ময়মনসিংহ , বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ একটি জঙ্গি সংগঠন বললেন সাদিক কায়েম একইসঙ্গে জিতলেন হজের লটারি মিসরের তিন ভাইবোন আপিলের রায়ের তারিখ ঘোষণা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে সেনাপ্রধানের আহ্বান আর্মি সার্ভিস কোরকে লাল কেল্লা তিন দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা ৯৭ শতাংশ মুসলিম ভোটার মামদানিকে ভোট দিয়েছেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আটক ফেসবুকে ‘১৩ তারিখ ঢাকা যাওয়ার’ পোস্ট, তারেক রহমান যদি চাইতেন ৫ আগস্টই ক্ষমতা নিতে পারতেন বললেন আব্দুস সালাম ১০ম দিনের আপিল শুনানি শুরু তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে ঝিনাইদহে মধ্যরাতে মৃদুস্বরে স্লোগান দিয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মশাল মিছিল
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

সাংবাদিক তুহিন হত্যায় সরাসরি ৮ জন সম্পৃক্ত বললেন জিএমপি কমিশনার

  • ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:১৯:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫
  • ৬১ বার পড়া হয়েছে

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার ড. মো. নাজমুল করিম খান জানিয়েছেন, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলায় সরাসরি ৮ জনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে। এর মধ্যে ৭ জনকে এরইমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৯ আগস্ট) গাজীপুর মেট্রোপলিটনে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান তিনি।

কমিশনার নাজমুল করিম বলেন, ‘হানিট্র্যাপ চক্রের সদস্যদের অপকর্মের ভিডিও করার কারণেই তুহিনকে হত্যা করা হয়েছে। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যেই তাদের বিচার নিশ্চিত করা হবে।’

প্রধান আসামি কেটু মিজান, যার নামে ১৫টি মামলা রয়েছে। কেটু মিজানের স্ত্রী পারুল আক্তার ওরফে গোলাপি, যিনি হানিট্র্যাপ কার্যক্রমে জড়িত। আল আমিন, যার নামে ২টি মামলা। স্বাধীন, যার নামে ২টি মামলা। শাহজালাল, যার বিরুদ্ধে ৮টি মামলা রয়েছে। ফয়সাল হাসান সাব্বির, যার বিরুদ্ধে ২টি মামলা রয়েছে।

এছাড়া আরেক আসামি আরমান পলাতক রয়েছেন, তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

জিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমরা আসামিদের গ্রেপ্তার করেছি, হত্যার অস্ত্র উদ্ধার করেছি, সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে এবং অধিকাংশ প্রমাণ আমাদের হাতে। পিএম রিপোর্ট পেলেই যত দ্রুত সম্ভব চার্জশিট দিতে পারব বলে আশা করছি। ভিডিওগুলোও ফরেনসিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে।’

তিনি জানান, ৫ আগস্টের পর অসংখ্য গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে গেছে। এতে হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। পেটের দায়ে এসব শ্রমিক অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।

জিএমপি কমিশনারবলেন, ‘গাজীপুরকে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি বলা হয়ে থাকে, তাই দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্যও এখানে নানা অপকর্ম চালানো হচ্ছে।’

ফোর্সের সংখ্যা কম থাকায় সব জায়গায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শতভাগ নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন জিএমপি কমিশনার।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ একটি জঙ্গি সংগঠন বললেন সাদিক কায়েম

সাংবাদিক তুহিন হত্যায় সরাসরি ৮ জন সম্পৃক্ত বললেন জিএমপি কমিশনার

আপডেট সময় ০২:১৯:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার ড. মো. নাজমুল করিম খান জানিয়েছেন, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলায় সরাসরি ৮ জনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে। এর মধ্যে ৭ জনকে এরইমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৯ আগস্ট) গাজীপুর মেট্রোপলিটনে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান তিনি।

কমিশনার নাজমুল করিম বলেন, ‘হানিট্র্যাপ চক্রের সদস্যদের অপকর্মের ভিডিও করার কারণেই তুহিনকে হত্যা করা হয়েছে। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যেই তাদের বিচার নিশ্চিত করা হবে।’

প্রধান আসামি কেটু মিজান, যার নামে ১৫টি মামলা রয়েছে। কেটু মিজানের স্ত্রী পারুল আক্তার ওরফে গোলাপি, যিনি হানিট্র্যাপ কার্যক্রমে জড়িত। আল আমিন, যার নামে ২টি মামলা। স্বাধীন, যার নামে ২টি মামলা। শাহজালাল, যার বিরুদ্ধে ৮টি মামলা রয়েছে। ফয়সাল হাসান সাব্বির, যার বিরুদ্ধে ২টি মামলা রয়েছে।

এছাড়া আরেক আসামি আরমান পলাতক রয়েছেন, তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

জিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমরা আসামিদের গ্রেপ্তার করেছি, হত্যার অস্ত্র উদ্ধার করেছি, সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে এবং অধিকাংশ প্রমাণ আমাদের হাতে। পিএম রিপোর্ট পেলেই যত দ্রুত সম্ভব চার্জশিট দিতে পারব বলে আশা করছি। ভিডিওগুলোও ফরেনসিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে।’

তিনি জানান, ৫ আগস্টের পর অসংখ্য গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে গেছে। এতে হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। পেটের দায়ে এসব শ্রমিক অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।

জিএমপি কমিশনারবলেন, ‘গাজীপুরকে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি বলা হয়ে থাকে, তাই দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্যও এখানে নানা অপকর্ম চালানো হচ্ছে।’

ফোর্সের সংখ্যা কম থাকায় সব জায়গায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শতভাগ নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন জিএমপি কমিশনার।