ময়মনসিংহ , সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

আজ ২০তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে

  • ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৫৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৩ বার পড়া হয়েছে

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার ২০তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ অনুষ্ঠিত হবে।

আজ সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন প্যানেল এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করবেন।

এর আগে ২১ সেপ্টেম্বর দুপুরে ট্রাইব্যুনালে জুনায়েদের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল পর্যন্ত চলে। তবে জেরা শেষ না হওয়ায় তা আজ পর্যন্ত মুলতবি করা হয়। মামলার ৪৮ নম্বর সাক্ষী হিসেবে জুনায়েদ ২০১৩ সালের কোটাবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত বিভিন্ন ঘটনার বর্ণনা দেন। একইদিন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের জেরাও অবশিষ্টাংশসহ সম্পন্ন হয়।

মামলায় ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী জবানবন্দি দিয়েছেন। গত ২ সেপ্টেম্বর সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী হয়ে আদালতে জানান, শেখ হাসিনা ও কামালের নির্দেশেই জুলাই-আগস্টে দেশজুড়ে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল। তিনি এ জন্য ক্ষমা চান এবং গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য আদালতের সামনে তুলে ধরেন। এছাড়া বিভিন্ন সময় চিকিৎসক, সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরাও সাক্ষ্য দিয়েছেন।

সাক্ষীদের জবানবন্দিতে উঠে এসেছে গত বছরের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দেশজুড়ে হত্যাযজ্ঞ ও নৃশংসতার বিবরণ। শহীদ পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীরা শেখ হাসিনা, কামালসহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

উল্লেখ্য, গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউশনের আনা পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে গণহত্যা, হত্যা ও অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধ অন্তর্ভুক্ত।

মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে রয়েছে দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার তথ্যসূত্র, চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার জব্দতালিকা ও প্রমাণাদি এবং দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার শহীদদের তালিকা। মামলায় মোট সাক্ষী রয়েছেন ৮১ জন। গত ১২ মে তদন্ত সংস্থা প্রতিবেদন জমা দেয় চিফ প্রসিকিউটরের কাছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

আজ ২০তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে

আপডেট সময় ১০:৫৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার ২০তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ অনুষ্ঠিত হবে।

আজ সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন প্যানেল এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করবেন।

এর আগে ২১ সেপ্টেম্বর দুপুরে ট্রাইব্যুনালে জুনায়েদের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল পর্যন্ত চলে। তবে জেরা শেষ না হওয়ায় তা আজ পর্যন্ত মুলতবি করা হয়। মামলার ৪৮ নম্বর সাক্ষী হিসেবে জুনায়েদ ২০১৩ সালের কোটাবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত বিভিন্ন ঘটনার বর্ণনা দেন। একইদিন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের জেরাও অবশিষ্টাংশসহ সম্পন্ন হয়।

মামলায় ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী জবানবন্দি দিয়েছেন। গত ২ সেপ্টেম্বর সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী হয়ে আদালতে জানান, শেখ হাসিনা ও কামালের নির্দেশেই জুলাই-আগস্টে দেশজুড়ে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল। তিনি এ জন্য ক্ষমা চান এবং গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য আদালতের সামনে তুলে ধরেন। এছাড়া বিভিন্ন সময় চিকিৎসক, সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরাও সাক্ষ্য দিয়েছেন।

সাক্ষীদের জবানবন্দিতে উঠে এসেছে গত বছরের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দেশজুড়ে হত্যাযজ্ঞ ও নৃশংসতার বিবরণ। শহীদ পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীরা শেখ হাসিনা, কামালসহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

উল্লেখ্য, গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউশনের আনা পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে গণহত্যা, হত্যা ও অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধ অন্তর্ভুক্ত।

মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে রয়েছে দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার তথ্যসূত্র, চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার জব্দতালিকা ও প্রমাণাদি এবং দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার শহীদদের তালিকা। মামলায় মোট সাক্ষী রয়েছেন ৮১ জন। গত ১২ মে তদন্ত সংস্থা প্রতিবেদন জমা দেয় চিফ প্রসিকিউটরের কাছে।