করে না। বরং এ কৌশলের কারণে আপনি বুঝে শুনে ইসলামকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছেন।”

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শাহবাগ অবরোধ ৫ কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের

রাশেদ খানের বিস্ফারক মন্তব্য জামায়াত-শিবিরকে নিয়ে !

আপডেট সময় ১১:৫৭:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান দাবি করেছেন যে, জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কৌশলের কারণে দেশের মধ্যপন্থি রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে, অন্য রাজনৈতিক দলে নিজেদের কর্মী যুক্ত করার নীতির কারণে গণঅধিকার পরিষদ এবং ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের টাইমলাইনে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই দাবি করেন।

রাশেদ খান তাঁর পোস্টে লিখেছেন, “জামায়াত এবং শিবিরের অন্য দলে নিজেদের কর্মী যুক্ত করার রাজনীতির নীতি বন্ধ করতে হবে। সাম্প্রতিককালে এ নীতির কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপি।”

জামায়াত-শিবিরের উদ্দেশে রাশেদ খান কঠোর বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, যদি তারা বাংলাদেশে মধ্যপন্থি ধারার রাজনীতিতে প্রবেশ করতে চায়, তবে সেটাকে সাধুবাদ জানানো হবে। কিন্তু শর্ত হলো:

“তাদের পুরো রাজনীতির নীতি হতে হবে প্রকাশ্য নীতি। অন্য দলে যুক্ত হয়ে সেই দলে প্রভাব বিস্তারের রাজনীতি পুরোপুরি বন্ধ না করলে পুরো দেশের সিস্টেম কলাপস করবে এবং বিরাজনীতিকরণ সৃষ্টি হবে।”

তিনি সতর্ক করে দেন যে, দেশের রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হলে এতে জামায়াত-শিবিরও চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

রাশেদ খান ইসলামকে রাজনীতিতে হাজির করার ক্ষেত্রেও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর মতে, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে জামায়াত ও শিবিরের রাজনীতি মধ্যপন্থি ধারায় চলছে। এই ধারার সঙ্গে ইসলামকে যুক্ত করলে ইসলামিক দল সম্পর্কে সাধারণ মানুষ ভুল বার্তা পাবে।

তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “ইসলামিক রাজনীতি করলে পুরোপুরি সেটাই করা উচিত। আর মধ্যপন্থি রাজনীতি করলে সেটাই করা উচিত।” উপসংহারে তিনি মত দেন যে, “পলিটিক্যাল ইসলাম বলে কিছু নাই। ইসলাম কায়েম ও শরিয়াহ আইন প্রতিষ্ঠানের মাঝখানে কোনো কৌশল কাজ করে না। বরং এ কৌশলের কারণে আপনি বুঝে শুনে ইসলামকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছেন।”