ময়মনসিংহ , শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

সাপের অতি উপদ্রব, পাঁচ মাসে ১৫ মৃত্যু চট্টগ্রামে

চট্টগ্রামের ৯ উপজেলায় গত পাঁচ মাসে বিষধর সাপের কামড়ে নারী-শিশুসহ ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগে জেলার তিনটি উপজেলাকে বিষধর সাপের অতিউপদ্রব আক্রান্ত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। গত পাঁচ মাসে তা বেড়ে ৯টি উপজেলায় উত্তীর্ণ হয়েছে। গত অক্টোবর মাসেই আনোয়ারা, বোয়ালখালী, বাঁশখালী ও সন্দ্বীপ এই চার উপজেলায় বিষধর সাপের ছোবলে প্রাণ হারিয়েছে চার জন। এদিকে বিশেষজ্ঞদের গবেষণা অনুসারে জানা যায়, সারা দেশের মধ্যে সাপের কামড়ের ঘটনা চট্টগ্রামেই সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সিলেট।

আগে বিষধর সাপের অতিউপদ্রব আক্রান্ত এলাকাগুলোর মধ্যে ছিল বোয়ালখালী, আনোয়ারা ও বাঁশখালী। বর্তমানে এই তালিকায় যুক্ত আরো ছয় উপজেলা হচ্ছে—পটিয়া, সীতাকুন্ড, মিরসরাই, চন্দনাইশ, লোহাগাড়া ও সন্দ্বীপ। সাপের কামড়ে আক্রান্তদের কেউ কেউ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় পথেই মারা গেছে। অনেকের মৃত্যু হয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে নেওয়ার পর। কেউ-বা ছোবল খাওয়ার চার ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যুবরণ করেছে। চিকিত্সকদের অভিযোগ, সাপের কামড় খাওয়ার ঘটনাটিকে গুরুত্ব না দিয়ে দেরিতে হাসপাতালে আসার কারণে অনেকে মৃত্যুবরণ করেছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ইব্রাহিম হায়দার খলিল ইত্তেফাককে বলেন, সাপের কামড়ের পরিসংখ্যানে চট্টগ্রাম সর্বোচ্চ। তার মধ্যে সাপ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে কিংবা সাপ ধরার সময় ছোবল খেয়েছে এরকম স্নেইক বাইটের রেকর্ডও আছে। চট্টগ্রামে যে সাপটির কামড়ে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ মানুষ মারা যাচ্ছে, সেটির নাম ‘পদ্ম গোখরা’। বিজ্ঞানীরা এই সাপটির নাম দিয়েছেন ‘মনোক্রেট স্নেইক’।

চট্টগ্রামে বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা নূরজাহান বেগম ইত্তেফাককে বলেন, যেভাবে চট্টগ্রামে পাহাড়-বনাঞ্চল ধ্বংস করা হচ্ছে, তাতে বিষধর সাপেরা তাদের আবাস হারিয়ে শহর- উপশহরে বাসাবাড়ি, গাড়ির গ্যারেজ, খড়ের গাদা, খামারসহ নানা স্থানে আশ্রয় নিচ্ছে। এতে সর্পদংশনের ঘটনা বাড়ছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাপের অতি উপদ্রব, পাঁচ মাসে ১৫ মৃত্যু চট্টগ্রামে

আপডেট সময় ০৯:২৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রামের ৯ উপজেলায় গত পাঁচ মাসে বিষধর সাপের কামড়ে নারী-শিশুসহ ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগে জেলার তিনটি উপজেলাকে বিষধর সাপের অতিউপদ্রব আক্রান্ত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। গত পাঁচ মাসে তা বেড়ে ৯টি উপজেলায় উত্তীর্ণ হয়েছে। গত অক্টোবর মাসেই আনোয়ারা, বোয়ালখালী, বাঁশখালী ও সন্দ্বীপ এই চার উপজেলায় বিষধর সাপের ছোবলে প্রাণ হারিয়েছে চার জন। এদিকে বিশেষজ্ঞদের গবেষণা অনুসারে জানা যায়, সারা দেশের মধ্যে সাপের কামড়ের ঘটনা চট্টগ্রামেই সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সিলেট।

আগে বিষধর সাপের অতিউপদ্রব আক্রান্ত এলাকাগুলোর মধ্যে ছিল বোয়ালখালী, আনোয়ারা ও বাঁশখালী। বর্তমানে এই তালিকায় যুক্ত আরো ছয় উপজেলা হচ্ছে—পটিয়া, সীতাকুন্ড, মিরসরাই, চন্দনাইশ, লোহাগাড়া ও সন্দ্বীপ। সাপের কামড়ে আক্রান্তদের কেউ কেউ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় পথেই মারা গেছে। অনেকের মৃত্যু হয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে নেওয়ার পর। কেউ-বা ছোবল খাওয়ার চার ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যুবরণ করেছে। চিকিত্সকদের অভিযোগ, সাপের কামড় খাওয়ার ঘটনাটিকে গুরুত্ব না দিয়ে দেরিতে হাসপাতালে আসার কারণে অনেকে মৃত্যুবরণ করেছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ইব্রাহিম হায়দার খলিল ইত্তেফাককে বলেন, সাপের কামড়ের পরিসংখ্যানে চট্টগ্রাম সর্বোচ্চ। তার মধ্যে সাপ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে কিংবা সাপ ধরার সময় ছোবল খেয়েছে এরকম স্নেইক বাইটের রেকর্ডও আছে। চট্টগ্রামে যে সাপটির কামড়ে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ মানুষ মারা যাচ্ছে, সেটির নাম ‘পদ্ম গোখরা’। বিজ্ঞানীরা এই সাপটির নাম দিয়েছেন ‘মনোক্রেট স্নেইক’।

চট্টগ্রামে বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা নূরজাহান বেগম ইত্তেফাককে বলেন, যেভাবে চট্টগ্রামে পাহাড়-বনাঞ্চল ধ্বংস করা হচ্ছে, তাতে বিষধর সাপেরা তাদের আবাস হারিয়ে শহর- উপশহরে বাসাবাড়ি, গাড়ির গ্যারেজ, খড়ের গাদা, খামারসহ নানা স্থানে আশ্রয় নিচ্ছে। এতে সর্পদংশনের ঘটনা বাড়ছে।