ময়মনসিংহ , শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবস

বিশ্ব পরিবেশ দিবস আজ। ১৯৭৪ সালে প্রথমবারের মতো দিবসটি উদযাপন করা শুরু হয়েছিল। এরপর থেকে প্রতি বছরই দিবসটি সারাবিশ্বের বিভিন্ন শহরে, আলাদা আলাদা প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে পালিত হয়। এ বছর বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হবে।

এবছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে-‘প্লাস্টিক দূষণ আর নয়, বন্ধ করার এখনি সময়’ অর্জন করতে হবে মোদের খরা সহনশীলতা’।

বর্তমান অন্ধকারময় পরিস্থিতিতে অতীতকে ফেরানো সম্ভব নয় ঠিকই। তবে আমাদের বেশি বেশি চেষ্টা করতে হবে। আমাদের আশেপাশের শহরকে আরও সবুজ রাখতে হবে। সবাই উদ্বিগ্ন না হয়ে পরিবেশের সচেতনতার বিষয়ে সক্রিয় হয়ে ওঠার অঙ্গিকার নিতে হবে।

১৯৬৮ সালের ২০মে জাতিসংঘের অর্থনীতি ও সামাজিক পরিষদের কাছে একটি চিঠি পাঠায় সুইডেন সরকার। চিঠির বিষয়বস্তু ছিল প্রকৃতি ও পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে তাদের গভীর উদ্বেগের জকথা। সে বছরই জাতিসংঘের পক্ষ থেকে পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি সাধারণ অধিবেশনের আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিলো।

১৯৭৩ সালে সম্মেলনের প্রথম দিন ৫ জুনকে জাতিসংঘ ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা দেয়। এর পরের বছর আমেরিকায় ১৯৭৪ সালে ‘অনলি ওয়ান আর্থ’ বা ‘একমাত্র পৃথিবী’ এই থিম নিয়ে প্রথম বিশ্ব পরিবেশ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও এবারের ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবসে’ জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পরিবেশ অধিদফতর ও বন অধিদফতরের মাধ্যমে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে সবুজ পৃথিবী গড়ার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী কারণে মানবজাতি ও অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রকৃতি যেন কিছুটা প্রাণ ফিরে পেয়েছে। সারাবিশ্ব একসঙ্গে ‘লকডাউন’ হওয়ায় পরিবেশ দূষণ কমেছে, পৃথিবী একটি গাঢ় সবুজ গ্রহে পরিণত হয়েছে।’ পৃথিবীতে বিশ্ব পরিবেশ দিবস হিসাবে একটি দিনকে আলাদা করে পালনের গুরুত্ব অপরিসীম। যে পরিবেশের উপর নির্ভর করে গড়ে উঠেছে আজকের উন্নত মানব সভ্যতা, যে পরিবেশ আমাদের সমাজকে দিয়েছে বর্তমানের সমৃদ্ধি, সেই পরিবেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য একটি দিন উৎসর্গ করা আমাদের সকলের পবিত্র কর্তব্য।

আমাদের চারপাশের প্রকৃতি বা পরিবেশই হলো বর্তমানকালের অহংকারী মানুষের উন্নত সমৃদ্ধ সভ্যতার মূল ধারক। এই ধারক ও বাহকের মূলসত্তাই যখন গোড়া থেকে বিষিয়ে ওঠে সভ্যতারই ক্রিয়াকলাপে, তখন আপাতদৃষ্টিতে উন্নত বলে মনে হওয়া সমাজ অচিরেই ভেঙে পড়বে। বিশ্বের বুকে প্রকৃতির অবদান বোঝাতেই এই দিন পালন করা হয়। এই দিনটি পালন এর মধ্যে দিয়ে সমাজের সর্বস্তরের কাছে পৌঁছে যায় পরিবেশ সচেতনতার বার্তা। পরিবেশ এবং সভ্যতার পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া সম্বন্ধে বহুলাংশে অজ্ঞ সাধারন মানুষ এই দিনটি পালনের মধ্য দিয়ে মানব জাতির অস্তিত্ব রক্ষায় পরিবেশের গুরুত্বের অসীমতা সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠে। ইউনাইটেড নেশনস বা রাষ্ট্রপুঞ্জের উদ্যোগে প্রকৃতির অবদান সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে শুরু হয় এই উদযাপন। প্রকৃতিকে রক্ষা করতে পরিবেশবিদ ও বিভিন্ন সম্প্রদায়কে সচেতন করার চেষ্টা চালানো হয় এই নির্দিষ্ট দিনে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবস

আপডেট সময় ০১:১৬:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫

বিশ্ব পরিবেশ দিবস আজ। ১৯৭৪ সালে প্রথমবারের মতো দিবসটি উদযাপন করা শুরু হয়েছিল। এরপর থেকে প্রতি বছরই দিবসটি সারাবিশ্বের বিভিন্ন শহরে, আলাদা আলাদা প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে পালিত হয়। এ বছর বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হবে।

এবছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে-‘প্লাস্টিক দূষণ আর নয়, বন্ধ করার এখনি সময়’ অর্জন করতে হবে মোদের খরা সহনশীলতা’।

বর্তমান অন্ধকারময় পরিস্থিতিতে অতীতকে ফেরানো সম্ভব নয় ঠিকই। তবে আমাদের বেশি বেশি চেষ্টা করতে হবে। আমাদের আশেপাশের শহরকে আরও সবুজ রাখতে হবে। সবাই উদ্বিগ্ন না হয়ে পরিবেশের সচেতনতার বিষয়ে সক্রিয় হয়ে ওঠার অঙ্গিকার নিতে হবে।

১৯৬৮ সালের ২০মে জাতিসংঘের অর্থনীতি ও সামাজিক পরিষদের কাছে একটি চিঠি পাঠায় সুইডেন সরকার। চিঠির বিষয়বস্তু ছিল প্রকৃতি ও পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে তাদের গভীর উদ্বেগের জকথা। সে বছরই জাতিসংঘের পক্ষ থেকে পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি সাধারণ অধিবেশনের আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিলো।

১৯৭৩ সালে সম্মেলনের প্রথম দিন ৫ জুনকে জাতিসংঘ ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা দেয়। এর পরের বছর আমেরিকায় ১৯৭৪ সালে ‘অনলি ওয়ান আর্থ’ বা ‘একমাত্র পৃথিবী’ এই থিম নিয়ে প্রথম বিশ্ব পরিবেশ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও এবারের ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবসে’ জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পরিবেশ অধিদফতর ও বন অধিদফতরের মাধ্যমে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে সবুজ পৃথিবী গড়ার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী কারণে মানবজাতি ও অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রকৃতি যেন কিছুটা প্রাণ ফিরে পেয়েছে। সারাবিশ্ব একসঙ্গে ‘লকডাউন’ হওয়ায় পরিবেশ দূষণ কমেছে, পৃথিবী একটি গাঢ় সবুজ গ্রহে পরিণত হয়েছে।’ পৃথিবীতে বিশ্ব পরিবেশ দিবস হিসাবে একটি দিনকে আলাদা করে পালনের গুরুত্ব অপরিসীম। যে পরিবেশের উপর নির্ভর করে গড়ে উঠেছে আজকের উন্নত মানব সভ্যতা, যে পরিবেশ আমাদের সমাজকে দিয়েছে বর্তমানের সমৃদ্ধি, সেই পরিবেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য একটি দিন উৎসর্গ করা আমাদের সকলের পবিত্র কর্তব্য।

আমাদের চারপাশের প্রকৃতি বা পরিবেশই হলো বর্তমানকালের অহংকারী মানুষের উন্নত সমৃদ্ধ সভ্যতার মূল ধারক। এই ধারক ও বাহকের মূলসত্তাই যখন গোড়া থেকে বিষিয়ে ওঠে সভ্যতারই ক্রিয়াকলাপে, তখন আপাতদৃষ্টিতে উন্নত বলে মনে হওয়া সমাজ অচিরেই ভেঙে পড়বে। বিশ্বের বুকে প্রকৃতির অবদান বোঝাতেই এই দিন পালন করা হয়। এই দিনটি পালন এর মধ্যে দিয়ে সমাজের সর্বস্তরের কাছে পৌঁছে যায় পরিবেশ সচেতনতার বার্তা। পরিবেশ এবং সভ্যতার পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া সম্বন্ধে বহুলাংশে অজ্ঞ সাধারন মানুষ এই দিনটি পালনের মধ্য দিয়ে মানব জাতির অস্তিত্ব রক্ষায় পরিবেশের গুরুত্বের অসীমতা সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠে। ইউনাইটেড নেশনস বা রাষ্ট্রপুঞ্জের উদ্যোগে প্রকৃতির অবদান সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে শুরু হয় এই উদযাপন। প্রকৃতিকে রক্ষা করতে পরিবেশবিদ ও বিভিন্ন সম্প্রদায়কে সচেতন করার চেষ্টা চালানো হয় এই নির্দিষ্ট দিনে।