ময়মনসিংহ , বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

খিলগাঁওয়ে ভাগ্নে খুন মামার হাতে

  • ঢামেক প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় ১১:৫৯:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

খিলগাঁওয়ে ভাগ্নে খুন মামার হাতে

আজ (৮ এপ্রিল) সকাল ৬টার দিকে মেরাদিয়া মধ্যপাড়া মসজিদ গলিতে এ ঘটনা ঘটে। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় সুমনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সকাল ৮টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত সুমনের বড় ভাই মো. আলমগীর হোসেন জানান, তারা মেরাদিয়া মসজিদ গলির মুক্তারের বাড়িতে থাকেন। একই গলিতে তার মামা মোস্তফাও পরিবারসহ বসবাস করেন। ঘটনার দিন সকালে মোস্তফার বাড়ির সামনে সুমনের সঙ্গে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে মোস্তফা, তার দুই ছেলে, মেয়ে এবং স্ত্রী মিলে সুমনকে ধরে ঘরের ভেতর নিয়ে যান এবং সেখানে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেন। পরে তারা মরদেহ গলির মসজিদের পাশে ফেলে রেখে যান।

তিনি আরও জানান, সুমনের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। কারওয়ান বাজার এলাকায় কাঁচামাল কুড়িয়ে সেগুলো বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি। প্রায় দুই বছর আগে স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন সুমন। চলাফেরাতেও ছিল অস্বাভাবিকতা। অভিযোগ রয়েছে, ঘটনার দিন সকালে মামা মোস্তফার ঘরের জানালা ভাঙার অভিযোগে সুমনকে হত্যা করা হয়। এর আগেও সুমনকে মারধর করেছিলেন মোস্তফা।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক মো. মাসুদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে এবং খিলগাঁও থানাকে জানানো হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

খিলগাঁওয়ে ভাগ্নে খুন মামার হাতে

আপডেট সময় ১১:৫৯:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

খিলগাঁওয়ে ভাগ্নে খুন মামার হাতে

আজ (৮ এপ্রিল) সকাল ৬টার দিকে মেরাদিয়া মধ্যপাড়া মসজিদ গলিতে এ ঘটনা ঘটে। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় সুমনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সকাল ৮টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত সুমনের বড় ভাই মো. আলমগীর হোসেন জানান, তারা মেরাদিয়া মসজিদ গলির মুক্তারের বাড়িতে থাকেন। একই গলিতে তার মামা মোস্তফাও পরিবারসহ বসবাস করেন। ঘটনার দিন সকালে মোস্তফার বাড়ির সামনে সুমনের সঙ্গে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে মোস্তফা, তার দুই ছেলে, মেয়ে এবং স্ত্রী মিলে সুমনকে ধরে ঘরের ভেতর নিয়ে যান এবং সেখানে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেন। পরে তারা মরদেহ গলির মসজিদের পাশে ফেলে রেখে যান।

তিনি আরও জানান, সুমনের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। কারওয়ান বাজার এলাকায় কাঁচামাল কুড়িয়ে সেগুলো বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি। প্রায় দুই বছর আগে স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন সুমন। চলাফেরাতেও ছিল অস্বাভাবিকতা। অভিযোগ রয়েছে, ঘটনার দিন সকালে মামা মোস্তফার ঘরের জানালা ভাঙার অভিযোগে সুমনকে হত্যা করা হয়। এর আগেও সুমনকে মারধর করেছিলেন মোস্তফা।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক মো. মাসুদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে এবং খিলগাঁও থানাকে জানানো হয়েছে।