আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়। এরপর এমন সব বান্দাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়, যারা আল্লাহর সঙ্গে শরিক করে না। তবে সে ব্যক্তিকে ক্ষমা করা হয় না, যার সঙ্গে তার ভাইয়ের শত্রুতা বিদ্যমান। এরপর তিনবার বলা হয়, এ দুজনকে আপস-মীমাংসা করার জন্য অবকাশ দাও। (সহিহ্ মুসলিম)
উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) সোম ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখার বিষয়টি প্রাধান্য দিতেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ)
প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘সোম ও বৃহস্পতিবার দিন দুটি এমন; যে দিন দুটিতে বান্দার আমল মহান আল্লাহর সামনে হাজির করা হয়। আর আমি রোজা থাকা অবস্থায় আমার আমল আল্লাহর সামনে পেশ করা হোক, এটাই পছন্দ করি।’ (সুনানে তিরমিজি)
নফল রোজা ইবাদতের এক অনন্য রূপ, যা বান্দাকে আল্লাহর আরও নিকটবর্তী করে, আত্মশুদ্ধির পথকে প্রশস্ত করে। এ ছাড়া রোজার রয়েছে অফুরন্ত সওয়াব। রোজার বিনিময় স্বয়ং আল্লাহ দেবেন বলে ঘোষণা করেছেন। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তাআলা বলেন, মানুষের প্রতিটি কাজ তার নিজের জন্য, কিন্তু রোজা এর ব্যতিক্রম। রোজা শুধু আমার জন্য, আমিই এর প্রতিদান দেব। (সহিহ্ মুসলিম)। নবী করিম (সা.) বলেন, যে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এক দিন রোজা রাখবে, আল্লাহ তাআলা জাহান্নাম তার থেকে ১০০ বছরের দূরত্বে সরিয়ে রাখবেন।
এ ছাড়া বৃহস্পতিবারের বরকতময় দিনটি ভালো কাজের এবং আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের জন্য উপযুক্ত সময়। এই দিনের ফজিলত উপলব্ধি করে দিনটি ভালোভাবে অতিবাহিত করা উচিত।