ময়মনসিংহ , মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
লুটের টাকা কোথায় ব্যবহৃত হবে:প্রেস সচিব এনবিআর দুই ভাগ করার প্রক্রিয়া ঠিক হয়নি বললেন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য নগর ভবন এলাকা ‘ব্লকেড’,পদত্যাগ দাবি উপদেষ্টা আসিফের নুসরাত ফারিয়ার প্রতি অন্যায় করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন খায়রুল বাসার শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে , বৃদ্ধ গ্রেপ্তার ইশরাক সমর্থকদের নগর ভবন আটকে ব্লকেড কর্মসূচি, বন্ধ সেবা উপদেষ্টা ফারুকী নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেফতারে বিব্রত তুহিন মালিকের ৩ এজেন্ডা ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে অজ্ঞাত তরুণের রক্তাক্ত মরদেহ নড়াইলে রেললাইনের পাশে পড়েছিল বিশেষ অনুমতি ছাড়াই কুয়েতের ভিসা সুবিধা পাচ্ছেন বাংলাদেশিরা বললেন উপদেষ্টা আসিফ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

আজ শিক্ষাবিদ কবীর চৌধুরীর জন্মবার্ষিকী

  • স্টাফ রির্পোটার
  • আপডেট সময় ১১:১৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৪০ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের একজন প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক ছিলেন কবীর চৌধুরী। বাংলাদেশ সরকার দেশের জাতীয় অধ্যাপক হিসাবে তাকে নির্বাচিত করেছিল। তিনি অধ্যাপক কবীর চৌধুরী নামে সমধিক পরিচিত। তার ডাকনাম মানিক।

১৯৭১ তার এক ভাই কাইয়ুম চৌধুরী পাকিস্তানি মেজর ছিলেন।

কবীর চৌধুরী ১৯২৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার গোপাইরবাগ গ্রামের মুন্সী বাড়ি। পিতা খান বাহাদুর আবদুল হালিম চৌধুরী এবং মা আফিয়া বেগম।

তার পুরো নাম আবুল কালাম মোহাম্মদ কবীর। কবীর চৌধুরীর পড়াশোনায় হাতেখড়ি হয় নিজ গৃহেই।পরিবারের সাহচর্যে তিনি প্রাথমিক পড়াশোনা শেষ করেন। ১৯৩৮ সালে তিনি ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিকে সপ্তম স্থান অধিকার করেন। ১৯৪০ সালে ঢাকা ইন্টামিডিয়েট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান অর্জন করেন।

পরে ১৯৫৭-১৯৫৮ সালে ফুলব্রাইট বৃত্তিধারী হিসেবে আমেরিকার মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্কিন সাহিত্য সম্পর্কে এবং ১৯৬৩-১৯৬৫ সালে সাদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসন সম্পর্কে উচ্চতর গবেষণা সম্পন্ন করেন। এছাড়া তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ও মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন।

সরকারি চাকুরি দিয়ে কবীর চৌধুরী কর্মজীবন শুরু করেন। স্বেচ্ছায় সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজির অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৯৮ সালে তিনি জাতীয় অধ্যাপক পদ লাভ করেন। এছাড়াও তিনি বাংলা একাডেমীর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে “কালচার স্টাডিজ” কোর্সে গ্রাজ্যুয়েট স্তরে শিক্ষা দান করেছেন। চাকরি ও অধ্যাপনা করে তার কর্মজীবন সমাপ্ত হয়।

শিশু সাহিত্যে অবদানের জন্য তার অর্থায়নে কবীর চৌধুরী শিশু সাহিত্য পুরস্কার নামে বাংলা একাডেমি একটি পুরস্কার প্রদান করে।

কবীর চৌধুরী ১৯৪৫ সালের জুন মাসে মেহের কবিরের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। মেহের কবীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। কবীর চৌধুরী ১৩ ডিসেম্বর ২০১১ নয়াপল্টন ঢাকায় নিজ বাসভবনে ৮৯ বছর বয়সে মৃত্যু বরণ করেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

লুটের টাকা কোথায় ব্যবহৃত হবে:প্রেস সচিব

আজ শিক্ষাবিদ কবীর চৌধুরীর জন্মবার্ষিকী

আপডেট সময় ১১:১৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশের একজন প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক ছিলেন কবীর চৌধুরী। বাংলাদেশ সরকার দেশের জাতীয় অধ্যাপক হিসাবে তাকে নির্বাচিত করেছিল। তিনি অধ্যাপক কবীর চৌধুরী নামে সমধিক পরিচিত। তার ডাকনাম মানিক।

১৯৭১ তার এক ভাই কাইয়ুম চৌধুরী পাকিস্তানি মেজর ছিলেন।

কবীর চৌধুরী ১৯২৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার গোপাইরবাগ গ্রামের মুন্সী বাড়ি। পিতা খান বাহাদুর আবদুল হালিম চৌধুরী এবং মা আফিয়া বেগম।

তার পুরো নাম আবুল কালাম মোহাম্মদ কবীর। কবীর চৌধুরীর পড়াশোনায় হাতেখড়ি হয় নিজ গৃহেই।পরিবারের সাহচর্যে তিনি প্রাথমিক পড়াশোনা শেষ করেন। ১৯৩৮ সালে তিনি ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিকে সপ্তম স্থান অধিকার করেন। ১৯৪০ সালে ঢাকা ইন্টামিডিয়েট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান অর্জন করেন।

পরে ১৯৫৭-১৯৫৮ সালে ফুলব্রাইট বৃত্তিধারী হিসেবে আমেরিকার মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্কিন সাহিত্য সম্পর্কে এবং ১৯৬৩-১৯৬৫ সালে সাদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসন সম্পর্কে উচ্চতর গবেষণা সম্পন্ন করেন। এছাড়া তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ও মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন।

সরকারি চাকুরি দিয়ে কবীর চৌধুরী কর্মজীবন শুরু করেন। স্বেচ্ছায় সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজির অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৯৮ সালে তিনি জাতীয় অধ্যাপক পদ লাভ করেন। এছাড়াও তিনি বাংলা একাডেমীর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে “কালচার স্টাডিজ” কোর্সে গ্রাজ্যুয়েট স্তরে শিক্ষা দান করেছেন। চাকরি ও অধ্যাপনা করে তার কর্মজীবন সমাপ্ত হয়।

শিশু সাহিত্যে অবদানের জন্য তার অর্থায়নে কবীর চৌধুরী শিশু সাহিত্য পুরস্কার নামে বাংলা একাডেমি একটি পুরস্কার প্রদান করে।

কবীর চৌধুরী ১৯৪৫ সালের জুন মাসে মেহের কবিরের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। মেহের কবীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। কবীর চৌধুরী ১৩ ডিসেম্বর ২০১১ নয়াপল্টন ঢাকায় নিজ বাসভবনে ৮৯ বছর বয়সে মৃত্যু বরণ করেন।