ময়মনসিংহ , সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

যমুনা পাড়ের মানুষের স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাধের দাবি

  • স্টাফ রির্পোটার
  • আপডেট সময় ০২:৫০:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • ১০০ বার পড়া হয়েছে

সারিয়াকান্দির কামালপুর পয়েন্টে যমুনার তীর সংরক্ষণ কাজ শুরু হয়েছে। গত বছর ঐ এলাকায় নদী ভাঙ্গনে ৫০০ ঘরবাড়ি ও ৩০০ বিঘা আবাদি জমি যমুনার গর্ভে বিলীন হয়েছে। বর্তমানে গোদাখালি পয়েন্টে নদীতীর থেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দূরত্ব ২ শত মিটারে মধ্যে রয়েছে। 

গত বছরের ভাঙ্গনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণে যমুনা তীরবর্তী কামালপুর, রৌহাদহ, হাওড়াখালি, ইছামারা ও গোখালি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন যাপন করছে। নদী পাড়ের মানুষ স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাধের দাবি জানিয়েছেন।

এর আগে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে উক্ত পয়েন্টে ৫টি গ্রুপে ঠিকাদাররা ৫২০ মিটার তীররক্ষা কাজ করছে। তীররক্ষা কাজে জিওম্যাট, বালুভর্তি জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ব্যাবহার করা হচ্ছে। কাজ সম্পন্নের সময়সীমা ৬ মাস ধার্য থাকলেও এখন পর্যন্ত গড় কাজের অগ্রগতি ৩০ ভাগ হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে যানা গেছে।

তবে ঐ কাজের দায়িত্বরত উপ-সহকারী প্রকৌশলী আহসান হাবিব বলেন, কাজ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে হানাহানি, শ্রমিক সংকট, নদীচর থেকে বালু সংগ্রহ করতে প্রশাসনিক জটিলতাসহ নানা কারণে কাজ কিছুটা শ্লথ হয়েছে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য, গোদাখালি পয়েন্টে বাঁধ ভেঙে বন্যার পানি প্রবেশ করলে সারিয়াকান্দি, ধুনট, শেরপুর, শাহজাহানপুরসহ সিরাজগঞ্জের কয়েকটি উপজেলার ফসলের ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক বলেন, স্থায়ী কাজের জন্য ৫০ কোটি টাকার একটি ডিপিপি বোর্ডে পাঠানো হয়েছে। ডিপিপি অনুমোদন হলে টেন্ডার করে কাজের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

Login Jest To Official Hellspin Site In Australia

যমুনা পাড়ের মানুষের স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাধের দাবি

আপডেট সময় ০২:৫০:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

সারিয়াকান্দির কামালপুর পয়েন্টে যমুনার তীর সংরক্ষণ কাজ শুরু হয়েছে। গত বছর ঐ এলাকায় নদী ভাঙ্গনে ৫০০ ঘরবাড়ি ও ৩০০ বিঘা আবাদি জমি যমুনার গর্ভে বিলীন হয়েছে। বর্তমানে গোদাখালি পয়েন্টে নদীতীর থেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দূরত্ব ২ শত মিটারে মধ্যে রয়েছে। 

গত বছরের ভাঙ্গনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণে যমুনা তীরবর্তী কামালপুর, রৌহাদহ, হাওড়াখালি, ইছামারা ও গোখালি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন যাপন করছে। নদী পাড়ের মানুষ স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাধের দাবি জানিয়েছেন।

এর আগে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে উক্ত পয়েন্টে ৫টি গ্রুপে ঠিকাদাররা ৫২০ মিটার তীররক্ষা কাজ করছে। তীররক্ষা কাজে জিওম্যাট, বালুভর্তি জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ব্যাবহার করা হচ্ছে। কাজ সম্পন্নের সময়সীমা ৬ মাস ধার্য থাকলেও এখন পর্যন্ত গড় কাজের অগ্রগতি ৩০ ভাগ হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে যানা গেছে।

তবে ঐ কাজের দায়িত্বরত উপ-সহকারী প্রকৌশলী আহসান হাবিব বলেন, কাজ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে হানাহানি, শ্রমিক সংকট, নদীচর থেকে বালু সংগ্রহ করতে প্রশাসনিক জটিলতাসহ নানা কারণে কাজ কিছুটা শ্লথ হয়েছে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য, গোদাখালি পয়েন্টে বাঁধ ভেঙে বন্যার পানি প্রবেশ করলে সারিয়াকান্দি, ধুনট, শেরপুর, শাহজাহানপুরসহ সিরাজগঞ্জের কয়েকটি উপজেলার ফসলের ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক বলেন, স্থায়ী কাজের জন্য ৫০ কোটি টাকার একটি ডিপিপি বোর্ডে পাঠানো হয়েছে। ডিপিপি অনুমোদন হলে টেন্ডার করে কাজের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে।