বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা বাতিল করা হয়েছে, ফলে আগামী বছর থেকে তারা স্কুলে ভর্তি হতে পারবেন না। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা এই কোটা পাবেন।
তকাল সোমবার মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) নতুন ভর্তি নীতিমালায় এই পরিবর্তন আনছে।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের জন্য ১০ শতাংশ এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য ২ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। এছাড়া, যমজ ও সহদোর ভাই-বোনদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা রয়েছে।
পূর্বে, মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা না থাকলে তাদের নাতি-নাতনিদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছিল। নতুন সিদ্ধান্তে, যদি মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যা না পাওয়া যায়, তবে মেধাতালিকা অনুযায়ী ভর্তি নেওয়া হবে।
মাউশির মাধ্যমিক শাখার শিক্ষা অফিসার জি. এম. মোস্তাফিজুর বলেন, “এ বছর থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের জন্য কোটা থাকছে না, কিন্তু তাদের পুত্র-কন্যার কোটা বজায় থাকবে। তবে ওই বয়সী সন্তানদের সংখ্যা খুবই কম।”