ময়মনসিংহ , সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ২১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

এনসিপি নেতার ওপর চড়াও বিএনপি নেতারা ফরিদপুরে মঞ্চে জায়গা না পেয়ে

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় একটি সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে জায়গা না পেয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতার ওপর চড়াও হয়েছেন বিএনপি নেতারা। এতে অনুষ্ঠানস্থলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পরে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের পশ্চিম পাতরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। কর্মসূচির আয়োজন করেছিল ‘সৎসংঘ সামাজিক উন্নয়ন সোসাইটি’।

এ সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সদ্য সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আইয়ুব মোল্লা, উপজেলা কৃষক দলের সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান ওরফে সাঈদ মুন্সী, ভাঙ্গা পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মিজানুর রহমান ওরফে পান্না, চুমুরদি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি জাফর শেখ ও আজিমনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. সিরাজ মাতুব্বর। এর মধ্যে চড়াও হওয়ার ঘটনার নেতৃত্ব দেন আইয়ুব মোল্লা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, এনসিপি নেতা আশরাফ হোসেনকে রক্ষা করতে গিয়ে ইউএনওকেও কয়েক দফায় বিএনপির কর্মীদের তোপের মুখে পড়তে হয়। খবর পেয়ে কাছাকাছি রাজনৈতিক সভায় থাকা কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে নেতাকর্মীদের নিবৃত্ত করেন। পরে কর্মসূচি স্বাভাবিকভাবে শুরু হয়।

আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোর্তজা বলেন, ‘এটি একটি সামাজিক অনুষ্ঠান। রাজনৈতিক নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এনসিপির নেতা কখন মঞ্চে উঠেছেন, তা আমার জানা নেই। বিতর্ক ওঠায় তিনি মঞ্চ থেকে নেমে যান।’

ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার ইকবাল হোসেন বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের মঞ্চে বসানো হয়নি, এনসিপির আহ্বায়ককে মঞ্চে বসানো হয়েছে। কিছুটা ভুল–বোঝাবুঝি হয়েছিল, পরে বিষয়টির সমাধান হয়েছে।

এনসিপির নেতা আশরাফ হোসেন জানান, বিএনপির কর্মীরা তাকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করলে ইউএনওর হস্তক্ষেপে তিনি রক্ষা পান। পরে শহীদুল ইসলাম এসে যারা চড়াও হয়েছিলেন, তাদের দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করিয়েছেন। তিনি নিজেও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

ভাঙ্গার ইউএনও মিজানুর রহমান বলেন, এনসিপির আহ্বায়ক মঞ্চে বসায় বিএনপির নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হন। পরে শহীদুল ইসলাম ও খন্দকার ইকবালের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

এনসিপি নেতার ওপর চড়াও বিএনপি নেতারা ফরিদপুরে মঞ্চে জায়গা না পেয়ে

আপডেট সময় ০১:১৭:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় একটি সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে জায়গা না পেয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতার ওপর চড়াও হয়েছেন বিএনপি নেতারা। এতে অনুষ্ঠানস্থলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পরে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের পশ্চিম পাতরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। কর্মসূচির আয়োজন করেছিল ‘সৎসংঘ সামাজিক উন্নয়ন সোসাইটি’।

এ সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সদ্য সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আইয়ুব মোল্লা, উপজেলা কৃষক দলের সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান ওরফে সাঈদ মুন্সী, ভাঙ্গা পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মিজানুর রহমান ওরফে পান্না, চুমুরদি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি জাফর শেখ ও আজিমনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. সিরাজ মাতুব্বর। এর মধ্যে চড়াও হওয়ার ঘটনার নেতৃত্ব দেন আইয়ুব মোল্লা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, এনসিপি নেতা আশরাফ হোসেনকে রক্ষা করতে গিয়ে ইউএনওকেও কয়েক দফায় বিএনপির কর্মীদের তোপের মুখে পড়তে হয়। খবর পেয়ে কাছাকাছি রাজনৈতিক সভায় থাকা কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে নেতাকর্মীদের নিবৃত্ত করেন। পরে কর্মসূচি স্বাভাবিকভাবে শুরু হয়।

আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোর্তজা বলেন, ‘এটি একটি সামাজিক অনুষ্ঠান। রাজনৈতিক নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এনসিপির নেতা কখন মঞ্চে উঠেছেন, তা আমার জানা নেই। বিতর্ক ওঠায় তিনি মঞ্চ থেকে নেমে যান।’

ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার ইকবাল হোসেন বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের মঞ্চে বসানো হয়নি, এনসিপির আহ্বায়ককে মঞ্চে বসানো হয়েছে। কিছুটা ভুল–বোঝাবুঝি হয়েছিল, পরে বিষয়টির সমাধান হয়েছে।

এনসিপির নেতা আশরাফ হোসেন জানান, বিএনপির কর্মীরা তাকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করলে ইউএনওর হস্তক্ষেপে তিনি রক্ষা পান। পরে শহীদুল ইসলাম এসে যারা চড়াও হয়েছিলেন, তাদের দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করিয়েছেন। তিনি নিজেও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

ভাঙ্গার ইউএনও মিজানুর রহমান বলেন, এনসিপির আহ্বায়ক মঞ্চে বসায় বিএনপির নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হন। পরে শহীদুল ইসলাম ও খন্দকার ইকবালের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।