ময়মনসিংহ , বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:০৮:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
  • ১৩ বার পড়া হয়েছে

দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জন্য বরাদ্দকৃত শুকনো রেশন উধাও! অবিশ্বাস্য মনে হলেও, ঠাকুরগাঁওয়ের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জান্নাত ট্রেডার্স ও জে কে এন্টারপ্রাইজ—বিজিবির রেশনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, বিজিবির দেওয়া আসল চাহিদাপত্র জাল করে এবং অধিনায়কের স্বাক্ষর স্ক্যান করে নকল কাগজপত্র তৈরি করে এই প্রতিষ্ঠান দুটি সরকারি খাদ্যশস্য কালোবাজারে বিক্রি করে দিয়েছে। যা একটি সূক্ষ্ম ও দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। ভেতরের ও বাইরের কিছু অসাধু ব্যক্তির যোগসাজশে এই জালিয়াতির জাল বিস্তৃত হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিজিবির শুকনো খাবার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি নেওয়ার একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে। বিজিবির জন্য বরাদ্দকৃত খাবার ঠাকুরগাঁও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অফিস থেকে নেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে পালন করা হয়, যেখানে সাধারণত কারো চোখ ফাঁকি দিয়ে বিপুল পরিমাণ শুকনো খাবার এখান থেকে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

প্রথমে বিজিবির পক্ষ থেকে একটি চাহিদাপত্র দেওয়া হয়, যা বিজিবির একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন একটি মুখ বন্ধ খামে করে ঠাকুরগাঁও খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অফিসে নিয়ে আসেন। সেখানে খাদ্য নিয়ন্ত্রণের একজন কর্মকর্তা, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার এবং বিজিবির কয়েকজন সদস্যের উপস্থিতিতে সবার সামনে সেই খাম খোলা হয়। এরপর সেই খামের চাহিদা অনুযায়ী তাদের জন্য খাদ্য বরাদ্দ দেওয়া হয় এবং খাদ্য অধিদপ্তর থেকে তাদেরকে পাঠানো হয় খাদ্য গুদামে। খাদ্য গুদামেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কয়েকজন বিজিবি সদস্য উপস্থিত থাকেন।

সেখানে গুদামের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাগজ বুঝে পাওয়ার পর ঠিকাদার ও বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতিতেই বরাদ্দকৃত খাদ্য উত্তোলন করা হয় এবং বিজিবি সদস্যরা সেই খাদ্য তাদের ক্যাম্পে নিয়ে যান।এই সূক্ষ্ম নিয়ম অনুসরণ করেই মূলত খাদ্য নেওয়া হয় বিজিবির জন্য। কিন্তু, এই পদ্ধতিতেই ফাঁকি দিয়ে অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গত দুই বছরে বিপুল পরিমাণ খাদ্য বেশি উঠিয়ে নিয়ে খোলাবাজারে বিক্রি করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

৫০ বিজিবি ব্যাটালিয়ন, সেক্টর এবং বিজিবি হাসপাতালের জন্য রেশন সরবরাহের দায়িত্বে ছিল এই দুটি প্রতিষ্ঠান। অনুসন্ধানে জানা যায়, তারা অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে প্রতি মাসে ২০ থেকে ২২ টন চাল ও ৩ থেকে ৪ টন গম অতিরিক্ত উত্তোলন করে আসছিলেন।

এই বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্য কালোবাজারে বিক্রি করে শত কোটি টাকার বেশি আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।জান্নাত ট্রেডার্স : ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত খাদ্য সরবরাহের টেন্ডার পায় জান্নাত ট্রেডার্স। জুলাই মাসে নিয়ম অনুযায়ী খাদ্য সরবরাহ করলেও, আগস্ট থেকে ডিসেম্বর—এই পাঁচ মাস অতিরিক্ত খাদ্য উত্তোলন করে তারা। বিজিবি যেখানে ২৬৯ মেট্রিক টন চাল ও ৩০.১ মেট্রিক টন গমের চাহিদা দিয়েছিল, সেখানে ভুয়া চাহিদাপত্র দেখিয়ে খাদ্য গুদাম থেকে উত্তোলন করা হয়েছে ৩৭৩ মেট্রিক টন চাল ও ৪১.৪ মেট্রিক টন গম। অর্থাৎ, এই পাঁচ মাসে ১০৪ মেট্রিক টন চাল ও ১১.৩ মেট্রিক টন গম অতিরিক্ত উত্তোলন করা হয়েছে।

জান্নাত ট্রেডার্স ২.৫৫ টাকা কেজি দরে উত্তোলন করা চাল কালোবাজারে বিক্রি করেছে ৪৮ টাকা কেজি দরে, এবং ২.১৫ টাকা কেজি দরে উত্তোলন করা গম কালোবাজারে বিক্রি করেছে ৪২ টাকা কেজি দরে। এখানে তারা বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়া নেয়।

জে কে এন্টারপ্রাইজ : ২০২৪ সালের শুরুতে আবারো টেন্ডার পায় জে কে এন্টারপ্রাইজ। প্রতিষ্ঠানটি পরপর তিন মেয়াদে টেন্ডার পায় এবং এই সময়ে চাহিদাপত্র জাল করে অতিরিক্ত ২৫৭.৪ মেট্রিক টন চাল ও ২৮.৫ মেট্রিক টন গম উত্তোলন করে কালোবাজারে বিক্রি করে দেয়।

২০২৪ সালের ১২ মাসে বিজিবি ৬৬৪ মেট্রিক টন চাল ও ৭৩.১ মেট্রিক টন গমের চাহিদা দিয়েছিল। অথচ জে কে এন্টারপ্রাইজ উত্তোলন করেছে ৯২১.৪ মেট্রিক টন চাল ও ১০১.৬ মেট্রিক টন গম।

প্রথম ৬ মাসে ২.৫৫ টাকা কেজি দরে উত্তোলন করা চাল কালোবাজারে ৪৮ টাকা কেজি দরে এবং ২.১৫ টাকা কেজি দরে উত্তোলন করা গম কালোবাজারে ৪২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছে জে কে এন্টারপ্রাইজ।

স্বীকারোক্তি :
জে কে এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. জাফরের সঙ্গে কথা বললে উঠে আসে আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য। তিনি জানান, শুধু ঠাকুরগাঁও জেলার ক্ষেত্রেই এমনটি করা হয়নি, সিলেট বিভাগের কয়েকটি ক্যাম্পেও একই অবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘যে কাজটি হয়েছে সেটা আমি একা করিনি, সেখানে ভেতর এবং বাইরের অনেকেই জড়িত রয়েছে।’

সুনির্দিষ্ট করে কারো নাম বলতে রাজি না হলেও, তিনি ইঙ্গিত দেন যে বিজিবির থেকে যে কাগজটি নিয়ে আসেন, সেই কাগজকে মূলত বিজিবির সদস্যরা নিয়ে আসেন। এরপর খাদ্য অধিদপ্তরের একজন উপজেলা কর্মকর্তা সেটি গ্রহণ করেন এবং খাদ্য বিজিবির সদস্যদের দেন। এভাবে চলতে থাকে প্রক্রিয়াটি। তিনি আরো দাবি করেন, ‘আমাকে ফাঁসানো হয়েছে, এখানে অনেকে জড়িত রয়েছে। কারণ এই খাদ্যটি আমি একা উঠানো সম্ভব না। মূলত এখানকার অনেকে জড়িত এবং তারাই আমাকে সহযোগিতা করেছে এবং এখান থেকে তারাও একটি অংশ সুবিধা নিয়েছে।’

 

 

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

আপডেট সময় ১২:০৮:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জন্য বরাদ্দকৃত শুকনো রেশন উধাও! অবিশ্বাস্য মনে হলেও, ঠাকুরগাঁওয়ের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জান্নাত ট্রেডার্স ও জে কে এন্টারপ্রাইজ—বিজিবির রেশনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, বিজিবির দেওয়া আসল চাহিদাপত্র জাল করে এবং অধিনায়কের স্বাক্ষর স্ক্যান করে নকল কাগজপত্র তৈরি করে এই প্রতিষ্ঠান দুটি সরকারি খাদ্যশস্য কালোবাজারে বিক্রি করে দিয়েছে। যা একটি সূক্ষ্ম ও দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। ভেতরের ও বাইরের কিছু অসাধু ব্যক্তির যোগসাজশে এই জালিয়াতির জাল বিস্তৃত হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিজিবির শুকনো খাবার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি নেওয়ার একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে। বিজিবির জন্য বরাদ্দকৃত খাবার ঠাকুরগাঁও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অফিস থেকে নেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে পালন করা হয়, যেখানে সাধারণত কারো চোখ ফাঁকি দিয়ে বিপুল পরিমাণ শুকনো খাবার এখান থেকে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

প্রথমে বিজিবির পক্ষ থেকে একটি চাহিদাপত্র দেওয়া হয়, যা বিজিবির একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন একটি মুখ বন্ধ খামে করে ঠাকুরগাঁও খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অফিসে নিয়ে আসেন। সেখানে খাদ্য নিয়ন্ত্রণের একজন কর্মকর্তা, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার এবং বিজিবির কয়েকজন সদস্যের উপস্থিতিতে সবার সামনে সেই খাম খোলা হয়। এরপর সেই খামের চাহিদা অনুযায়ী তাদের জন্য খাদ্য বরাদ্দ দেওয়া হয় এবং খাদ্য অধিদপ্তর থেকে তাদেরকে পাঠানো হয় খাদ্য গুদামে। খাদ্য গুদামেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কয়েকজন বিজিবি সদস্য উপস্থিত থাকেন।

সেখানে গুদামের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাগজ বুঝে পাওয়ার পর ঠিকাদার ও বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতিতেই বরাদ্দকৃত খাদ্য উত্তোলন করা হয় এবং বিজিবি সদস্যরা সেই খাদ্য তাদের ক্যাম্পে নিয়ে যান।এই সূক্ষ্ম নিয়ম অনুসরণ করেই মূলত খাদ্য নেওয়া হয় বিজিবির জন্য। কিন্তু, এই পদ্ধতিতেই ফাঁকি দিয়ে অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গত দুই বছরে বিপুল পরিমাণ খাদ্য বেশি উঠিয়ে নিয়ে খোলাবাজারে বিক্রি করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

৫০ বিজিবি ব্যাটালিয়ন, সেক্টর এবং বিজিবি হাসপাতালের জন্য রেশন সরবরাহের দায়িত্বে ছিল এই দুটি প্রতিষ্ঠান। অনুসন্ধানে জানা যায়, তারা অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে প্রতি মাসে ২০ থেকে ২২ টন চাল ও ৩ থেকে ৪ টন গম অতিরিক্ত উত্তোলন করে আসছিলেন।

এই বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্য কালোবাজারে বিক্রি করে শত কোটি টাকার বেশি আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।জান্নাত ট্রেডার্স : ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত খাদ্য সরবরাহের টেন্ডার পায় জান্নাত ট্রেডার্স। জুলাই মাসে নিয়ম অনুযায়ী খাদ্য সরবরাহ করলেও, আগস্ট থেকে ডিসেম্বর—এই পাঁচ মাস অতিরিক্ত খাদ্য উত্তোলন করে তারা। বিজিবি যেখানে ২৬৯ মেট্রিক টন চাল ও ৩০.১ মেট্রিক টন গমের চাহিদা দিয়েছিল, সেখানে ভুয়া চাহিদাপত্র দেখিয়ে খাদ্য গুদাম থেকে উত্তোলন করা হয়েছে ৩৭৩ মেট্রিক টন চাল ও ৪১.৪ মেট্রিক টন গম। অর্থাৎ, এই পাঁচ মাসে ১০৪ মেট্রিক টন চাল ও ১১.৩ মেট্রিক টন গম অতিরিক্ত উত্তোলন করা হয়েছে।

জান্নাত ট্রেডার্স ২.৫৫ টাকা কেজি দরে উত্তোলন করা চাল কালোবাজারে বিক্রি করেছে ৪৮ টাকা কেজি দরে, এবং ২.১৫ টাকা কেজি দরে উত্তোলন করা গম কালোবাজারে বিক্রি করেছে ৪২ টাকা কেজি দরে। এখানে তারা বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়া নেয়।

জে কে এন্টারপ্রাইজ : ২০২৪ সালের শুরুতে আবারো টেন্ডার পায় জে কে এন্টারপ্রাইজ। প্রতিষ্ঠানটি পরপর তিন মেয়াদে টেন্ডার পায় এবং এই সময়ে চাহিদাপত্র জাল করে অতিরিক্ত ২৫৭.৪ মেট্রিক টন চাল ও ২৮.৫ মেট্রিক টন গম উত্তোলন করে কালোবাজারে বিক্রি করে দেয়।

২০২৪ সালের ১২ মাসে বিজিবি ৬৬৪ মেট্রিক টন চাল ও ৭৩.১ মেট্রিক টন গমের চাহিদা দিয়েছিল। অথচ জে কে এন্টারপ্রাইজ উত্তোলন করেছে ৯২১.৪ মেট্রিক টন চাল ও ১০১.৬ মেট্রিক টন গম।

প্রথম ৬ মাসে ২.৫৫ টাকা কেজি দরে উত্তোলন করা চাল কালোবাজারে ৪৮ টাকা কেজি দরে এবং ২.১৫ টাকা কেজি দরে উত্তোলন করা গম কালোবাজারে ৪২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছে জে কে এন্টারপ্রাইজ।

স্বীকারোক্তি :
জে কে এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. জাফরের সঙ্গে কথা বললে উঠে আসে আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য। তিনি জানান, শুধু ঠাকুরগাঁও জেলার ক্ষেত্রেই এমনটি করা হয়নি, সিলেট বিভাগের কয়েকটি ক্যাম্পেও একই অবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘যে কাজটি হয়েছে সেটা আমি একা করিনি, সেখানে ভেতর এবং বাইরের অনেকেই জড়িত রয়েছে।’

সুনির্দিষ্ট করে কারো নাম বলতে রাজি না হলেও, তিনি ইঙ্গিত দেন যে বিজিবির থেকে যে কাগজটি নিয়ে আসেন, সেই কাগজকে মূলত বিজিবির সদস্যরা নিয়ে আসেন। এরপর খাদ্য অধিদপ্তরের একজন উপজেলা কর্মকর্তা সেটি গ্রহণ করেন এবং খাদ্য বিজিবির সদস্যদের দেন। এভাবে চলতে থাকে প্রক্রিয়াটি। তিনি আরো দাবি করেন, ‘আমাকে ফাঁসানো হয়েছে, এখানে অনেকে জড়িত রয়েছে। কারণ এই খাদ্যটি আমি একা উঠানো সম্ভব না। মূলত এখানকার অনেকে জড়িত এবং তারাই আমাকে সহযোগিতা করেছে এবং এখান থেকে তারাও একটি অংশ সুবিধা নিয়েছে।’