ময়মনসিংহ , শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
জুলাই সনদ যেন প্রতারণার বস্তুতে পরিণত না হয় বললেন আখতার বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই বললেন সাদিক রাজনৈতিক বিভেদে ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবর্তন ঘটলে জাতি ক্ষমা করবে না বললেন সালাহউদ্দিন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ফিল্ডিং করছিলেন, আচমকা মাঠেই লুটিয়ে পড়েন প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে গম আসছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনকালে কোনো দুর্নীতি করিনি বললেন ধর্ম উপদেষ্টা মির্জা ফখরুলের আহ্বান নির্বাচনে সব দলকে অংশ নেওয়ার ৪ দেশের বিশেষজ্ঞ টিম বিমানবন্দরে আগুনের ঘটনা তদন্তে আসছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার হলে জামায়াতের হবে না কেন বললেন মাসুদ কামাল প্রভাসের ‘ফৌজি’, বাংলা ভাষাতেও মুক্তি পাবে
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

আট বছরের কারাদণ্ড সাবেক এমপি মিজানের

  • স্টাফ রির্পোটার
  • আপডেট সময় ০২:৪৬:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১০২ বার পড়া হয়েছে

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মিজানুর রহমানের পৃথক দুই ধারায় আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে উভয় ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বিধায় তার পাঁচ বছরের সাজাভোগ করতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মুহাম্মদ আবু তাহের এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ধারায় তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো তিন মাস কারাদণ্ড এবং একই আইনের ২৭(১) ধারায় পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০ হাজা  টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, এদিন তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর সকাল ১০ টা ৩৫ মিনিটে তাকে আদালতে তোলা হয়।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আসামিপক্ষের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন খান বলেন, আসামির দাবি শেখ পরিবারের রোষানলে তাকে রাজনৈতিক মাঠ থেকে মাইনাস করতেই এই মামলা করা হয়েছে। তিনি একজন সংসদ সদস্য ছিলেন, তার বিরুদ্ধে মাত্র এক কোটি ৫৮ লাখ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে। যা মোটেও সত্য নয়। এ রায়ে আমরা ন্যায় বিচার বঞ্চিত হয়েছি। এ সাজার বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির পরিচালক মো. মঞ্জুর মোর্শেদ। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৩ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তিনি। অভিযোগপত্রে আসামির বিরুদ্ধে ১ কোটি ৫৮ লাখ ৫৭ হাজার ৯৮১ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ২০ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। এ মামলার বিচার চলাকালীন ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

গত ২৩ জানুয়ারি দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের জন্য ৩০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। ওইদিন আদালত তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জুলাই সনদ যেন প্রতারণার বস্তুতে পরিণত না হয় বললেন আখতার

আট বছরের কারাদণ্ড সাবেক এমপি মিজানের

আপডেট সময় ০২:৪৬:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মিজানুর রহমানের পৃথক দুই ধারায় আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে উভয় ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বিধায় তার পাঁচ বছরের সাজাভোগ করতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মুহাম্মদ আবু তাহের এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ধারায় তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো তিন মাস কারাদণ্ড এবং একই আইনের ২৭(১) ধারায় পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০ হাজা  টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, এদিন তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর সকাল ১০ টা ৩৫ মিনিটে তাকে আদালতে তোলা হয়।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আসামিপক্ষের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন খান বলেন, আসামির দাবি শেখ পরিবারের রোষানলে তাকে রাজনৈতিক মাঠ থেকে মাইনাস করতেই এই মামলা করা হয়েছে। তিনি একজন সংসদ সদস্য ছিলেন, তার বিরুদ্ধে মাত্র এক কোটি ৫৮ লাখ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে। যা মোটেও সত্য নয়। এ রায়ে আমরা ন্যায় বিচার বঞ্চিত হয়েছি। এ সাজার বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির পরিচালক মো. মঞ্জুর মোর্শেদ। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৩ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তিনি। অভিযোগপত্রে আসামির বিরুদ্ধে ১ কোটি ৫৮ লাখ ৫৭ হাজার ৯৮১ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ২০ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। এ মামলার বিচার চলাকালীন ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

গত ২৩ জানুয়ারি দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের জন্য ৩০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। ওইদিন আদালত তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।