অনলাইন নিউজ-
করপোরেশনের বাড়ির মালিকরা বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন। বেশির ভাগেরই নেই করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন)। করযোগ্য আয় থাকার পরও আয়কর রিটার্ন জমা দেন নি তারা। কয়েক হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।কর ফাঁকি রোধ ও করযোগ্য ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে করের আওতায় আনতে নতুন চ্যালেঞ্জে নেমেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।জানা গেছে, এনবিআরের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সরকারি-বেসরকারি অন্তত ১৬টি প্রতিষ্ঠানের সিস্টেমে আন্তঃসংযোগ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে ২৫ শতাংশ, ২০৩১ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে শতভাগ আন্তঃসংযোগ স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
রাজস্ব আহরণের সঙ্গে সম্পর্কিত সব সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের তথ্য ও সেবা শতভাগ অনলাইনে পাওয়া সম্ভব হবে।’মূলত আয়কর, ভ্যাট, আমদানি-রপ্তানি ও আবগারি শুল্ক আহরণের কার্যক্রম প্রযুক্তিনির্ভর পরিবীক্ষণ, মূল্যায়ন ও নিয়ন্ত্রণ করতেই এমন পরিকল্পনার পথে হাঁটছে এনবিআর।করের আওতা বাড়াতে গত কয়েক বছরে বিপুলসংখ্যক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে টিআইএনের আওতায় এনেছে এনবিআর। এ জন্য সরকারি-বেসরকারি ৪৪টি সেবার বিপরীতে রিটার্ন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যার ইতিবাচক প্রভাব হিসেবে বর্তমানে টিআইএনধারীর সংখ্যা কোটি ছাড়িয়েছে।
করের আওতায় আনা হচ্ছে বাড়ি-গাড়ির মালিকদের
পাশাপাশি করের আওতা বাড়াতে ও কর ফাঁকি বন্ধ করতে মোটরযান ও নৌযান নিবন্ধন, সকল ধরনের ট্রেড লাইসেন্স এবং ঠিকাদার তালিকাভুক্তি বা নবায়নে আয়কর রিটার্ন বাধ্যতামূলক করতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ২০২২ সাল চিঠি চালাচালি করে আসছে এনবিআর।বর্তমানে বিআরটিএ থেকে গাড়ি মালিকদের আর জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর থেকে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকারীদের ডাটা নিয়ে তথ্য যাচাই করার সুযোগ পাচ্ছে এনবিআরের আয়কর বিভাগ। যার সুফল আসতে শুরু করেছে বলে মনে করছেন কর কর্মকর্তারা।আয়কর আইন-২০২৩ অনুযায়ী ই-টিআইএন থাকলে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক। অর্থাৎ দাখিল না করার সুযোগ নেই। কিন্তু অনেকেই আয় গোপন ও কর পরিহারের উদ্দেশে রিটার্ন দাখিল থেকে বিরত থাকছেন।