ময়মনসিংহ , বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

আগামী এক বছরে ৪০ হাজার কর্মী নেবে মালয়েশিয়া বললেন আসিফ নজরুল

  • ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:১৮:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
  • ১৬ বার পড়া হয়েছে

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, মালয়েশিয়া নিয়ে অতিরঞ্জিত ধারণা তৈরি হয়েছে। বাস্তবতা হলো, আগামী এক বছরে দেশটি বাংলাদেশ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৪০ হাজার কর্মী নেবে।

বুধবার (২ জুলাই) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাপানের শ্রমবাজার: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আসিফ নজরুল বলেন, “বর্তমানে বলা হচ্ছে মালয়েশিয়া ১০-১২ লাখ কর্মী নেবে, যা একেবারেই বাস্তবসম্মত নয়। আমি সেখান থেকে ঘুরে এসেছি। প্রকৃত পরিস্থিতি হলো, চাহিদা খুবই সীমিত।”

তিনি আরও বলেন, “আগের সরকার মালয়েশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে, যেখানে মালয়েশিয়া রিক্রুটিং এজেন্সির তালিকা দেবে আর বাংলাদেশ সেই অনুযায়ী পাঠাবে—এই দ্বিপক্ষীয় সমঝোতাই এখন সিন্ডিকেট নামে পরিচিত। নতুন করে দায়িত্ব নেওয়ার পর আমাদের বলা হচ্ছে, আর কোনো সিন্ডিকেট চলবে না। কিন্তু এই চুক্তি বাতিল করতে হলে মালয়েশিয়ার সঙ্গে নতুন সমঝোতায় যেতে হবে। সেটা তো চাপ দিয়ে করা যাবে না।”চুক্তির বাস্তবতা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, “আমার সামনে এখন দুটি বিকল্প—এক, মালয়েশিয়ার দেওয়া তালিকা মেনে নির্দিষ্ট সংখ্যক এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী পাঠানো; দুই, কর্মী পাঠানোই বন্ধ করে দেওয়া। কিন্তু সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পাঠালে আমাকে তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে। আর না পাঠালে ৩০-৪০ হাজার কর্মী বিদেশে কাজের সুযোগ হারাবে, যা ১-২ লাখ পরিবারের জন্য ক্ষতির কারণ হবে।”

জাপানের শ্রমবাজার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জাপানে কর্মীর চাহিদা আছে, কিন্তু আমাদের শ্রমিকদের দক্ষতার ঘাটতি রয়েছে। ভাষা শিক্ষার উদ্যোগ চলছে, কিন্তু দক্ষতা অর্জন হচ্ছে না। তাই এখন মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত চাহিদা অনুযায়ী শ্রমিক প্রস্তুত করা।”

তিনি জানান, “আমরা ‘জাপান সেল’ গঠন করেছি এবং একটি ডেডিকেটেড ওয়েবসাইট তৈরির কাজ চলছে। এই প্রক্রিয়ায় সরকারি হস্তক্ষেপ কমিয়ে দক্ষতা উন্নয়নের দিকে জোর দেওয়া হবে। এজন্য আমরা প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালানোর পরিকল্পনা করছি।”

নতুন উদ্যোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে পার্টনারশিপের চিন্তা করছি। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বর্তমানে প্রবাসীদের ঋণ দিচ্ছে, কিন্তু যারা স্টুডেন্ট ভিসায় যাচ্ছে তারা এখনও সেই সুবিধা পাচ্ছে না। ভবিষ্যতে তাদের জন্যও ঋণের ব্যবস্থা করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।”

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আগামী এক বছরে ৪০ হাজার কর্মী নেবে মালয়েশিয়া বললেন আসিফ নজরুল

আপডেট সময় ০৪:১৮:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, মালয়েশিয়া নিয়ে অতিরঞ্জিত ধারণা তৈরি হয়েছে। বাস্তবতা হলো, আগামী এক বছরে দেশটি বাংলাদেশ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৪০ হাজার কর্মী নেবে।

বুধবার (২ জুলাই) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাপানের শ্রমবাজার: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আসিফ নজরুল বলেন, “বর্তমানে বলা হচ্ছে মালয়েশিয়া ১০-১২ লাখ কর্মী নেবে, যা একেবারেই বাস্তবসম্মত নয়। আমি সেখান থেকে ঘুরে এসেছি। প্রকৃত পরিস্থিতি হলো, চাহিদা খুবই সীমিত।”

তিনি আরও বলেন, “আগের সরকার মালয়েশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে, যেখানে মালয়েশিয়া রিক্রুটিং এজেন্সির তালিকা দেবে আর বাংলাদেশ সেই অনুযায়ী পাঠাবে—এই দ্বিপক্ষীয় সমঝোতাই এখন সিন্ডিকেট নামে পরিচিত। নতুন করে দায়িত্ব নেওয়ার পর আমাদের বলা হচ্ছে, আর কোনো সিন্ডিকেট চলবে না। কিন্তু এই চুক্তি বাতিল করতে হলে মালয়েশিয়ার সঙ্গে নতুন সমঝোতায় যেতে হবে। সেটা তো চাপ দিয়ে করা যাবে না।”চুক্তির বাস্তবতা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, “আমার সামনে এখন দুটি বিকল্প—এক, মালয়েশিয়ার দেওয়া তালিকা মেনে নির্দিষ্ট সংখ্যক এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী পাঠানো; দুই, কর্মী পাঠানোই বন্ধ করে দেওয়া। কিন্তু সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পাঠালে আমাকে তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে। আর না পাঠালে ৩০-৪০ হাজার কর্মী বিদেশে কাজের সুযোগ হারাবে, যা ১-২ লাখ পরিবারের জন্য ক্ষতির কারণ হবে।”

জাপানের শ্রমবাজার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জাপানে কর্মীর চাহিদা আছে, কিন্তু আমাদের শ্রমিকদের দক্ষতার ঘাটতি রয়েছে। ভাষা শিক্ষার উদ্যোগ চলছে, কিন্তু দক্ষতা অর্জন হচ্ছে না। তাই এখন মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত চাহিদা অনুযায়ী শ্রমিক প্রস্তুত করা।”

তিনি জানান, “আমরা ‘জাপান সেল’ গঠন করেছি এবং একটি ডেডিকেটেড ওয়েবসাইট তৈরির কাজ চলছে। এই প্রক্রিয়ায় সরকারি হস্তক্ষেপ কমিয়ে দক্ষতা উন্নয়নের দিকে জোর দেওয়া হবে। এজন্য আমরা প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালানোর পরিকল্পনা করছি।”

নতুন উদ্যোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে পার্টনারশিপের চিন্তা করছি। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বর্তমানে প্রবাসীদের ঋণ দিচ্ছে, কিন্তু যারা স্টুডেন্ট ভিসায় যাচ্ছে তারা এখনও সেই সুবিধা পাচ্ছে না। ভবিষ্যতে তাদের জন্যও ঋণের ব্যবস্থা করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।”