রংপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের চার নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও হত্যাচেষ্টা ছাড়াও নাশকতাসহ সরকারবিরোধী অপতৎপরতার অভিযোগ রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রংপুর মহানগর ১৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হান আলী গোলাপ (৫০), মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মাহমুদুল হাসান শিশির (৩২), মিঠাপুকুর উপজেলার কাফ্রিখাল ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ফুয়াদ মণ্ডল (৩৭) এবং মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মনজুরুল হক মানিক (২৮)।
গতকাল মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে রংপুর নগরীর দর্শনা মোড় এলাকায় তাজহাট থানা পুলিশের এক অভিযানে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা রায়হান আলী গোলাপকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি জুলাই অভ্যুত্থানে হামলা ও হত্যাচেষ্টাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।
মেট্রোপলিটন কোতয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শিশিরের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনের সময় মিছিলে হামলা, গুলিবর্ষণসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
ডা. মাহমুদুল হাসান শিশির কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ির অনন্তপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে। তিনি নগরীর কামাল কাছনায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে মিঠাপুকুর উপজেলার বৈরাগীগঞ্জ এলাকা (শাহ আমানত তেল পাম্প) থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় হত্যা মামলার আসামি ও কাফ্রিখাল ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ফুয়াদ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ফুয়াদ মণ্ডল কাফ্রিখাল ইউনিয়নের মুরাদদর্প নারায়নপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডলের ছেলে। তিনি কাফ্রিখাল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এবং সাবেক এমপি এইচ.এন. আশিকুর রহমানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
মিঠাপুকুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম সিদ্দিকী জানান, ফুয়াদ মণ্ডল ছাত্রশিবির নেতা আশিকুর রহমান হত্যা মামলার আসামি। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর মঙ্গলবার রাতে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়। বুধবার দুপুরে তাকে আদালতে তোলা হবে।
এর আগে গত সোমবার বিকেলে নগরীর মেডিকেল মোড় এলাকা থেকে রংপুর মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মনজুরুল হক মানিককে (২৮) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে হামলা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা রয়েছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী জানান, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা নাশকতা করতে বিভিন্ন ধরনের তৎপরতা করছিলেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যে বা যারাই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র কিংবা দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে, তাদেরকেই আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।

ডিজিটাল রিপোর্ট 




















