আদিবাসী নারীকে মারধর ও বাড়িতে আগুনের অভিযোগে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাজাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজাবিরাট আদিবাসী গ্রামের ফিলোমিনা হাসদা (৫৫) নামে ওই নারীকে নির্যাতন ও তাঁর বাড়িতে অগ্নিসংযোগের মামলায় প্রধান আসামি ছিলেন তিনি।
গাইবান্ধা পুলিশ সুপার নিশাত এ্যঞ্জেলা তাকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল বুধবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে ঢাকার শাহবাগের প্রিতম হোটেল থেকে রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম বলেন, ‘আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আসামি রফিকুল ইসলামকে ঢাকা থেকে গাইবান্ধায় ফিরিয়ে আনা হবে।’
রফিকুল ইসলাম রাজাহার ইউনিয়নের চাপড়া পাড়ার আব্দুল হাকিম মন্ডলের ছেলে। মঙ্গলবার দেশের ৪৭ জন বিশিষ্ট নাগরিক এক বিবৃতিতে আদিবাসী নারীকে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান। ফিলোমিনা হাসদা (৫৫) বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
গত শুক্রবার রাজাবিরাট বরট্ট গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ফিলোমিনা হাসদা ও তাঁর পরিবারের স্বজনদের ওপর হামলা ও বাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ ওঠে বিএনপি নেতা রফিকুলের বিরুদ্ধে। এ হামলার প্রতিবাদে সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি, আদিবাসী বাঙালি সংহতি পরিষদ এবং সামাজিক সংগ্রাম পরিষদ যৌথভাবে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। এ ঘটনায় রাজাহার ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক পদ থেকে রফিকুল ইসলামকে বহিষ্কার করা হয়। রোববার জেলা বিএনপির সভাপতি ড. ময়নুল হাসান সাদিক ও সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুন নবী টিটুল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইউনিয়নের রাজাবিরাট এলাকার বরট্ট গ্রামের আদিবাসী নারী ফিলোমনা হাসদাকে মারধর ও বসতঘরে আগুন দেওয়ার ঘটনায় রফিকুলের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, রাজাহার ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলামকে সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপের সুস্পষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সব ধরনের পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুন নবী টিটুল বলেন, শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অরাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।