ময়মনসিংহ , শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

অনন্ত জলিল:শ্রমিক নামধারী সন্ত্রাসীদের তথ্য সেনাবাহিনীর কাছে প্রদান করেছি 

  • বিনোদন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:০৮:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

অনন্ত জলিল:শ্রমিক নামধারী সন্ত্রাসীদের তথ্য সেনাবাহিনীর কাছে প্রদান করেছি

অনন্ত জলিল ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়ক, প্রযোজক । এই পরিচয়ের আগে তিনি যে দেশের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তিনি সিনেমায় আসার কয়েক বছর আগে গার্মেন্টস ব্যবসায়ী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম ‘এজেআই গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ’। সম্প্রতি দেশে চলমান পরিস্থিতিতে ব্যবসা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় এবং সেনা বাহিনীর সহযোগিতার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন অনন্ত জলিল।

অনন্ত জলিল তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে বুধবার (১২ মার্চ) ফেসবুক পোস্টে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। পোস্টের শুরুতেই তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।তিনি বলেন, এ জে আই গ্রুপ ও এবি গ্রুপের ১২০০০ কর্মকর্তা, কর্মচারী, ও শ্রমিক ভাই বোন সহ আমি অনন্ত জলিল  বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।  এ জে আই গ্রুপ ১৯৯৬ সালে স্থাপিত। এত বছর যাবত প্রতিষ্ঠান অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। এ জে আই গ্রুপ ও এবি গ্রুপের কর্মকর্তা, কর্মচারী, ও শ্রমিক ভাই বোনদেরকে সাথে নিয়ে।

অভিনেতা আরও বলেন অতি দুঃখের` সাথে জানাচ্ছি যে, মুষ্টিমেয় কিছু শ্রমিক নামধারি সন্ত্রাসী বিনা কারণে কোম্পানির অভ্যন্তরে অরাজকতা সৃষ্টি করে রেখেছে কোম্পানি যেন ধ্বংস হয়ে যায় দেশের অর্থনীতি যেন অচল হয়ে পড়ে এবং ১২০০০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান যেন বন্ধ হয়ে যায়। এই ১২০০০ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সাথে কত লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান  জড়িত  এ জে আই ও এবি গ্রুপের সাথে কত প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করছেন তারা সবাই জানেন । দিনের পর দিন এই মুষ্টিমেয় কিছু শ্রমিক নামধারী সন্ত্রাসীদের তাণ্ডব সহ্য করতে না পেরে নিম্নে লিখিত ৮ (আট) জনের নামে সাভার থানায় মামলা দায়ের করি যার মামলা নং ৩৭(১১)২০২৪ তারিখ: ১৫-১১-২০২৪।

 

তিনি আরও বলেন, গত ১০-০৩-২০২৫ এবং ১১-০৩-২০২৫ ইং তারিখে পুনরায় তাদের তাণ্ডব শুরু হওয়ার কারণে আমাদের  এ জে আই গ্রুপ ফ্যাক্টরি বন্ধ রাখতে হয়। এই বিষয়টি আমি অনন্ত জলিল সাভার ক্যান্টনমেন্ট এর মেজর জেনারেল মো. মঈন খান, ওএসপি, এনডিসি, পিএসসি মহোদ্বয়কে বিস্তারিত জানাই এবং মামলার কপি সহ আসামিদের ছবিসহ সমস্ত কাগজপত্র প্রদান করি। জনাব মেজর জেনারেল মো. মঈন খান, তাৎক্ষণিকভাবে হেমায়েতপুর সার্কেলে আর্মি ক্যাম্পে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য লে. কর্নেল শামীম রহমান, পিএসসি, সিগস্ কে নির্দেশ প্রদান করেন । তিনি আরও বলেন, লে. কর্নেল শামীম রহমান এর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে মেজর মো. রিফাত রেজা, সিগস্ ও মেজর মো. শাহাদত হোসেন, সিগস্ এবং তাদের টিম নিয়ে কোম্পানিতে এসে তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে সমস্ত এভিডেন্স নিয়ে অপারেশন শুরু করেন এবং রাত্রেই ক্যাপ্টেন জাফির সাহেবের নেতৃত্বে    ২ (দুই) জন শ্রমিক নামধারী সন্ত্রাসী এবং সন্ত্রাসী বাহিনী বানানোর কারিগর ও প্রতিষ্ঠানে অরাজকতা তৈরির উসকানিদাতা কবির হোসেন কে ধরতে সক্ষম হন এবং তাদেরকে সাভার মডেল থানায় হস্তান্তর করেন।

পোস্টের সঙ্গে দেয়া ছবিগুলোর প্রসঙ্গ টেনে এই অভিনেতা বলেন, ছবিগুলোতে বর্ণিত আরোও যে মামলার আসামিগণ আছেন তাদেরকে ধরার জন্য সেনাবাহিনীর অপারেশন অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা আরোও কিছু শ্রমিক নামধারী সন্ত্রাসীদের তথ্য সেনাবাহিনীর কাছে প্রদান করেছি তাদেরকেও আইনের আওতায় আনার জন্য অপারেশন অব্যাহত রয়েছে |আমি এবং আমার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, কর্মচারী, ও শ্রমিকসহ সবাই সেনাবাহিনীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি দেশের কর্মসংস্থান ও দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখার জন্য। এই বলিষ্ঠ পদক্ষেপ আমাদের দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আমরা আশা রাখি।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

অনন্ত জলিল:শ্রমিক নামধারী সন্ত্রাসীদের তথ্য সেনাবাহিনীর কাছে প্রদান করেছি 

আপডেট সময় ০২:০৮:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

অনন্ত জলিল:শ্রমিক নামধারী সন্ত্রাসীদের তথ্য সেনাবাহিনীর কাছে প্রদান করেছি

অনন্ত জলিল ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়ক, প্রযোজক । এই পরিচয়ের আগে তিনি যে দেশের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তিনি সিনেমায় আসার কয়েক বছর আগে গার্মেন্টস ব্যবসায়ী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম ‘এজেআই গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ’। সম্প্রতি দেশে চলমান পরিস্থিতিতে ব্যবসা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় এবং সেনা বাহিনীর সহযোগিতার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন অনন্ত জলিল।

অনন্ত জলিল তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে বুধবার (১২ মার্চ) ফেসবুক পোস্টে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। পোস্টের শুরুতেই তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।তিনি বলেন, এ জে আই গ্রুপ ও এবি গ্রুপের ১২০০০ কর্মকর্তা, কর্মচারী, ও শ্রমিক ভাই বোন সহ আমি অনন্ত জলিল  বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।  এ জে আই গ্রুপ ১৯৯৬ সালে স্থাপিত। এত বছর যাবত প্রতিষ্ঠান অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। এ জে আই গ্রুপ ও এবি গ্রুপের কর্মকর্তা, কর্মচারী, ও শ্রমিক ভাই বোনদেরকে সাথে নিয়ে।

অভিনেতা আরও বলেন অতি দুঃখের` সাথে জানাচ্ছি যে, মুষ্টিমেয় কিছু শ্রমিক নামধারি সন্ত্রাসী বিনা কারণে কোম্পানির অভ্যন্তরে অরাজকতা সৃষ্টি করে রেখেছে কোম্পানি যেন ধ্বংস হয়ে যায় দেশের অর্থনীতি যেন অচল হয়ে পড়ে এবং ১২০০০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান যেন বন্ধ হয়ে যায়। এই ১২০০০ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সাথে কত লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান  জড়িত  এ জে আই ও এবি গ্রুপের সাথে কত প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করছেন তারা সবাই জানেন । দিনের পর দিন এই মুষ্টিমেয় কিছু শ্রমিক নামধারী সন্ত্রাসীদের তাণ্ডব সহ্য করতে না পেরে নিম্নে লিখিত ৮ (আট) জনের নামে সাভার থানায় মামলা দায়ের করি যার মামলা নং ৩৭(১১)২০২৪ তারিখ: ১৫-১১-২০২৪।

 

তিনি আরও বলেন, গত ১০-০৩-২০২৫ এবং ১১-০৩-২০২৫ ইং তারিখে পুনরায় তাদের তাণ্ডব শুরু হওয়ার কারণে আমাদের  এ জে আই গ্রুপ ফ্যাক্টরি বন্ধ রাখতে হয়। এই বিষয়টি আমি অনন্ত জলিল সাভার ক্যান্টনমেন্ট এর মেজর জেনারেল মো. মঈন খান, ওএসপি, এনডিসি, পিএসসি মহোদ্বয়কে বিস্তারিত জানাই এবং মামলার কপি সহ আসামিদের ছবিসহ সমস্ত কাগজপত্র প্রদান করি। জনাব মেজর জেনারেল মো. মঈন খান, তাৎক্ষণিকভাবে হেমায়েতপুর সার্কেলে আর্মি ক্যাম্পে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য লে. কর্নেল শামীম রহমান, পিএসসি, সিগস্ কে নির্দেশ প্রদান করেন । তিনি আরও বলেন, লে. কর্নেল শামীম রহমান এর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে মেজর মো. রিফাত রেজা, সিগস্ ও মেজর মো. শাহাদত হোসেন, সিগস্ এবং তাদের টিম নিয়ে কোম্পানিতে এসে তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে সমস্ত এভিডেন্স নিয়ে অপারেশন শুরু করেন এবং রাত্রেই ক্যাপ্টেন জাফির সাহেবের নেতৃত্বে    ২ (দুই) জন শ্রমিক নামধারী সন্ত্রাসী এবং সন্ত্রাসী বাহিনী বানানোর কারিগর ও প্রতিষ্ঠানে অরাজকতা তৈরির উসকানিদাতা কবির হোসেন কে ধরতে সক্ষম হন এবং তাদেরকে সাভার মডেল থানায় হস্তান্তর করেন।

পোস্টের সঙ্গে দেয়া ছবিগুলোর প্রসঙ্গ টেনে এই অভিনেতা বলেন, ছবিগুলোতে বর্ণিত আরোও যে মামলার আসামিগণ আছেন তাদেরকে ধরার জন্য সেনাবাহিনীর অপারেশন অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা আরোও কিছু শ্রমিক নামধারী সন্ত্রাসীদের তথ্য সেনাবাহিনীর কাছে প্রদান করেছি তাদেরকেও আইনের আওতায় আনার জন্য অপারেশন অব্যাহত রয়েছে |আমি এবং আমার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, কর্মচারী, ও শ্রমিকসহ সবাই সেনাবাহিনীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি দেশের কর্মসংস্থান ও দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখার জন্য। এই বলিষ্ঠ পদক্ষেপ আমাদের দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আমরা আশা রাখি।