ময়মনসিংহ , রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

চাপিলা বলে বিক্রি হচ্ছে জাটকা

বরগুনা দিয়ে বয়ে গেছে বিষখালী, বলেশ্বর ও পায়রা নদী। এসব নদীতে নিষিদ্ধ বাঁধা জাল, ভোগজাল, বেহুন্দিজাল ও কারেন্ট জালে দিয়ে অবাধে ধরা হচ্ছে ইলিশের পোনা। ছোট এসব মাছকে এলাকার হাট-বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে চাপিলা মাছ বলে। সেই সঙ্গে শুঁটকি বানানো হচ্ছে।

অভিযোগ রয়েছে, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কিছু অসাধু জেলেরা মৎস্য কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে প্রতিনিয়তই নিষিদ্ধ জাল দিয়ে ধরছে পোনা মাছ। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

মৎস্য আইন অনুযায়ী, সোয়া চার ইঞ্চির কম পরিধির ফাঁসের জাল ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অথচ বরগুনার নদীগুলোতে জেলেরা আধা ইঞ্চির কম থেকে পৌনে এক ইঞ্চি পরিধির ফাঁসের জাল ব্যবহার করে জাটকাসহ নানা ছোট মাছ নিধন করছেন। যা শহরসহ বিভিন্ন গ্রামগঞ্জের হাট-বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য মতে, নিষিদ্ধ জালে প্রতিদিন ইলিশসহ বিভিন্ন মাছের যে পরিমাণ পোনা মাছ নিধন হচ্ছে তাতে আগামী মৌসুমে ইলিশ মাছ আহরণ ব্যাপকহোরে কমে যাবে। জেলেরা পোনা ধরলেও মৎস্য অধিদপ্তরের কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

জেলার পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের রুহিতা গ্রামের বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, ‘প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চোখের সামনেই প্রতিদিন বাঁধা জাল, গোপজাল, বেহুন্দিজাল ও কারেন্ট জালসহ বিভিন্ন অবৈধ জাল দিয়ে মাছের পোনা ধরা হচ্ছে। একই ইউনিয়নের জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ‘তিনশরও বেশি নৌকায় ভাসা জাল দিয়া মাছ ধরে তারা। এ জালে জাটকা, পোয়া, তপসি, টেংরাসহ নানা ছোট প্রজাতির অনেক মাছ ধরা পড়ে। যা বিক্রি হচ্ছে স্থানীয় বিভিন্ন হাটবাজারে। আর হাটবাজারে বিক্রির অযোগ্য মাছ শুঁটকি করে পল্লীতে বিক্রি করে দেয় তার।

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘প্রসাশনের নাকের ডগায় অবৈধ বিভিন্ন ধরণের জাল দিয়ে ইলিশের পোনা শিকার হচ্ছে। এতে ইলিশের বংশ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এমন চলতে থাকলে অধূর ভবিষ্যতে নদ-নদীতে পানি থাকবে, কিন্তু মাছ থাকবে না।’

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মহসীন বলেন, ‘আমরা গত মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৫০টিরও বেশি অভিযান পরিচালনা করছি। আমাদের জনবল কম, ফলে সব জায়গায় পৌঁছানো আমাদের পক্ষে অনেক সময় সম্ভব হয় না। এ সুযোগে অসাধু জেলেরা ইলিশের পোনা ধরে চাপিলা বলে গোপনে বিক্রি করছে। আমরা নদীতে টহল জোরদার করেছি।’

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

চাপিলা বলে বিক্রি হচ্ছে জাটকা

আপডেট সময় ১২:৫০:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

বরগুনা দিয়ে বয়ে গেছে বিষখালী, বলেশ্বর ও পায়রা নদী। এসব নদীতে নিষিদ্ধ বাঁধা জাল, ভোগজাল, বেহুন্দিজাল ও কারেন্ট জালে দিয়ে অবাধে ধরা হচ্ছে ইলিশের পোনা। ছোট এসব মাছকে এলাকার হাট-বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে চাপিলা মাছ বলে। সেই সঙ্গে শুঁটকি বানানো হচ্ছে।

অভিযোগ রয়েছে, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কিছু অসাধু জেলেরা মৎস্য কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে প্রতিনিয়তই নিষিদ্ধ জাল দিয়ে ধরছে পোনা মাছ। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

মৎস্য আইন অনুযায়ী, সোয়া চার ইঞ্চির কম পরিধির ফাঁসের জাল ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অথচ বরগুনার নদীগুলোতে জেলেরা আধা ইঞ্চির কম থেকে পৌনে এক ইঞ্চি পরিধির ফাঁসের জাল ব্যবহার করে জাটকাসহ নানা ছোট মাছ নিধন করছেন। যা শহরসহ বিভিন্ন গ্রামগঞ্জের হাট-বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য মতে, নিষিদ্ধ জালে প্রতিদিন ইলিশসহ বিভিন্ন মাছের যে পরিমাণ পোনা মাছ নিধন হচ্ছে তাতে আগামী মৌসুমে ইলিশ মাছ আহরণ ব্যাপকহোরে কমে যাবে। জেলেরা পোনা ধরলেও মৎস্য অধিদপ্তরের কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

জেলার পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের রুহিতা গ্রামের বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, ‘প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চোখের সামনেই প্রতিদিন বাঁধা জাল, গোপজাল, বেহুন্দিজাল ও কারেন্ট জালসহ বিভিন্ন অবৈধ জাল দিয়ে মাছের পোনা ধরা হচ্ছে। একই ইউনিয়নের জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ‘তিনশরও বেশি নৌকায় ভাসা জাল দিয়া মাছ ধরে তারা। এ জালে জাটকা, পোয়া, তপসি, টেংরাসহ নানা ছোট প্রজাতির অনেক মাছ ধরা পড়ে। যা বিক্রি হচ্ছে স্থানীয় বিভিন্ন হাটবাজারে। আর হাটবাজারে বিক্রির অযোগ্য মাছ শুঁটকি করে পল্লীতে বিক্রি করে দেয় তার।

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘প্রসাশনের নাকের ডগায় অবৈধ বিভিন্ন ধরণের জাল দিয়ে ইলিশের পোনা শিকার হচ্ছে। এতে ইলিশের বংশ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এমন চলতে থাকলে অধূর ভবিষ্যতে নদ-নদীতে পানি থাকবে, কিন্তু মাছ থাকবে না।’

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মহসীন বলেন, ‘আমরা গত মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৫০টিরও বেশি অভিযান পরিচালনা করছি। আমাদের জনবল কম, ফলে সব জায়গায় পৌঁছানো আমাদের পক্ষে অনেক সময় সম্ভব হয় না। এ সুযোগে অসাধু জেলেরা ইলিশের পোনা ধরে চাপিলা বলে গোপনে বিক্রি করছে। আমরা নদীতে টহল জোরদার করেছি।’