প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আগুনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আট ও নয়তলা। আগুনের ঘটনায় হুঁশিয়ারি দিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, আমাদের ব্যর্থ করার এই ষড়যন্ত্রে যে বা যারাই জড়িত থাকবে তাদের বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি আরও লেখেন, আমাদেরকে ব্যর্থ করার এই ষড়যন্ত্রে যে বা যারাই জড়িত থাকবে তাদের বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না। এই মুহূর্তে আছি নীলফামারীতে, যত দ্রুত সম্ভব ঢাকা ব্যাক করছি।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) মধ্যরাত ১টা ৫২ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিটের চেষ্টায় বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
সকাল ৯টায় তিনি সচিবালয়ের সামনে এক ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
এদিকে সকাল পৌনে ৭টার দিকে সচিবালয়ের সামনে বিফ্রিংয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন, রাত ১টা ৫২ মিনিটে আমরা মেসেজ পাই সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লেগেছে। ১টা ৫৪ মিনিটের মধ্যে আমাদের ইউনিট পৌঁছে যায়। এখানে ১৯টি ইউনিট কাজ করেছে। এর মধ্যে ১০টি ইউনিট সরাসরি কাজ করেছে। এখানে গাড়ি প্রবেশে কিছুটা সীমাবদ্ধতা আছে। বিশেষ করে বড় গাড়িগুলো ঢোকানো কঠিন ছিল।
জাহেদ কামাল বলেন, কী কারণে আগুনের সূত্রপাত তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
একটা দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। প্রথমধাপে এসে একজন ফায়ার ফাইটার পানির পাম্প থেকে পাইপে লাইন সংযোগ দিচ্ছিল। এ সময় রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগামী ট্রাক তাকে আঘাত করে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মৃত ঘোষণা করা হয়।
এই ভবনে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, শ্রম ও কর্মসংস্থান, যুব ও ক্রীড়া, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়, সড়ক পরিবহন সেতু বিভাগ রয়েছে।