নরসিংদী জেলা জামায়াতে ইসলামীর জেনারেল সেক্রেটারি উপাধ্যক্ষ আমজাদ হোসাইন বলেন, আগে পলাশ বাসস্ট্যান্ড ও ঘোড়াশাল বাসস্ট্যান্ডে চলন্ত সড়কে ট্রাক দাঁড় করিয়ে নিত ২০-৩০ টাকা, এখন নেওয়া হচ্ছে ১০০ টাকা। মাসে ৭০ হাজার টাকা অবৈধভাবে উত্তোলন করা হয়, এখানে কোনো ইজারা নেই।
গত রোববার (২১ আগস্ট) বিকেলে পলাশের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আমজাদ হোসাইন বলেন, ফ্যাসিস্ট আমলে সার কারখানার যে ট্রাকস্ট্যান্ড আছে, ওই ট্রাকস্ট্যান্ড থেকে চাঁদা নিত ১০০-১৫০ টাকা। বর্তমানে প্রতিটি ট্রাককে দিতে হয় ৬শ টাকা। এই টাকা যায় কোথায়, এই টাকা কি সরকার উঠায়, নাকি ফ্যাক্টরি উঠায়। এই টাকা কে উঠায়? জমা দেয় কার কাছে? এটা এ দেশের মানুষ জানে।
তিনি বলেন, ফ্যাক্টরির মালিকরা এখন রাজনৈতিক দলের নেতাদের মাসিক বেতন দেয়। কর্মচারীদের যেমন বেতন দেওয়া হয়। নরসিংদীর পলাশে ছোটবড় ১২৮টি কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় চাঁদার হার মাসিক হারে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি কথা বলেছি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। তারা আমাকে জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চাঁদা প্রদান করা না হলে, চাঁদাবাজরা কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য হুমকি-ধমকি দেয়। এসব চাঁদাবাজ কারা আপনারা জানেন।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ঘোড়াশাল পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের সভাপতি প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম। পৌর শাখার সহকারী সেক্রেটারি মকসুদুর রহমানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন—জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মো. সাইয়েদুজ্জামান, জেলা ইউনিট সদস্য মাওলানা মোজাম্মেল হক, পলাশ থানা সেক্রেটারি মাসুদ করিমসহ অনেকে।