জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানসহ ৭ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর)। কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে তাদের।
এছাড়াও এদিন পুলিশের সাবেক ডিসি জসিম উদ্দিন মোল্লা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফী, গুলশান থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাজহারুল ইসলাম ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে। তাদের কাশিমপুর কারাগার থেকে হাজির করা হবে।
একাধিক কারাসূত্র জানায়, গণহত্যায় রাজসাক্ষী হতে পারেন আইজিপি মামুন। আন্দোলনে পুলিশকে কে কে গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তা উঠে আসতে পারে তার জবানবন্দিতে। তবে সব চূড়ান্ত হতে পারে ট্রাইব্যুনালের কিছু সিদ্ধান্তের পর। শেষ পর্যন্ত রাজসাক্ষী না হলেও ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে পারেন তিনি।
গত ৩ সেপ্টেম্বর উত্তরা থেকে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। কয়েকটি থানার ১৭ মামলায় তাকে কয়েক দফায় ৬৬ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
১২ নভেম্বর প্রসিকিউশনের আবেদনে জিয়াউল আহসানকে একদিন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সেদিন চিফ প্রসিকিউটর জানান, জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যায় জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে। তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য যাচাইয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হকার শাহজাহানকে হত্যার অভিযোগে ঢাকার নিউ মার্কেট থানার মামলায় ১৫ অগাস্ট রাতে খিলক্ষেত থেকে জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।