প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে, স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন। সোমবার (৫ এপ্রিল) সকাল ১১টায় কমিশন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার নিকট প্রতিবেদন পেশ করে।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রিপোর্টে এমবিবিএস ডাক্তার ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক না দেয়া, ওষুধের মূল্য, টেস্ট ও চিকিৎসকের ফি নির্ধারণসহ একগুচ্ছ সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য কমিশন ও হেলথ সার্ভিস গঠনের কথাও বলা হয়েছে; যারা সরাসরি রিপোর্ট করবে সরকার প্রধানকে।
স্বাস্থ্য অর্থায়ন অংশে বলা হয়, জিডিপি’র পাঁচ ও বাজেটের ১৫ শতাংশ স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ করতে হবে। সরকারি- বেসরকারি খাতের সমন্বয় করে স্বাস্থ্যসেবা সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য করার সুপারিশ করা হয় কমিশন প্রতিবেদনে। শুরুতে ২৫ ভাগ ওষুধ জেনেরিক নামে প্রেসক্রাইব করতে হবে। ওষুধ কোম্পানিগুলোর নমুনা বা উপহার প্রদান করে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধের কথাও বলা হয়েছে।
যোগ্যতা, স্বচ্ছতা বিবেচনা ও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা পরিহার করে যোগ্য লোকের পদায়ন করার ব্যাপারে জোর দেয়া হয়েছে সংস্কার প্রতিবেদনে।
এর আগে, স্বাস্থ্যসেবাকে জনমুখী, সহজলভ্য ও সার্বজনীন করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাবের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. একে আজাদ খানকে প্রধান করে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়।
এই কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা হলেন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জাকির হোসেন, পথিকৃৎ ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী, গাইনোকলজিস্ট অধ্যাপক ডা. সায়েবা আক্তার, শিশু স্নায়ুতন্ত্র বিভাগ অধ্যাপক ডা. নায়লা জামান খান, সাবেক সচিব এম এম রেজা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চল) অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক, আইসিডিডিআর, বির ডা. আজহারুল ইসলাম, স্কয়ার হাসপাতালের স্কয়ার ক্যান্সার সেন্টারের অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মো: আকরাম হোসেন, গ্রিন লাইফ সেন্টার ফর রিউম্যাটিক কেয়ার এন্ড রিসার্চের চিফ কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, আইসিডিডিআর, বির শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য বিভাগের বিজ্ঞানি ডা. আহমেদ এহসানুর রাহমান, ঢাকা মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী উমায়ের আফিফ।