বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার কথা জানাতে গিয়ে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ের একপর্যায়ে কান্না করতে দেখা যায় তাকে।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আপনারা ধৈর্য ধরুন। দীর্ঘ ছয় বছর ধরে আপনারা আমাদের সহযোগিতা করেছেন। আমরা এই যাত্রাও আপনাদের ভালোবাসা, সহযোগিতা এবং আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অশেষ মেহেরবানিতে আবারও খালেদা জিয়াকে সুস্থ দেখতে পাব ইনশাআল্লাহ। তবে দেশের মানুষের অক্লান্ত ভালোবাসা প্রমাণিত। এজন্য আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই।
এর আগে, গত ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু বুকে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তাকে ভর্তি করে নেওয়া হয়। সোমবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে শারীরিক অবস্থার অবিনতি হলে তাকে হাসপাতালে রাখা হয়েছে ‘স্পেশাল কেয়ারে’।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঢাকায় ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন জানিয়ে বিএনপির একজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলেছেন, তার জন্য শিগগিরই নতুন বাংলাদেশি পাসপোর্ট ইস্যু হবে বলে তারা আশা করছেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ইতোমধ্যে বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরতে চাইলে এক দিনের মধ্যেই ট্রাভেল পাস দেবে সরকার।
তবে তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠরা বলছেন, উপদেষ্টা এককালীন ট্রাভেল পাসের কথা বললেও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়েই ফিরতে চান।
জিয়া পরিবার ও বিএনপির তরফে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তারেক রহমান মঙ্গলবার সকালে ফেসবুকে লিখেছেন, দেশবাসীর সম্মিলিত সমর্থনই আমাদের পরিবারের শক্তি ও প্রেরণার উৎস। মমতাময়ী দেশনেত্রীর দ্রুত আরোগ্যের জন্য আমরা সবাই নিরন্তর দোয়া করছি।
তিনি বলেন, এই কঠিন সময়ে ঐক্য, সহমর্মিতা ও সংহতির জন্য প্রতিটি মানুষের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা রইলো।
২০০৮ সালে কারামুক্তির পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তারেক রহমান লন্ডনে যান। গত ১৭ বছর ধরে সেখানেই নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে আসছেন তিনি।

ডিজিটাল রিপোর্ট 





















