ময়মনসিংহ , শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

সরকারকে সব রাজনৈতিক দল সহযোগিতা করেছে বললেন শেখ রবিউল আলম

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০৫:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
  • ৯ বার পড়া হয়েছে

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম রবি বলেছেন, “সরকারকে সব রাজনৈতিক দল সহযোগিতা করেছে।” সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে এসে এ মন্তব্য করেন শেখ রবিউল আলম।

শেখ রবিউল আলম ব্যাখ্যা করেন, “জনসমর্থন ক্ষণস্থায়ী হতে পারে। কেউ সকালবেলা সমর্থন দিল, বিকেলে দিল না—এটা হতে পারে। কিন্তু একটি নির্বাচিত সরকারের একটি নির্দিষ্ট মেয়াদে জনগণের কাছে জবাবদিহিতা থাকে।”

 শেখ রবিউল আলম বলেন, “তারেক রহমান সঠিকই বলেছেন—জাতীয় নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা চলছে। সরকার অল্প ও বেশি সংস্কারের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। এতে মনে হচ্ছে, সরকারের আসলে কোনো ভিন্ন উদ্দেশ্য আছে।”
রবি বলেন, “আমরা সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাই না, কিন্তু যখন সরকার ভোটাধিকার হরণ করে, জনগণের চাওয়া ও রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতাকে অগ্রাহ্য করে, তখন স্বাভাবিকভাবেই জনগণের অসন্তোষ বাড়ে।”

শেখ রবিউল আলম আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ একসময় একটি রাজনৈতিক দল ছিল। কিন্তু এখন তারা ফ্যাসিবাদে পরিণত হয়েছে—যখন তারা নিজের মতো করে নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চায়।”

সরকারের মনোভাব নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিএনপি নেতা। শেখ রবিউল আলম বলেন, “নির্বাচন-সংক্রান্ত যেসব সংস্কার দরকার ছিল, সেখানে সরকার মনোযোগ দিচ্ছে না। বরং অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। নগদ পেমেন্টে সীমা, ক্যাশব্যাক, এসি, টিভি—এসব প্রচারণা চলছে, অথচ নির্বাচন নিয়ে কার্যকর সংস্কারের কোনো অগ্রগতি নেই।”

শেখ রবিউল আলম বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত একটি নির্বাচিত সরকার গঠন। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ৯০ শতাংশ সংস্কার বিষয়ে একমত হয়েছে। কিন্তু সরকার অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন না করে সময়ক্ষেপণ করছে।”

রবি আরও বলেন, “সব রাজনৈতিক দল একমত হলে নির্বাচনের পর পার্লামেন্টে সর্বসম্মতিতে বা সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সংস্কার আনা সম্ভব। সেগুলো ইশতেহারে তুলে ধরা যেতে পারে। জনগণ যদি নির্বাচিত করে, সেই দল পার্লামেন্টে গিয়ে সংস্কার বাস্তবায়ন করবে।”

সংলাপ প্রসঙ্গে শেখ রবিউল আলম বলেন, “আমরা দায়িত্ববান রাজনৈতিক দল হিসেবে আলোচনা করেছি, জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে নির্বাচন অবাধ করতে যা যা দরকার তা করব। কিন্তু সরকারের নির্লিপ্ততা এবং নির্বাচনে বিলম্ব রাজনৈতিক অনাস্থা বাড়াচ্ছে।”

টকশোর শেষ দিকে শেখ রবিউল আলম রবি পুনরায় বলেন, “আমি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নয়। সমর্থিত সরকার আর নির্বাচিত সরকার এক নয়—এই বিভ্রান্তি দূর করতে হবে।”

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

সরকারকে সব রাজনৈতিক দল সহযোগিতা করেছে বললেন শেখ রবিউল আলম

আপডেট সময় ১১:০৫:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম রবি বলেছেন, “সরকারকে সব রাজনৈতিক দল সহযোগিতা করেছে।” সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে এসে এ মন্তব্য করেন শেখ রবিউল আলম।

শেখ রবিউল আলম ব্যাখ্যা করেন, “জনসমর্থন ক্ষণস্থায়ী হতে পারে। কেউ সকালবেলা সমর্থন দিল, বিকেলে দিল না—এটা হতে পারে। কিন্তু একটি নির্বাচিত সরকারের একটি নির্দিষ্ট মেয়াদে জনগণের কাছে জবাবদিহিতা থাকে।”

 শেখ রবিউল আলম বলেন, “তারেক রহমান সঠিকই বলেছেন—জাতীয় নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা চলছে। সরকার অল্প ও বেশি সংস্কারের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। এতে মনে হচ্ছে, সরকারের আসলে কোনো ভিন্ন উদ্দেশ্য আছে।”
রবি বলেন, “আমরা সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাই না, কিন্তু যখন সরকার ভোটাধিকার হরণ করে, জনগণের চাওয়া ও রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতাকে অগ্রাহ্য করে, তখন স্বাভাবিকভাবেই জনগণের অসন্তোষ বাড়ে।”

শেখ রবিউল আলম আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ একসময় একটি রাজনৈতিক দল ছিল। কিন্তু এখন তারা ফ্যাসিবাদে পরিণত হয়েছে—যখন তারা নিজের মতো করে নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চায়।”

সরকারের মনোভাব নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিএনপি নেতা। শেখ রবিউল আলম বলেন, “নির্বাচন-সংক্রান্ত যেসব সংস্কার দরকার ছিল, সেখানে সরকার মনোযোগ দিচ্ছে না। বরং অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। নগদ পেমেন্টে সীমা, ক্যাশব্যাক, এসি, টিভি—এসব প্রচারণা চলছে, অথচ নির্বাচন নিয়ে কার্যকর সংস্কারের কোনো অগ্রগতি নেই।”

শেখ রবিউল আলম বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত একটি নির্বাচিত সরকার গঠন। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ৯০ শতাংশ সংস্কার বিষয়ে একমত হয়েছে। কিন্তু সরকার অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন না করে সময়ক্ষেপণ করছে।”

রবি আরও বলেন, “সব রাজনৈতিক দল একমত হলে নির্বাচনের পর পার্লামেন্টে সর্বসম্মতিতে বা সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সংস্কার আনা সম্ভব। সেগুলো ইশতেহারে তুলে ধরা যেতে পারে। জনগণ যদি নির্বাচিত করে, সেই দল পার্লামেন্টে গিয়ে সংস্কার বাস্তবায়ন করবে।”

সংলাপ প্রসঙ্গে শেখ রবিউল আলম বলেন, “আমরা দায়িত্ববান রাজনৈতিক দল হিসেবে আলোচনা করেছি, জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে নির্বাচন অবাধ করতে যা যা দরকার তা করব। কিন্তু সরকারের নির্লিপ্ততা এবং নির্বাচনে বিলম্ব রাজনৈতিক অনাস্থা বাড়াচ্ছে।”

টকশোর শেষ দিকে শেখ রবিউল আলম রবি পুনরায় বলেন, “আমি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নয়। সমর্থিত সরকার আর নির্বাচিত সরকার এক নয়—এই বিভ্রান্তি দূর করতে হবে।”