ময়মনসিংহ , সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা পাচ্ছে

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাতে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে সরকার। বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রথমবারের মতো একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আর্থিক খাতের পূর্ণ কর্তৃত্ব দিয়ে, স্বায়ত্তশাসিত এবং জবাবদিহিমূলক রূপ দিতে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার, ২০২৫’ নামে একটি অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক উচ্চপদস্থ সূত্র জানিয়েছে, আইনটির খসড়া ইতোমধ্যে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক পর্যালোচনা করেছে এবং চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই এটি অধ্যাদেশ আকারে জারি হতে পারে। আইনটি কার্যকর হলে বাংলাদেশ ব্যাংক হবে একটি স্বাধীন নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান, যার জবাবদিহি কেবল সংসদের কাছে থাকবে। এর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনায় প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দীর্ঘদিনের বিতর্কিত অধ্যায় বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নর দায়িত্ব গ্রহণের আগে শপথ নেবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির সামনে, যা সংবিধানিক মর্যাদার একটি বড় প্রতীকী বহিঃপ্রকাশ।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ পদক্ষেপ বাংলাদেশ ব্যাংককে ‘নির্বাহী বিভাগের একটি সংযুক্ত দফতর’ থেকে সরিয়ে এনে একটি সত্যিকারের আর্থিক সংবিধান রক্ষাকারী সংস্থায় পরিণত করবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা পাচ্ছে

আপডেট সময় ০২:২৮:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাতে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে সরকার। বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রথমবারের মতো একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আর্থিক খাতের পূর্ণ কর্তৃত্ব দিয়ে, স্বায়ত্তশাসিত এবং জবাবদিহিমূলক রূপ দিতে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার, ২০২৫’ নামে একটি অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক উচ্চপদস্থ সূত্র জানিয়েছে, আইনটির খসড়া ইতোমধ্যে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক পর্যালোচনা করেছে এবং চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই এটি অধ্যাদেশ আকারে জারি হতে পারে। আইনটি কার্যকর হলে বাংলাদেশ ব্যাংক হবে একটি স্বাধীন নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান, যার জবাবদিহি কেবল সংসদের কাছে থাকবে। এর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনায় প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দীর্ঘদিনের বিতর্কিত অধ্যায় বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নর দায়িত্ব গ্রহণের আগে শপথ নেবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির সামনে, যা সংবিধানিক মর্যাদার একটি বড় প্রতীকী বহিঃপ্রকাশ।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ পদক্ষেপ বাংলাদেশ ব্যাংককে ‘নির্বাহী বিভাগের একটি সংযুক্ত দফতর’ থেকে সরিয়ে এনে একটি সত্যিকারের আর্থিক সংবিধান রক্ষাকারী সংস্থায় পরিণত করবে।