জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন করা উচিত কি না—এ প্রশ্ন ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ লেখা পোস্টে সরগরম হয়ে উঠেছে অনলাইন অঙ্গন।
গত মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন কমিশনের কাছে ১৮ দফা সুপারিশ জমা দেয়। সেই সুপারিশে দলটি আগামী নভেম্বর মাসে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব দেয়, যাতে ভোটারদের মতামত স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়।
অন্যদিকে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় গঠিত সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গণভোটের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। সংগঠনটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘হ্যাঁ’ লিখে একটি পোস্ট দেওয়া হয়।
এদিকে গণভোট প্রসঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনও নিজস্ব অবস্থান জানিয়েছে। কমিশন নির্বাচনের আগে বা নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনের সুপারিশ করেছে এবং বিষয়টি দ্রুত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনার তাগিদ দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় সংক্রান্ত সুপারিশমালা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রীয়াজ সেদিন বলেন, ‘আজই সব রাজনৈতিক দলের কাছে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার সুপারিশমালা হস্তান্তর করা হবে। সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়—এমন বিষয়গুলো দ্রুত অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়নের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, সংবিধানসংক্রান্ত ৪৮টি বিষয়ে জনগণের মতামত জানার জন্য গণভোট আয়োজনের সুপারিশ করা হয়েছে।

ডিজিটাল ডেস্ক 
























