মুহাররম মাসের সব থেকে মহিমান্বিত দিন আশুরা বা মুহাররমের ১০ তারিখ। হাদিসে আশুরার দিনের অনেক ফজিলত হয়েছে। ইসলামপূর্ব আরব জাহেলি সমাজে এবং আহলে কিতাব- ইহুদী-নাসারাদের মাঝেও ছিল এ দিনের বিশেষ গুরুত্ব ও মর্যাদা।
আল্লাহ তায়ালা আশুরার দিন কুদরত প্রকাশ করেছেন। বনি ইসরাইলের জন্য সমুদ্রে রাস্তা বের করে দিয়েছেন এবং তাদের নিরাপদে পার করে দিয়েছেন। আর একই রাস্তা দিয়ে ফেরাউন ও তার অনুসারীদের ডুবিয়ে মেরেছেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১/৪৮১)
আশুরার রোজা সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘রমজানের পর সর্বাধিক ফজিলতপূর্ণ রোজা হল আল্লাহর মাস মহররমের রোজা।’
আরেক হাদিসে হজরত আবু কাতাদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুর বর্ণনায় আশুরার রোজা সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন- আশুরার রোজা বিগত বছরের পাপসমূহ মোচন করে দেয়।’
আশুরায় রোজা ছাড়া যেসব নেক আমলে রয়েছে বহু সওয়াব। এর মধ্যে রয়েছে, অসুস্থকে দেখতে যাওয়া, দান-খয়রাত করা, নফল নামাজ আদায়, বেশি বেশি জিকির করা, কোরআন তেলাওয়াত, তওবা ও ইস্তিগফার, তাহাজ্জুদের নামাজ আদায়, গরিবদের খাওয়ানো, পরস্পরের মধ্যে বিরোধ মিটিয়ে দেওয়া, মুমিন ভাইয়ের জন্য কল্যাণ কামনায় দোয়া করা, দ্বীনি কাজে সময় ব্যয় করা।