পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের নবনিযুক্ত ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক বলেছেন, আমার অধীনে এসপি ও ওসিদের নির্দেশ দিচ্ছি, নিষিদ্ধঘোষিত কোনো সংগঠনের কর্মকাণ্ড আপনার এলাকায় চলবে না। বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা দমন-পীড়ন করেছে, যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে, মামলার তদন্তে যারা দোষী, যারা দোসর হিসেবে পরিচিত তাদের গ্রেফতার করতে হবে।
রেজাউল করিম মল্লিক বলেছেন, ঢাকা রেঞ্জের আওতাধীন থানা-ফাঁড়ি-সার্কেল অফিস, এসপি অফিসে কোনোরকম অন্যায়-অবিচার ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। ঘুসবাণিজ্য, বদলিবাণিজ্য আমার রেঞ্জে বরদাশত করা হবে না। যে কোনো ধরণের চাঁদাবাজি কঠোর হাতে দমন করা হবে। আমরা জনগণের নিরাপত্তা দিতে এসেছি। আমার রেঞ্জে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন কিংবা পতিত সরকারের দোসররা যদি জনগণের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটানোর বিন্দুমাত্রও চেষ্টাও করেন, সেটা শক্ত হাতে দমন করার সক্ষমতা ঢাকা রেঞ্জ পুলিশের রয়েছে।
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা নিবিড়ভাবে মনিটরিংয়ের জন্য ডিআইজি অফিসে একটি বিশেষ মনিটরিং সেল খোলা হবে। মনিটরিং সেলে আমি প্রত্যেকটি মামলার বাদী, ভুক্তভোগী, গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ও আহত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলব এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। এছাড়া ঢাকা রেঞ্জ পুলিশের প্রতিটি থানা-ফাঁড়ি-ক্যাম্প-সার্কেল অফিস-এসপি অফিস এবং আমার অফিসেও অভিযোগবক্স স্থাপন করা হবে।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ যেন সুবিচার পায়; অন্যায়-জুলুম থেকে বাঁচতে পারে সেটি নিশ্চিত করা হবে। এমনকি আমিও আইনের উর্ধ্বে নই। আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিচ্ছি, ঢাকা রেঞ্জের কোনো পুলিশ সদস্য যদি কোনো ধরণের অনৈতিক ও অপেশাদার কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়-তাদেরকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না। এসপি ওসিরাও যদি কোনো অন্যায় করেন, সরাসরি আমাকে জানাবেন। যদি প্রমাণিত হয়, আমি তাদের বিরদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেব। এ লক্ষ্যে ঢাকা রেঞ্জ পুলিশের প্রতিটি থানা-ফাঁড়ি-ক্যাম্প-সার্কেল অফিস-এসপি অফিস এবং আমার অফিসেও অভিযোগবক্স স্থাপন করা হবে। কাঙিক্ষত সেবা না পেলে অভিযোগ বক্সে সেবা গ্রহিতারা তাদের অভিযোগ জানাতে পারবেন এবং আমি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব।
ডিআইজি বলেন, আপনাদের দায়ের করা জিডি, অভিযোগ, মামলা আমি নিজে মনিটরিং করব। একটি দক্ষ টিম দিয়ে প্রত্যেকটি জিডি, অভিযোগ, মামলা সুনিপুণভাবে মনিটরিং করা হবে। ঢাকা রেঞ্জের আওতাধীন ৯৮টি থানায় সিসিটিভি সংবলিত মনিটরিং সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। আমি নিজে মনিটরিং সেন্টারে থানায় সেবাগ্রহীতাদের এবং ভুক্তভোগিদের সঙ্গে ভিডিও কলে সরাসরি কথা বলব; যাতে একজন ভুক্তভোগী থানায় এসে সবোর্চ্চ সেবাটি পেতে পারেন। ঢাকা রেঞ্জের প্রতিটি থানাকে বাংলাদেশ পুলিশের রোল মডেল থানা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।