ময়মনসিংহ , সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
বিধিমালায় না থাকায় এনসিপিকে শাপলা দেওয়ার সুযোগ নেই বললেন ইসি সচিব ৩০০ আসনে চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ৭৬১ আগামী নির্বাচনে তারেক রহমান খুলনা বিভাগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাথে কথা বলবেন সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ব্যক্তিগত ভাড়ায় ব্যস্ত, রোগী ও স্বজনরা দুর্ভোগে দিনাজপুরে সিআইডি নতুন করে ২৭৯৪ জনবল চায় বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সুন্দরী নারীরা রাস্তায় বের হতে পারবে না বললেন ফয়জুল করিম বৃহস্পতিবার বৈঠক করবে সরকারের ৩১ বিভাগের সঙ্গে ইসি নোয়াখালী ক্রিকেট খেলা নিয়ে তর্ক, মাদরাসাছাত্রকে গলা কেটে হত্যা করলো সহপাঠী ডিসেম্বরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা বিএনপি ক্ষমতায় এলে মানুষ ঘুমাতে পারবে না বললেন ফয়জুল করীম
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

‘কাবালি’ প্রযোজকের মরদেহ উদ্ধার ভাড়া বাড়ি থেকে

  • স্টাফ রির্পোটার
  • আপডেট সময় ০৩:৪৪:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৮৭ বার পড়া হয়েছে

তেলেগু চলচ্চিত্র প্রযোজক কেপি চৌধুরী আর নেই। গোয়ায় ভাড়া বাড়ি থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। কেপি চৌধুরী সুপারস্টার রজনীকান্তের ‘কাবালি’ চলচ্চিত্রের জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিতি পেয়েছিলেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে যে কেপি চৌধুরী গত ছয় মাস ধরে গোয়ার ওই ভাড়া ফ্ল্যাটে একাই বসবাস করছিলেন। পুলিশ তার শয়নকক্ষ থেকে এক পৃষ্ঠার একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে। ইংরেজিতে লেখা সেই নোটে উল্লেখ ছিল, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) কেপি চৌধুরীকে তার বন্ধুরা ফোন করলেও তিনি উত্তর দেননি। এরপর বন্ধুরা দুশ্চিন্তায় ফ্ল্যাটের মালিককে বিষয়টি জানান। মালিক গিয়ে দেখতে পান যে, চৌধুরী মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। তিনি দ্রুত পুলিশকে খবর দেন, যারা পরে চৌধুরীর মাকে এই মর্মান্তিক খবরটি জানায়। তার মা খাম্মামের পালভাঞ্জা এলাকায় থাকেন, যেখানে কেপি চৌধুরীর শৈশব কেটেছে।

কেপি চৌধুরী, যিনি সুংকারা কৃষ্ণ প্রসাদ চৌধুরী নামেও পরিচিত। যন্ত্র প্রকৌশলে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরে পুনের ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির’ অপারেশনস ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেন। তবে ২০১৬ সালে তিনি চাকরি ছেড়ে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশের সিদ্ধান্ত নেন।

কেপি চৌধুরী বিগত কয়েক বছরে বেশ কিছু আর্থিক ও ব্যক্তিগত সমস্যার সম্মুখীন হন। ইন্ডিয়া টুডে জানায়, তিনি সাইবারাবাদ স্পেশাল অপারেশনস টিমের হাতে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দুই বছর আগে তিনি ৯৩ গ্রাম কোকেনসহ ধরা পড়েছিলেন। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, তিনি টলিউড, কলিউড এবং ব্যবসায়ী মহলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে মাদককারবারি হিসেবে যুক্ত ছিলেন।

ব্যক্তিগত, পেশাগত ও আইনগত নানা সমস্যায় জর্জরিত কেপি চৌধুরী শেষ পর্যন্ত চরম মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন। ঘনিষ্ঠসূত্রের বরাতে জানা যায়, ২০২৩ সালের গ্রেপ্তারের পর থেকেই তিনি হতাশায় ভুগছিলেন এবং সেই চাপই তার মৃত্যুর অন্যতম কারণ হয়ে উঠতে পারে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

বিধিমালায় না থাকায় এনসিপিকে শাপলা দেওয়ার সুযোগ নেই বললেন ইসি সচিব

‘কাবালি’ প্রযোজকের মরদেহ উদ্ধার ভাড়া বাড়ি থেকে

আপডেট সময় ০৩:৪৪:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

তেলেগু চলচ্চিত্র প্রযোজক কেপি চৌধুরী আর নেই। গোয়ায় ভাড়া বাড়ি থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। কেপি চৌধুরী সুপারস্টার রজনীকান্তের ‘কাবালি’ চলচ্চিত্রের জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিতি পেয়েছিলেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে যে কেপি চৌধুরী গত ছয় মাস ধরে গোয়ার ওই ভাড়া ফ্ল্যাটে একাই বসবাস করছিলেন। পুলিশ তার শয়নকক্ষ থেকে এক পৃষ্ঠার একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে। ইংরেজিতে লেখা সেই নোটে উল্লেখ ছিল, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) কেপি চৌধুরীকে তার বন্ধুরা ফোন করলেও তিনি উত্তর দেননি। এরপর বন্ধুরা দুশ্চিন্তায় ফ্ল্যাটের মালিককে বিষয়টি জানান। মালিক গিয়ে দেখতে পান যে, চৌধুরী মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। তিনি দ্রুত পুলিশকে খবর দেন, যারা পরে চৌধুরীর মাকে এই মর্মান্তিক খবরটি জানায়। তার মা খাম্মামের পালভাঞ্জা এলাকায় থাকেন, যেখানে কেপি চৌধুরীর শৈশব কেটেছে।

কেপি চৌধুরী, যিনি সুংকারা কৃষ্ণ প্রসাদ চৌধুরী নামেও পরিচিত। যন্ত্র প্রকৌশলে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরে পুনের ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির’ অপারেশনস ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেন। তবে ২০১৬ সালে তিনি চাকরি ছেড়ে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশের সিদ্ধান্ত নেন।

কেপি চৌধুরী বিগত কয়েক বছরে বেশ কিছু আর্থিক ও ব্যক্তিগত সমস্যার সম্মুখীন হন। ইন্ডিয়া টুডে জানায়, তিনি সাইবারাবাদ স্পেশাল অপারেশনস টিমের হাতে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দুই বছর আগে তিনি ৯৩ গ্রাম কোকেনসহ ধরা পড়েছিলেন। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, তিনি টলিউড, কলিউড এবং ব্যবসায়ী মহলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে মাদককারবারি হিসেবে যুক্ত ছিলেন।

ব্যক্তিগত, পেশাগত ও আইনগত নানা সমস্যায় জর্জরিত কেপি চৌধুরী শেষ পর্যন্ত চরম মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন। ঘনিষ্ঠসূত্রের বরাতে জানা যায়, ২০২৩ সালের গ্রেপ্তারের পর থেকেই তিনি হতাশায় ভুগছিলেন এবং সেই চাপই তার মৃত্যুর অন্যতম কারণ হয়ে উঠতে পারে।