জুলাই ঐক্যের সংগঠক ইসরাফিল ফরাজি বলেছেন, “যারা যে চেয়ারে ছিল, সেই চেয়ারেই আছে। শুধু হাসিনার চেয়ারটাই খালি। বাকি সব আগের মতোই ভারতীয় প্রক্সিরা বসে আছে।”
ইসরাফিল ফরাজি আরও বলেন, “যেসব সাংবাদিকের বিরুদ্ধে জেলায় জেলায় মামলা হয়েছে, সেগুলোর অগ্রগতি কোথায়? যদি তারা নিষ্পাপ হয়, তবে তাদের ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হোক। আর যদি অপরাধী হয়, তাহলে তাদের আইনের আওতায় আনা হোক। আমরা আরও স্পষ্ট করে বলতে চাই—আমরা ৪৪ জন সচিবের একটি তালিকা দিয়েছিলাম। সরকারকে বলেছিলাম, এদের সরিয়ে ফেলুন। কিন্তু সরকার এখন পর্যন্ত মাত্র পাঁচজন আমলাকে সচিবালয় থেকে সরিয়েছে। বাকি ৩৯ জন আমলা এখনো স্বপদে বহাল রয়েছেন।”
জুলাই ঐক্যের এই নেতা বলেন, “আমরা স্পষ্টভাবে দেখছি—যারা আগে যে চেয়ারে বসে ছিল, তারা এখনো সেই চেয়ারে বসে আছে। শুধু হাসিনার চেয়ারে কেউ নেই। বাকি সব আগের মতোই ভারতীয় প্রক্সিরা বসে আছে। আমরা দেখেছি—যেসব ডিসি ও এসপির নির্দেশে পুরো জুলাই মাসজুড়ে ৩৬ দিন ধরে ছাত্রজনতার ওপর গুলি চালানো হয়েছে, তাদের বরখাস্ত না করে শুধু জেলা বদলি করা হয়েছে। এখন তারা নতুন জেলাগুলোতেও একই ধরনের অপকর্ম করে চলেছে।”
ইসরাফিল ফরাজি আরও বলেন, “আমরা সরকারকে অনুরোধ করছি—আপনি হয় সংস্কার করুন, নয়তো অপসারণ করুন। না হলে স্বেচ্ছায় নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা ছাড়ুন। ছাত্রজনতা এখনো আপনার সঙ্গে আছে। কিন্তু আপনি যদি ছাত্রজনতার মনের কথা না বুঝতে পারেন, তবে আপনার ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই।”
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে ইসরাফিল বলেন, “কিছু দল নিজ উদ্যোগে জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে যাচ্ছে। কিন্তু আমি স্পষ্ট করে বলছি—২০২৪ সালের ৩ আগস্ট আপনাদের একদফা ঘোষণাপত্র দেওয়ার কথা ছিল। আপনারা সেই দিন ঘোষণা দেননি। যদি দিতেন, আজকের সরকারের এই পরিণতি হতো না।”
তিনি বলেন, “জুলাই ঘোষণাপত্রের জন্য আজ আমাদের রাস্তায় নামতে হতো না। এখন ঘোষণাপত্র দেওয়ার অধিকার আপনাদের নেই। ঘোষণাপত্র দিতে হবে সরকারকে। আর যদি সরকার ব্যর্থ হয়, তাহলে ছাত্রজনতা যেমন জুলাই অভ্যুত্থান করেছিল, ঠিক তেমনভাবেই তাদের দাবি আদায় করে নেবে।”