প্রসাদ দাস :
অভিনব কৌশলে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবল সহ ২ জন জেল হাজতে! ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার অষ্টধার ইউনিয়নের ভূগলী রেলক্রসিং এলাকার গত ১৬ এপ্রিল রাত আনুমানিক ৮ টায়।
ভুক্তভোগী ও মামলার এজাহার সূত্রে জানাযায় ঘটনার দিন কথিত পুলিশ সোর্স মুক্তাগাছা উপজেলার পারুলীতলা কালীবাড়ি গ্রামের আব্দুলহ আল মামুনের ছেলে কায়সার আহাম্মেদ শুভ (২৬) ও জামালপুর সদর উপজেলার ভারুয়ামারী শেখ বাড়ি গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে ময়মনসিংহ জেলার পলিশ কনস্টেবল নং ১৩৮৪ মোঃ মেহেদী হাসান (২৭) —-( প্রেষনে RAB এ যোগদানের জন্য ছাড়পত্র প্রাপ্ত, যার বিপি নং – ৯৬১৬১৮৯৯৮৮) অষ্টধার কায়দা পাড়া গ্রমের আঃ কাদির এর ছেলে মোঃ শাহীন আলম এর ভূগলী রেলক্রসিং সংলগ্ন বিকাশ ও মুদির দোকানে প্রবেশ করে প্রথমে শাহীনের মোবাইল ফোন কেড়েনিয়ে বলে তুই অনলাইনে জুয়া খেলিস এবং বিকাশ একাউন্টের পাসওয়ার্ড জানতে চায়। একপর্যায়ে আলাপ আলোচনা করার জন্য শাহীনকে দোকান থেকে নামিয়ে অন্ধকারে নিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে অন্যথায় তাকে থানায় নিয়ে যাওয়ার ভয় ভীতি দেখায়।
অভিনব কৌশলে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবল সহ ২ জন জেল হাজতে
বিষটি আশেপাশের দোকানদার ও পথচারীদের নজরে এলে তারা তাদের পরিচয় জানতে চায় এসময় তার নিজেদের পুলিশের লোক বলে দাবি করে এসময় তাদের আই ডি কার্ড দেখতে চাইলে তারা তা দেখাতে না পারায় জনমনে সন্দেহ হয় এরা ভূয়া পুলিশ।
এসময় স্থানীয় লোকজন তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করায় তারা স্বীকার করে এর আগেও এভাবে শাহীনের নিকট হতে ২৫ হাজার টাকা নিয়েছিলো।
স্থানীয় লোকজন বিষয়টি কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাইন উদ্দিন কে মোবাইল ফোনে জানালে তিনি এস আই আলী আকবরের নেতৃত্ব ঘটনাস্থলে একদল পুলিশ পাঠান।
পুলিশ আটককৃতদের রাত ১টার দিকে বিক্ষোভদ্ধ জনতার হাত থেকে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
পরে তাদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী শাহীন আলম থানার আটক ২ জনকে আসামী করে থানায় এজাহার দিলে পুলিশ উক্ত এজাহায় আমলে নিয়ে পেনালকোড ৩৮৫ ধারায় মামলা রুজু করে তাদের জেল হাজতে পাঠায়।
যার মামলা নং – কোতোয়ালী মডেল থানা -৪২/১৭।
এদিকে এবিষয় নিয়ে কয়েকজন হলুদ সাংবাদিক বাদী শহীন আলমকে জুয়ারি হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য সাশিমাজিক যোগাযোগ ফেজবুকে উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শাহীন আলম।