শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই দেশজুড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। এর ধারাবাহিকতায় দলটি সম্প্রতি “লকডাউন কর্মসূচি”র ঘোষণা দিয়ে নতুনভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনা নেয়। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় ফাঁস হয়ে যায় তাদের সেই পরিকল্পনা।
সূত্র জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা রাজধানীজুড়ে এক লাখ গ্যাস বেলুন উড়িয়ে রাজনৈতিক প্রতিরোধ ও প্রতীকী প্রতিবাদ জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এসব বেলুনে দলীয় রঙ ও স্লোগান ব্যবহার করার পরিকল্পনাও ছিল তাদের।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন বিভাগে সমন্বিত অভিযানে মোট ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে রয়েছেন—
* নওয়াবাড়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি *রূপচান ব্যাপারী*,
* ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক *আবরার খান তাহমিদ*,
* ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য *রায়হান খান আজাদ*,
* শেরেবাংলা নগর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ *এবিএম নুরুল হক ছোটন চৌধুরী* এবং দলটির বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের আরও কয়েকজন নেতা।
ডিবি জানায়, মিরপুর বিভাগ থেকে তিনজন, রমনা থেকে তিনজন, সাইবার বিভাগ থেকে দুইজন, মতিঝিল থেকে চারজন, ওয়ারি থেকে পাঁচজন, উত্তরা থেকে দুইজন, তেজগাঁও থেকে দুইজন, লালবাগ থেকে তিনজন এবং গুলশান বিভাগ থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ডিসি তালিবুর রহমান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছেন— ঢাকায় আকস্মিক *ঝটিকা মিছিল* আয়োজন করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনা ছিল তাদের। পাশাপাশি, রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা ও যমুনা এলাকাসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দলীয় রঙে বেলুন উড়িয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ করার প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন তারা
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, এই পরিকল্পনার পেছনে ছিল সংগঠিত রাজনৈতিক প্রতিরোধের একটি বড়সড় প্রচেষ্টা। তবে গ্রেপ্তারকৃতদের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন, তারা নিরপরাধ এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই তাদের আটক করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন, এবং মামলার তদন্ত চলছে। এখন দেখার বিষয়— রাজধানীতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এই অভিযান কতটা প্রভাব ফেলতে পারে।

অনলাইন ডেস্ক 






















