ময়মনসিংহ , সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
শাহবাগ অবরোধ ৫ কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের অবৈধ আয়ে পরিচালিত রাজনীতি শক্তির প্রদর্শনকে উৎসাহিত করে বললেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা হাসপাতালে ভর্তি নচিকেতা কওমী মাদ্রাসার স্বীকৃত ডিগ্রিধারী নিকাহ রেজিস্ট্রার হতে পারবে বললেন আসিফ নজরুল ‘কাজী হতে পারবেন কওমীর স্বীকৃত ডিগ্রিধারীরাও’- ড. আসিফ নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনে ভালো করতে না পারার কারণ জানালেন ফখরুল গুম করে আয়নাঘরে নির্যাতন:তিন সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে হাজির ১১৪ জুলাই শহিদের মরদেহ উত্তোলন করছে সিআইডি রায়েরবাজার থেকে জেঁকে বসেছে শীত তেঁতুলিয়ায় , তাপমাত্রা ১১.১ সালমান-আনিসুলকে ট্রাইব্যুনালে আনা হলো
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনির আরও ৩০ লাশ হস্তান্তর

  • ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
  • ৪১ বার পড়া হয়েছে

চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে ইসরায়েল আরও ৩০ জন ফিলিস্তিনির মৃতদেহ গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করেছে এবং এদের মধ্যে কয়েকটি লাশে নির্যাতনের সুস্পষ্ট চিহ্ন দেখা গেছে। 

গত বুধবার (২২ অক্টোবর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্য রেড ক্রস (ICRC)-এর মাধ্যমে এই লাশগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘বেশ কিছু লাশে মারধরের আঘাত, বাঁধা হাত এবং চোখে কাপড় বাঁধা থাকার মতো নির্যাতনের পরিষ্কার চিহ্ন দেখা গেছে।’ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ১৪ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল মোট ১৯৫ জন ফিলিস্তিনির মৃতদেহ ফেরত দিয়েছে, যার মধ্যে মাত্র ৫৭টি লাশ সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

ইসরায়েলের বছরের পর বছর ধরে চলা অবরোধ এবং গাজার পরীক্ষাগারগুলো ধ্বংস হওয়ার কারণে ফরেনসিক পরীক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়ায় পরিবারগুলো বাকি থাকা শারীরিক চিহ্ন বা পোশাকের ওপর ভিত্তি করে তাদের স্বজনদের সনাক্ত করার চেষ্টা করছে।

ফিলিস্তিনি ন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু রিট্রিভ মার্টার্স’ বডিস-এর তথ্য অনুসারে, যুদ্ধবিরতির আগে ইসরায়েলের হাতে ৭৩৫ জন ফিলিস্তিনির মৃতদেহ ছিল। এছাড়া, হারেৎজ পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দক্ষিণ ইসরায়েলের কুখ্যাত সদে তেইমান সামরিক ঘাঁটিতে গাজার প্রায় ১,৫০০ ফিলিস্তিনির মৃতদেহ আটকে রেখেছে।

আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। চুক্তির প্রথম ধাপে ফিলিস্তিনি বন্দীদের বিনিময়ে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি এবং ইসরায়েলের আংশিক সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরিকল্পনায় আরও রয়েছে গাজার পুনর্গঠন এবং হামাসকে বাদ দিয়ে একটি নতুন শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর ২০২৩ থেকে ইসরায়েলের ‘গণহত্যা যুদ্ধে’ এ পর্যন্ত মোট ৬৮,২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং ১,৭০,৩০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শাহবাগ অবরোধ ৫ কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের

ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনির আরও ৩০ লাশ হস্তান্তর

আপডেট সময় ১০:০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে ইসরায়েল আরও ৩০ জন ফিলিস্তিনির মৃতদেহ গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করেছে এবং এদের মধ্যে কয়েকটি লাশে নির্যাতনের সুস্পষ্ট চিহ্ন দেখা গেছে। 

গত বুধবার (২২ অক্টোবর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্য রেড ক্রস (ICRC)-এর মাধ্যমে এই লাশগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘বেশ কিছু লাশে মারধরের আঘাত, বাঁধা হাত এবং চোখে কাপড় বাঁধা থাকার মতো নির্যাতনের পরিষ্কার চিহ্ন দেখা গেছে।’ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ১৪ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল মোট ১৯৫ জন ফিলিস্তিনির মৃতদেহ ফেরত দিয়েছে, যার মধ্যে মাত্র ৫৭টি লাশ সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

ইসরায়েলের বছরের পর বছর ধরে চলা অবরোধ এবং গাজার পরীক্ষাগারগুলো ধ্বংস হওয়ার কারণে ফরেনসিক পরীক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়ায় পরিবারগুলো বাকি থাকা শারীরিক চিহ্ন বা পোশাকের ওপর ভিত্তি করে তাদের স্বজনদের সনাক্ত করার চেষ্টা করছে।

ফিলিস্তিনি ন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু রিট্রিভ মার্টার্স’ বডিস-এর তথ্য অনুসারে, যুদ্ধবিরতির আগে ইসরায়েলের হাতে ৭৩৫ জন ফিলিস্তিনির মৃতদেহ ছিল। এছাড়া, হারেৎজ পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দক্ষিণ ইসরায়েলের কুখ্যাত সদে তেইমান সামরিক ঘাঁটিতে গাজার প্রায় ১,৫০০ ফিলিস্তিনির মৃতদেহ আটকে রেখেছে।

আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। চুক্তির প্রথম ধাপে ফিলিস্তিনি বন্দীদের বিনিময়ে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি এবং ইসরায়েলের আংশিক সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরিকল্পনায় আরও রয়েছে গাজার পুনর্গঠন এবং হামাসকে বাদ দিয়ে একটি নতুন শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর ২০২৩ থেকে ইসরায়েলের ‘গণহত্যা যুদ্ধে’ এ পর্যন্ত মোট ৬৮,২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং ১,৭০,৩০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।