সম্প্রতি দেলোয়ার হোসেনের এমন নানা কুকীর্তির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা তাকে এই ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার কথা বললেও তিনি একই ধরনের কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন। চারদিন আগে বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ এসেও তাকে নিষেধ করেছে। তিনি থানায় এমন কাজ আর করবেন না বলে মুচলেকাও দিয়ে আসেন। কিন্তু থানা থেকে এসে আবারও দম্ভ ভরে একই কাজ শুরু করেন।
এতে ক্ষুব্দ হয়ে স্থানীয়রা সেখানে একটি মানববন্ধন আয়োজন করে। এতে ওই কথিত পীরের কিছু মুরিদ বাধা দেয়ারও চেষ্টা করে। পরে এলাকাবাসী একজোট হয়ে দেলোয়ার হোসেন ওরফে সাঈদ এর বাড়িতে গড়ে তোলা কথিত মাজার ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। তবে তার আগেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান কথিত পীর দোলোয়ার ওরফে সাঈদ।
এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।
ওসি আরও জানান, গোয়েন্দা তথ্য ও এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, ওই লোক একজন ভণ্ড পীর। নিজের বাড়ির ভেতরে কবর বানাইছে। মারা গেলে সেখানে তিনি নাকি কবরস্থ হবেন। মুরিদদের মানসিক ভারসাম্য নষ্ট করে তার স্ত্রীদের নিজের কাছে রাখতেন বা ব্যবহার করতেন। কোনো মহিলা তার কাছে গেলে তাদের শরীরে হাত দিতেন। এমন বিভিন্ন কুফরী কাজ চালাতেন। এলাকাবাসী ও পুলিশ তাদের ইসলাম পরিপন্থি এসব অবৈধ কাজ না করতে নিষেধ করেছিল। কিন্তু তিনি শোনেনি। তাই গ্রামের মানুষ সবাই মিলে তার কথিত মাজার ঘর গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কথিত পীর দেলোয়ার হোসেন ওরফে সাঈদ পলাতক থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।