দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী হেবরনের পুরোনো শহরে ফিলিস্তিনিদের ওপর কারফিউ জারি রেখে ইব্রাহিমি মসজিদ মুসলিমদের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে, যাতে অবৈধ বসতি স্থাপনকারীরা ইহুদি ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পারে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) এমন অভিযোগ করেছেন স্থানীয় কর্মীরা।
বেসরকারি হেবরন ডিফেন্স কমিটির সদস্য এবং এলাকার বাসিন্দা আরেফ জাবের বার্তা সংস্থা আনাদোলুকে জানান, শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকাল থেকে পুরোনো শহরের বিভিন্ন মহল্লায় কারফিউ কার্যকর রয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী পুরোনো শহরে যাওয়ার সামরিক চেকপয়েন্টগুলো বন্ধ করে দিয়ে প্রবেশ ও বেরোনো পুরোপুরি নিষিদ্ধ করেছে। এতে অনেক ফিলিস্তিনি বাড়িতে ফিরতে না পেরে হেবরনের অন্যত্র আত্মীয়দের বাসায় রাত কাটাতে বাধ্য হন।
বসতি স্থাপনকারীদের এই উৎসবটি ‘সারাহ’স ডে’—হেবরনে অনুষ্ঠিত এক বার্ষিক ইহুদি অনুষ্ঠান, যেখানে শহরে ঐতিহাসিক ইহুদি উপস্থিতির বর্ণনাকে জোরদার করা হয়।
পুরোনো হেবরনের এই মসজিদ সম্পূর্ণ ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় অবস্থিত, যেখানে প্রায় ৪০০ অবৈধ বসতি স্থাপনকারীকে পাহারা দিতে প্রায় ১,৫০০ ইসরায়েলি সেনা মোতায়েন রয়েছে।
১৯৯৪ সালে এক অবৈধ বসতি স্থাপনকারীর হামলায় ২৯ ফিলিস্তিনি উপাসক নিহত হওয়ার পর ইসরায়েল মসজিদটি ভাগ করে দেয়—৬৩ শতাংশ অংশ ইহুদি উপাসনার জন্য এবং ৩৭ শতাংশ মুসলিমদের জন্য বরাদ্দ করা হয়। ইহুদি অংশের মধ্যে আজান দেওয়ার কক্ষটিও রয়েছে।
ইসরায়েলের একতরফা ব্যবস্থাপনায় বছরে ১০ দিন ইহুদি ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে মসজিদটি পুরোপুরি মুসলিমদের জন্য বন্ধ থাকে এবং ১০টি ইসলামিক উপলক্ষে পুরোপুরি ইহুদিদের জন্য বন্ধ রাখা হয়। তবে ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মুসলিমদের ধর্মীয় দিবসে পূর্ণ প্রবেশাধিকারের নিয়ম আর মানা হচ্ছে না।

ডিজিটাল ডেস্ক 

























