ময়মনসিংহ , সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

আসুন সবাই মিলে বাংলাদেশকে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক দেশে পরিণত করি বললেন মঈন খান

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৪৯:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
  • ৪৯ বার পড়া হয়েছে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, সংস্কৃতি, শিক্ষা, সমাজ ব্যতিরেকে কোনো দেশের রাজনীতি হতে পারে না। আসুন আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশকে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক দেশে পরিণত করি, যেখানে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে, যেখানে মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে, যেখানে মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং সর্বশেষ এই দেশের কোটি কোটি দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।

আজ সোমবার সকালে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) প্রকাশনা অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

মঈন খান বলেন, দীর্ঘ ১৬-১৭ বছরের বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষের যে আত্মত্যাগ, তারই ফলশ্রুতিতে কিন্তু ৫ই আগস্ট এসেছে। এটা আমি বিশ্বাস করি। অন্তর থেকে বিশ্বাস করি।

তিনি বলেন, আমাদের এই যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন, সঙ্গে শুধু বিএনপি নয়, বিএনপির সঙ্গে আরও বেশ কিছু গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দল, সব মিলিয়ে প্রায় ৪৩টি রাজনৈতিক দল আমরা কিন্তু সেই সময় রাজপথে ছিলাম এবং এই সবকিছুর ফলশ্রুতিতে একটি বিস্ফোরণমুখ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল এবং সেই পরিস্থিতিতে সেই ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সূচনা হয়, যেটা পাঁচ বছর আগে একবার হয়েছিল, সরকার সেটাকে স্তিমিত করে দিয়েছিল অত্যাচার, নির্যাতন, জুলুমের মাধ্যমে। সেটা নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে এবং সেই সময়ে আমি এভাবে বলবো, সেই বিস্ফোরণমুখ পরিস্থিতিতে দেশলাই যেমন ঘষা দিয়ে আগুনের ফুলকি জ্বালিয়ে দেয়, ঠিক তেমনি সেই বিস্ফোরণমুখ পরিস্থিতিতে আগুনের ফুলকি জ্বালিয়ে দিয়েছিল ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে এবং তার ফলশ্রুতিতে একটি বিস্ফোরণ হয়েছে। সেই বিস্ফোরণটি ছিল ৫ই আগস্ট। যার ফলশ্রুতিতে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার কাপুরুষের মতো দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল। এটাই হচ্ছে রক্তাক্ত ৩৬শে জুলাইয়ের সত্যিকার ইতিহাস।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যিনি এই আন্দোলনটি পুরোপুরি, তিনি আমাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন সুদূর প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার দূর থেকে। এবং যাকে অনুসরণ করে এবং যার দিকনির্দেশনায় আমি বলব আমরা এই আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়েছি এবং এক অর্থে বলব আমরা সফল হয়েছি। হ্যাঁ, এটা ঠিক, ৫ই আগস্টে ছাত্ররা অগ্রভাগে ছিল। আমি একটা উদাহরণ দেই, খুব সাদামাটা একটা উদাহরণ, যে ফুটবল কিন্তু ১১ জন প্লেয়ার খেলে, কিন্তু গোল হয় তো একজনই করে। তার অর্থ এইটা নয় যে বাকি ১০জন সেই খেলাটি খেলেনি, এটা কিন্তু ঠিক না। কাজেই যারা এই আন্দোলনকে যদি কেউ ছাত্রদের হাতে কেন্দ্রীভূত করে দিতে চান, আমি সেটা নিষেধ করব না, কিন্তু আমি বিনীতভাবে বলব, সেটা হয়তো সঠিক বিশ্লেষণ হবে না।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আসুন সবাই মিলে বাংলাদেশকে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক দেশে পরিণত করি বললেন মঈন খান

আপডেট সময় ০২:৪৯:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, সংস্কৃতি, শিক্ষা, সমাজ ব্যতিরেকে কোনো দেশের রাজনীতি হতে পারে না। আসুন আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশকে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক দেশে পরিণত করি, যেখানে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে, যেখানে মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে, যেখানে মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং সর্বশেষ এই দেশের কোটি কোটি দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।

আজ সোমবার সকালে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) প্রকাশনা অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

মঈন খান বলেন, দীর্ঘ ১৬-১৭ বছরের বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষের যে আত্মত্যাগ, তারই ফলশ্রুতিতে কিন্তু ৫ই আগস্ট এসেছে। এটা আমি বিশ্বাস করি। অন্তর থেকে বিশ্বাস করি।

তিনি বলেন, আমাদের এই যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন, সঙ্গে শুধু বিএনপি নয়, বিএনপির সঙ্গে আরও বেশ কিছু গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দল, সব মিলিয়ে প্রায় ৪৩টি রাজনৈতিক দল আমরা কিন্তু সেই সময় রাজপথে ছিলাম এবং এই সবকিছুর ফলশ্রুতিতে একটি বিস্ফোরণমুখ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল এবং সেই পরিস্থিতিতে সেই ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সূচনা হয়, যেটা পাঁচ বছর আগে একবার হয়েছিল, সরকার সেটাকে স্তিমিত করে দিয়েছিল অত্যাচার, নির্যাতন, জুলুমের মাধ্যমে। সেটা নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে এবং সেই সময়ে আমি এভাবে বলবো, সেই বিস্ফোরণমুখ পরিস্থিতিতে দেশলাই যেমন ঘষা দিয়ে আগুনের ফুলকি জ্বালিয়ে দেয়, ঠিক তেমনি সেই বিস্ফোরণমুখ পরিস্থিতিতে আগুনের ফুলকি জ্বালিয়ে দিয়েছিল ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে এবং তার ফলশ্রুতিতে একটি বিস্ফোরণ হয়েছে। সেই বিস্ফোরণটি ছিল ৫ই আগস্ট। যার ফলশ্রুতিতে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার কাপুরুষের মতো দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল। এটাই হচ্ছে রক্তাক্ত ৩৬শে জুলাইয়ের সত্যিকার ইতিহাস।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যিনি এই আন্দোলনটি পুরোপুরি, তিনি আমাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন সুদূর প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার দূর থেকে। এবং যাকে অনুসরণ করে এবং যার দিকনির্দেশনায় আমি বলব আমরা এই আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়েছি এবং এক অর্থে বলব আমরা সফল হয়েছি। হ্যাঁ, এটা ঠিক, ৫ই আগস্টে ছাত্ররা অগ্রভাগে ছিল। আমি একটা উদাহরণ দেই, খুব সাদামাটা একটা উদাহরণ, যে ফুটবল কিন্তু ১১ জন প্লেয়ার খেলে, কিন্তু গোল হয় তো একজনই করে। তার অর্থ এইটা নয় যে বাকি ১০জন সেই খেলাটি খেলেনি, এটা কিন্তু ঠিক না। কাজেই যারা এই আন্দোলনকে যদি কেউ ছাত্রদের হাতে কেন্দ্রীভূত করে দিতে চান, আমি সেটা নিষেধ করব না, কিন্তু আমি বিনীতভাবে বলব, সেটা হয়তো সঠিক বিশ্লেষণ হবে না।