জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ১১ দফা এজেন্ডা নিয়ে সংলাপ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের রূপরেখা তৈরির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) এই সংলাপ শুরু হয়।
নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রথম দিনের প্রথম সেশনে ছয়টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি অংশ নেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। স্বাগত বক্তব্য দেন ইসি সচিব আখতার আহমেদ। তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত করা ১১টি আলোচ্যসূচি উপস্থাপন করেন।
সংলাপে আলোচনার জন্য নির্ধারিত প্রধান ১১টি এজেন্ডা হলো— ১. তফসিল ঘোষণার আগে প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলসমূহের করণীয় নির্ধারণ, ২. তফসিল ঘোষণার পর কঠোরভাবে আচরণ বিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করা, ৩. আচরণ বিধি অনুসারে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকারনামা সম্পাদন, ৪. প্রার্থীদের সঙ্গে রিটার্নিং অফিসারদের অঙ্গীকারনামা সম্পাদন, ৫. আউট অব কান্ট্রি ভোট এবং ইন কান্ট্রি পোস্টাল ভোট বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনা, ৬. তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনি এজেন্ট নিয়োগ ও ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা, ৭. ভুল তথ্য ও অপতথ্য প্রতিরোধে পদক্ষেপ গ্রহণ, ৮. নির্বাচনে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণ, ৯. সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ভঙ্গ না করা, লিঙ্গ, বর্ণ ও ধর্ম নিয়ে কোনো বৈষম্য না করা, ১০. ধর্মীয় উপাসনালয়কে রাজনৈতিক প্রচারণার জন্য ব্যবহার না করা এবং ১১. এআই জেনারেটেড ভিডিও দ্বারা প্রতিপক্ষ, লিঙ্গ ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত না করা।
ইসি সূত্র জানায়, আগামী কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে এই সংলাপ চলবে। সংলাপ শেষে প্রাপ্ত মতামতের ভিত্তিতে কমিশন নির্বাচনি আচরণবিধি ও নীতিমালা হালনাগাদ করবে।

অনলাইন ডেস্ক 



















