নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে চাঁদা দাবি ও মারধরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা। এ সময় তারা ভুলতা-কুড়িল বিশ্বরোড সড়কে চলাচলরত বেশ কয়েকটি বিআরটিসি ডাবল ডেকার বাস বন্ধ করে যাত্রী নামিয়ে দেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে উপপরিদর্শক (এসআই) ও কনস্টেবলকে মারধর করেন বিক্ষুব্ধ সিএনজি চালকরা।
গত বুধবার বিকালে পূর্বাচল উপশহরে কাঞ্চন-কুড়িল বিশ্বরোড সড়কের কাঞ্চন সেতুর পশ্চিম পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
গত কয়েকদিন ধরে পূর্বাচল উপশহরে তিনশ’ ফুট সড়কের কুড়িল এলাকায় সিএনজি চালকদের কাছে চাঁদা দাবি করেন বিআরটিসি বাসের ঠিকাদারদের নিয়োজিত রাকিব ও জাহিদের লোকজন। সড়কে সিএনজি চালাতে হলে প্রতি মাসে গাড়ি প্রতি তিন থেকে চার হাজার টাকা চাঁদা ধার্য করেন তারা। সিএনজি চালকরা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে রাকিব ও জিহাদের নেতৃত্বে ১০/১৫ জন সিএনজি ভাঙচুর ও চালকদের মারধর করেন। এ বিষয়ে বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনকে জানালেও সিএনজি চালকরা এর কোনো বিচার পায়নি বলে অভিযোগ তাদের।
বিকেলে তারা সব বিআরটিসি বাস চলাচল বন্ধ করে দেন এবং অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন। এ সময় চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
খবর পেয়ে পূর্বাচল চায়না ক্যাম্পের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ও বিআরটিসির বাস চালু করার চেষ্টা চালায়। এ সময় বিক্ষুব্ধ সিএনজি চালকরা এসআই আবু ছাইম ও কনস্টেবল বাচ্চুকে মারধর করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যাপারে পূর্বাচল চায়না ক্যাম্পের ইনচার্জ আবু ছায়েম বলেন, ‘গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের নিরাপদে নামাতে গেলে সিএনজি চালকদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। তারা আমাদের ওপর চড়াও হন।’
এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী।