ময়মনসিংহ , শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ভোটগ্রহণে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক নিয়োগ বললেন সিইসি সিইসির নির্দেশ নির্বাচনে গণ্ডগোল করলে ভোট কেন্দ্র বন্ধের দেশে গ্যাস সংকটের মূলে রাজনীতিবিদ আর ব্যবসায়ীরা বললেন জ্বালানি উপদেষ্টা উপদেষ্টা হিসেবে আমাদের কারও সেফ এক্সিটের দরকার নেই বললেন আসিফ নজরুল তারেক রহমান ১৭ বছর পর নভেম্বরের মাঝামাঝি দেশে ফিরছেন মদপানে ৪ জনের মৃত্যু, একজন আইসিইউতে বগুড়ায় দেশে সাত রুটে অস্ত্র ঢুকছে আবারও আন্দোলনে নামছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বাড়িভাড়া-চিকিৎসা ভাতা বাড়ানোর দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের ‘লং মার্চ টু শিক্ষা ভবন’ শাপলা নিয়েই নির্বাচন করব, নয়তো নিবন্ধনেরও দরকার নেই বললেন হাসনাত
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

মেঘনায় আবারও ভাঙন, হুমকির মুখে তীরবর্তী মানুষ

মেঘনা নদীর লক্ষ্মীপুরের রায়পুর অংশে ফের ভাঙন দেখা দিয়েছে। কয়েকদিনের ভাঙনে উপজেলার উত্তর ও দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী গ্রামগুলো সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কৃষিজমি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

বিলীনের হুমকিতে রয়েছে চরইন্দ্রুরিয়া গ্রামের আলতাফ মাস্টারের ইলিশঘাট এলাকাসহ দুই কিলোমিটার এলাকা। এতে করে দুশ্চিন্তায় দিন পার করছে নদী তীরবর্তী মানুষেরা।

স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছরই বর্ষার মৌসুমে তীরবর্তী এলাকাগুলোতে ভাঙন দেখা দেয়। কিন্তু এবার বর্ষার শুরুর আগেই ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বিলীন হয়েছে ঘরবাড়ি ও কৃষি জমি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে বাঁধ নির্মাণের জন্য আবেদন করা হলেও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। নদীর স্রোত ও অপরিকল্পিত ড্রেজিংয়ের কারণে ভাঙন আগের তুলনায় আরও বেড়েছে। এমতাবস্থা চলতে থাকলে উত্তর চরবংশী, দক্ষিণ চরবংশী ও চরআবাবিল ইউনিয়ন নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, নদীর পানি বাড়ায় উত্তর চরবংশী, দক্ষিণ চরবংশী ও উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের পশ্চিম পাড়ের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। কিছু এলাকা এরই মধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। তিন ইউনিয়নের চরকাছিয়া, চরইনদ্রুরিয়া, চরঘাসিয়া এবং জালিয়ারচর গ্রামের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। এসব গ্রামের কয়েকটি পরিবার ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।

দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সালেহ মিন্টু ফরায়েজি বলেন, ‘উপজেলা মধ্যে চরকাছিয়া, চরইনদ্রুরিয়া ও জালিয়ারচরে মানুষ বেশি অবহেলিত। উত্তর চরবংশী, দক্ষিণ চরবংশী ও উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের পশ্চিমপাড়ের বিশাল এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নেই।’

উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের প্রশাসক শাহেদ আরমান বলেন, ‘এ অঞ্চলের মানুষের দুঃখ ও দুর্দশা কাছ থেকে দেখেছি। বাঁধটি নির্মাণ হলে মানুষ নিজ ভূমিতে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধ নির্মাণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে (পাউবো) জানিয়েছি।’

লক্ষ্মীপুরের পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ উজ-জামান খান বলেন, ‘শুধু রায়পুর না, চারটি উপজেলার মেঘনার নদী ভাঙন স্থানগুলো পরিদর্শন করা হবে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভোটগ্রহণে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক নিয়োগ বললেন সিইসি

মেঘনায় আবারও ভাঙন, হুমকির মুখে তীরবর্তী মানুষ

আপডেট সময় ১১:১২:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

মেঘনা নদীর লক্ষ্মীপুরের রায়পুর অংশে ফের ভাঙন দেখা দিয়েছে। কয়েকদিনের ভাঙনে উপজেলার উত্তর ও দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী গ্রামগুলো সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কৃষিজমি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

বিলীনের হুমকিতে রয়েছে চরইন্দ্রুরিয়া গ্রামের আলতাফ মাস্টারের ইলিশঘাট এলাকাসহ দুই কিলোমিটার এলাকা। এতে করে দুশ্চিন্তায় দিন পার করছে নদী তীরবর্তী মানুষেরা।

স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছরই বর্ষার মৌসুমে তীরবর্তী এলাকাগুলোতে ভাঙন দেখা দেয়। কিন্তু এবার বর্ষার শুরুর আগেই ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বিলীন হয়েছে ঘরবাড়ি ও কৃষি জমি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে বাঁধ নির্মাণের জন্য আবেদন করা হলেও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। নদীর স্রোত ও অপরিকল্পিত ড্রেজিংয়ের কারণে ভাঙন আগের তুলনায় আরও বেড়েছে। এমতাবস্থা চলতে থাকলে উত্তর চরবংশী, দক্ষিণ চরবংশী ও চরআবাবিল ইউনিয়ন নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, নদীর পানি বাড়ায় উত্তর চরবংশী, দক্ষিণ চরবংশী ও উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের পশ্চিম পাড়ের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। কিছু এলাকা এরই মধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। তিন ইউনিয়নের চরকাছিয়া, চরইনদ্রুরিয়া, চরঘাসিয়া এবং জালিয়ারচর গ্রামের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। এসব গ্রামের কয়েকটি পরিবার ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।

দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সালেহ মিন্টু ফরায়েজি বলেন, ‘উপজেলা মধ্যে চরকাছিয়া, চরইনদ্রুরিয়া ও জালিয়ারচরে মানুষ বেশি অবহেলিত। উত্তর চরবংশী, দক্ষিণ চরবংশী ও উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের পশ্চিমপাড়ের বিশাল এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নেই।’

উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের প্রশাসক শাহেদ আরমান বলেন, ‘এ অঞ্চলের মানুষের দুঃখ ও দুর্দশা কাছ থেকে দেখেছি। বাঁধটি নির্মাণ হলে মানুষ নিজ ভূমিতে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধ নির্মাণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে (পাউবো) জানিয়েছি।’

লক্ষ্মীপুরের পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ উজ-জামান খান বলেন, ‘শুধু রায়পুর না, চারটি উপজেলার মেঘনার নদী ভাঙন স্থানগুলো পরিদর্শন করা হবে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’