ময়মনসিংহ , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন শেখ হাসিনাকে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিশু আরাফাত মারা গেছে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিশন গঠন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ঘন কুয়াশায় নাটোরে ৬ ট্রাকে সংঘর্ষ, নিহত ১ আহত ৭ ডলার বাজারে অস্থিরতা, লেনদেনের তথ্য চায় বাংলাদেশ ব্যাংক সাবেক এমপি পোটন রিমান্ডে যুবদল নেতা হত্যা মামলায় টিউলিপ সিদ্দিককে যুক্তরাজ্যে জিজ্ঞাসাবাদ,৪ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাৎ চিরকুট লিখে বীর মুক্তিযোদ্ধা আত্মহত্যা করলেন দুদকের মামলা স্ত্রী-কন্যাসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুরের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহে সরকারি প্রতিষ্ঠানে চলছিল অস্ত্র-মাদক কেনাবেচা
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

কেন প্রয়োজন সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ?

  • স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় ১০:৪৫:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪
  • ২৭ বার পড়া হয়েছে

প্রতি বছর 12 ডিসেম্বর সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিবস হিসেবে পালন করা হয় । কিন্তু , কেন প্রয়োজন এই সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ? আর এই সুরক্ষার লক্ষেই বা কীভাবে পৌঁছানো যাবে বা এর উপকারীতাই বা কী সেই ব্যাপারে বিশদে জেনে নেওয়া যাক ।রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুইতেরেস বলেন, ‘‘প্যানডেমিকের প্রেক্ষিতে আমরা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরিষেবা ও সুরক্ষার দিক থেকে নানা নতুন ধরনের পদ্ধতি দেখতে পেয়েছি । আর প্রস্তুতির দিকেও অগ্রগতি হয়েছে । আমাদের এই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত । সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিবসে চলুন আমরা শপথ নিই যে এই সংকটকে আমরা শেষ করব । আর সুরক্ষিত ও স্বাস্থ্য সম্মত ভবিষ্যতের লক্ষে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আমাদের বিনিয়োগ করতে হবে, যাতে এখনই সকলকে সুরক্ষা দেওয়া যায় ।’’

প্রতি বছর 12 ডিসেম্বর সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিবস হিসেবে পালন করা হয় । এই দিনেই প্রথমবার রাষ্ট্রসঙ্ঘে সর্বসম্মতভাবে একটি প্রস্তাব পাস করানো হয় । তাতে বিশ্বের প্রতিটি মানুষের জন্য সহজলভ্য ও যথাযথ গুণমানের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা করতে সমস্ত দেশকে আবেদন করা হয় । রাষ্ট্রসঙ্ঘের তরফে নেওয়া সিদ্ধান্ত দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি-তেও এটাকে যুক্ত করা হয় । আর এই বছরের থিম হল, ‘‘সকলের জন্য স্বাস্থ্য : সবাইকে সুরক্ষা প্রদান করা’’ ।

কেন প্রয়োজন সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ?

ধর্ম, সম্প্রদায়, জাতি, লিঙ্গ এবং সামাজিক অবস্থান ব্যতিরেকে এই পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ তাঁদের আর্থিক অবস্থা ও কঠিন পরিস্থিতি সত্ত্বেও যাতে সেরা চিকিৎসা পরিষেবা পায় , সেটা নিশ্চিত করাই সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার উদ্দেশ্য । কোনও দেশের জনসংখ্যা যদি স্বাস্থ্যকর হয়, তাহলে সেই দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির পথ সুগম হয় । বিশেষ করে এখন, যখন আমরা একটা বিশ্বব্যাপী প্যানডেমিকের মধ্যে রয়েছি, তখন আমাদের অবশ্যই এটা সুনিশ্চিত করতে হবে যে, সকলেই যাতে সমান ও যথাযথ গুণমানের স্বাস্থ্য সুরক্ষা পায় ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু জানিয়েছে যে, সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরাসরি জনসাধারণের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে । দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন ও দারিদ্রতা দূরীকরণের কাজে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । এছাড়া সামাজিক অসাম্য দূর করার ক্ষেত্রে যে কোনও প্রচেষ্টাতেও এর একটা ভূমিকা থাকে । নাগরিকদের ভালো রাখতে কোনও একটি সরকারের প্রতিশ্রুতির নির্দশনই হল সর্বজনীন সুরক্ষা ।

সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থার লক্ষে কীভাবে পৌঁছানো যাবে ?

হু-এর হিসেব অনুযায়ী, কোনও সম্প্রদায় বা কোনও দেশকে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার আওতায় আসতে গেলে কতগুলি পদক্ষেপ করতে হবে । যার মধ্যে রয়েছে,

  • মানবকেন্দ্রীক সুসংহত সুরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে এমন শক্তিশালী, উপযুক্ত ও সঠিক ভালো পরিচালিত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দরকার ।
  • সহজলভ্যতা – স্বাস্থ্য পরিষেবাকে আর্থিক সুরক্ষা দেওয়ার একটা ব্যবস্থা থাকতে হবে । যাতে আর্থিক সমস্যার কারণে কোনও মানুষকে ওই স্বাস্থ্য পরিষেবা নিতে সংকটে পড়তে না হয় । এই সুরক্ষার ব্যবস্থা একাধিক পদ্ধতিতে করা যায় ।
  • অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ ও পরীক্ষা করার প্রযুক্তি এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিতে হবে ।
  • রোগীদের কাছে থাকা তথ্যের ভিত্তিতে পর্যাপ্ত পরিষেবা দেওয়ার জন্য সঠিক পরিমাণে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত, উদ্যমী স্বাস্থ্য কর্মী প্রয়োজন ।

সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থার উপকারিতা

ভারতের জাতীয় স্বাস্থ্য পোর্টাল বা এনএইচপি-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলির মাধ্যমে সর্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উপকারে লাগতে পারে :

  • জনসংখ্যার স্বাস্থ্যের মান বৃদ্ধি করা ।
  • দক্ষ, স্বচ্ছ ও দায়বদ্ধতা সম্পন্ন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ।
  • দারিদ্রতা আরও কমিয়ে দেওয়া ।
  • ভালো কাজ ।
  • কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা ।
  • সাম্যবাদ বৃদ্ধি করা ।
  • সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় নীতি ।

ভারতে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেওয়ার জন্য যে 10 টি নীতি মেনে চলা হয়, তা এনএইচপি-ও জানিয়েছে ।

  • সর্বজনীনতা ।
  • সাম্যবাদ ।
  • কাউকে বাদ না দেওয়া এবং কারও প্রতি বৈষম্য না দেখানো ।
  • ভালো মানের ও বাস্তব সম্মত টানা সুরক্ষা ।
  • আর্থিক সুরক্ষা ।
  • রোগীদের অধিকার রক্ষা করা ।
  • শক্তশালী জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা তৈরি করা ।
  • দায়বদ্ধতা ও স্বচ্ছতা ।
  • সামাজিক অংশগ্রহণ ।
  • স্বাস্থ্যকে মানুষের হাতে সঁপে দেওয়া ।

ফলে, সঠিক মানের স্বাস্থ্য সুরক্ষা মানুষের অধিকার । পৃথিবীতে কাউকেই এর থেকে বঞ্চিত করা উচিত নয় । একজন ব্যক্তি চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন নাকি পাবেন না, তা তাঁর আর্থিক পরিস্থিতি বিচার করে ঠিক করা উচিত নয় । দেশের সবাইকে স্বাস্থ্য সুরক্ষার মধ্যে আনতে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সরকার ।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন শেখ হাসিনাকে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে

কেন প্রয়োজন সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ?

আপডেট সময় ১০:৪৫:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

প্রতি বছর 12 ডিসেম্বর সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিবস হিসেবে পালন করা হয় । কিন্তু , কেন প্রয়োজন এই সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ? আর এই সুরক্ষার লক্ষেই বা কীভাবে পৌঁছানো যাবে বা এর উপকারীতাই বা কী সেই ব্যাপারে বিশদে জেনে নেওয়া যাক ।রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুইতেরেস বলেন, ‘‘প্যানডেমিকের প্রেক্ষিতে আমরা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরিষেবা ও সুরক্ষার দিক থেকে নানা নতুন ধরনের পদ্ধতি দেখতে পেয়েছি । আর প্রস্তুতির দিকেও অগ্রগতি হয়েছে । আমাদের এই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত । সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিবসে চলুন আমরা শপথ নিই যে এই সংকটকে আমরা শেষ করব । আর সুরক্ষিত ও স্বাস্থ্য সম্মত ভবিষ্যতের লক্ষে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আমাদের বিনিয়োগ করতে হবে, যাতে এখনই সকলকে সুরক্ষা দেওয়া যায় ।’’

প্রতি বছর 12 ডিসেম্বর সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিবস হিসেবে পালন করা হয় । এই দিনেই প্রথমবার রাষ্ট্রসঙ্ঘে সর্বসম্মতভাবে একটি প্রস্তাব পাস করানো হয় । তাতে বিশ্বের প্রতিটি মানুষের জন্য সহজলভ্য ও যথাযথ গুণমানের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা করতে সমস্ত দেশকে আবেদন করা হয় । রাষ্ট্রসঙ্ঘের তরফে নেওয়া সিদ্ধান্ত দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি-তেও এটাকে যুক্ত করা হয় । আর এই বছরের থিম হল, ‘‘সকলের জন্য স্বাস্থ্য : সবাইকে সুরক্ষা প্রদান করা’’ ।

কেন প্রয়োজন সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ?

ধর্ম, সম্প্রদায়, জাতি, লিঙ্গ এবং সামাজিক অবস্থান ব্যতিরেকে এই পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ তাঁদের আর্থিক অবস্থা ও কঠিন পরিস্থিতি সত্ত্বেও যাতে সেরা চিকিৎসা পরিষেবা পায় , সেটা নিশ্চিত করাই সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার উদ্দেশ্য । কোনও দেশের জনসংখ্যা যদি স্বাস্থ্যকর হয়, তাহলে সেই দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির পথ সুগম হয় । বিশেষ করে এখন, যখন আমরা একটা বিশ্বব্যাপী প্যানডেমিকের মধ্যে রয়েছি, তখন আমাদের অবশ্যই এটা সুনিশ্চিত করতে হবে যে, সকলেই যাতে সমান ও যথাযথ গুণমানের স্বাস্থ্য সুরক্ষা পায় ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু জানিয়েছে যে, সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরাসরি জনসাধারণের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে । দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন ও দারিদ্রতা দূরীকরণের কাজে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । এছাড়া সামাজিক অসাম্য দূর করার ক্ষেত্রে যে কোনও প্রচেষ্টাতেও এর একটা ভূমিকা থাকে । নাগরিকদের ভালো রাখতে কোনও একটি সরকারের প্রতিশ্রুতির নির্দশনই হল সর্বজনীন সুরক্ষা ।

সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থার লক্ষে কীভাবে পৌঁছানো যাবে ?

হু-এর হিসেব অনুযায়ী, কোনও সম্প্রদায় বা কোনও দেশকে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার আওতায় আসতে গেলে কতগুলি পদক্ষেপ করতে হবে । যার মধ্যে রয়েছে,

  • মানবকেন্দ্রীক সুসংহত সুরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে এমন শক্তিশালী, উপযুক্ত ও সঠিক ভালো পরিচালিত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দরকার ।
  • সহজলভ্যতা – স্বাস্থ্য পরিষেবাকে আর্থিক সুরক্ষা দেওয়ার একটা ব্যবস্থা থাকতে হবে । যাতে আর্থিক সমস্যার কারণে কোনও মানুষকে ওই স্বাস্থ্য পরিষেবা নিতে সংকটে পড়তে না হয় । এই সুরক্ষার ব্যবস্থা একাধিক পদ্ধতিতে করা যায় ।
  • অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ ও পরীক্ষা করার প্রযুক্তি এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিতে হবে ।
  • রোগীদের কাছে থাকা তথ্যের ভিত্তিতে পর্যাপ্ত পরিষেবা দেওয়ার জন্য সঠিক পরিমাণে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত, উদ্যমী স্বাস্থ্য কর্মী প্রয়োজন ।

সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থার উপকারিতা

ভারতের জাতীয় স্বাস্থ্য পোর্টাল বা এনএইচপি-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলির মাধ্যমে সর্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উপকারে লাগতে পারে :

  • জনসংখ্যার স্বাস্থ্যের মান বৃদ্ধি করা ।
  • দক্ষ, স্বচ্ছ ও দায়বদ্ধতা সম্পন্ন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ।
  • দারিদ্রতা আরও কমিয়ে দেওয়া ।
  • ভালো কাজ ।
  • কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা ।
  • সাম্যবাদ বৃদ্ধি করা ।
  • সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় নীতি ।

ভারতে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেওয়ার জন্য যে 10 টি নীতি মেনে চলা হয়, তা এনএইচপি-ও জানিয়েছে ।

  • সর্বজনীনতা ।
  • সাম্যবাদ ।
  • কাউকে বাদ না দেওয়া এবং কারও প্রতি বৈষম্য না দেখানো ।
  • ভালো মানের ও বাস্তব সম্মত টানা সুরক্ষা ।
  • আর্থিক সুরক্ষা ।
  • রোগীদের অধিকার রক্ষা করা ।
  • শক্তশালী জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা তৈরি করা ।
  • দায়বদ্ধতা ও স্বচ্ছতা ।
  • সামাজিক অংশগ্রহণ ।
  • স্বাস্থ্যকে মানুষের হাতে সঁপে দেওয়া ।

ফলে, সঠিক মানের স্বাস্থ্য সুরক্ষা মানুষের অধিকার । পৃথিবীতে কাউকেই এর থেকে বঞ্চিত করা উচিত নয় । একজন ব্যক্তি চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন নাকি পাবেন না, তা তাঁর আর্থিক পরিস্থিতি বিচার করে ঠিক করা উচিত নয় । দেশের সবাইকে স্বাস্থ্য সুরক্ষার মধ্যে আনতে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সরকার ।