ময়মনসিংহ , মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
বাবাকে হত্যার পর মরদেহের পাশে ছেলে সিগারেট ধরায় নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে দেশের ভবিষ্যৎ বললেন ইসি আনোয়ারুল আসুন সবাই মিলে বাংলাদেশকে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক দেশে পরিণত করি বললেন মঈন খান দেশের ক্ষতি করে কোনো সিদ্ধান্ত নয় বললেন নৌ উপদেষ্টা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র হচ্ছে বললেন মির্জা ফখরুল নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল বিক্ষোভের চেষ্টা করলে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ বললেন প্রেস সচিব দুর্বৃত্তের আগুন এনসিপির নেতার বাড়ির গেটে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুলিতে যুবক নিহত মুন্সিগঞ্জে কারামুক্তিতে বাধা নেই , লতিফ সিদ্দিকীর জামিন আপিল বিভাগে বহাল খাগড়াছড়ি কারাগারের দেওয়াল টপকে পালালো দুই আসামী, আটক ১
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে রেবিস ভ্যাকসিনের সংকট

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৪০:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৩৮ বার পড়া হয়েছে

গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে প্রায় এক মাস ধরে নেই রেবিস ভ্যাকসিন। এতে করে প্রতিদিন জেলার সাত উপজেলার দেড় শতাধিক কুকুর, বিড়াল ও অন্যান্য প্রাণীর কামড়ে আক্রান্ত মানুষ ভ্যাকসিন না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়ছেন। নিম্নআয়ের অনেকে বাধ্য হয়ে উচ্চমূল্যে বাইরে থেকে ভ্যাকসিন কিনছেন, আবার অনেকে অর্থাভাবে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন। ফলে প্রাণঘাতী জলাতঙ্কে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।

হাসপাতালের ভ্যাকসিন রুমের সামনে প্রতিদিনই লম্বা সারি দেখা যাচ্ছে। রোগীরা জানান, সরকারি টিকা না থাকায় একেকটি ভ্যাকসিন চারজন মিলে ভাগ করে কিনতে হচ্ছে। অনেক সময় টাকার অভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না।

পলাশবাড়ি থেকে আসা সজল মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘১০০ টাকা দিয়ে গাড়ি ভাড়া করে এসে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছি। ফ্রি টিকা পাওয়া যায় ভেবেছিলাম, কিন্তু টাকা না থাকায় নিতে পারলাম না।’
একইভাবে ফুলছড়ি থেকে আসা দীপ সাহা বলেন, ‘রাস্তার কুকুর, বিড়াল আর রাতে শিয়ালের উপদ্রব বেড়ে গেছে। প্রতিদিন অনেক মানুষ কামড়ে আক্রান্ত হচ্ছে। সরকারি ভ্যাকসিন না পেলে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়বে।’

ভ্যাকসিনের দায়িত্বে থাকা নার্স মো. শফিকুল ইসলাম জানান, প্রতিদিনই ভ্যাকসিন না পেয়ে রোগীরা হট্টগোল করেন। টাকা না থাকায় অনেককে খালি হাতে ফেরত যেতে হয়, যা খুবই দুঃখজনক।
গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. কাজী মিজানুর রহমান বলেন, ‘বরাদ্দকৃত ভ্যাকসিনের তুলনায় রোগীর সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি হওয়ায় সংকট তৈরি হয়েছে।’
তিনি জানান, নতুন বরাদ্দের জন্য চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়ানো এবং বন্য কুকুর-শিয়াল নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন।
প্রতি সপ্তাহে জেলার সাত উপজেলা থেকে হাজারেরও বেশি মানুষ গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে আসেন চিকিৎসা ও রেবিস ভ্যাকসিন নিতে। দ্রুত এ সংকট সমাধান না হলে জলাতঙ্কের ঝুঁকি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাবাকে হত্যার পর মরদেহের পাশে ছেলে সিগারেট ধরায়

গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে রেবিস ভ্যাকসিনের সংকট

আপডেট সময় ১২:৪০:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে প্রায় এক মাস ধরে নেই রেবিস ভ্যাকসিন। এতে করে প্রতিদিন জেলার সাত উপজেলার দেড় শতাধিক কুকুর, বিড়াল ও অন্যান্য প্রাণীর কামড়ে আক্রান্ত মানুষ ভ্যাকসিন না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়ছেন। নিম্নআয়ের অনেকে বাধ্য হয়ে উচ্চমূল্যে বাইরে থেকে ভ্যাকসিন কিনছেন, আবার অনেকে অর্থাভাবে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন। ফলে প্রাণঘাতী জলাতঙ্কে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।

হাসপাতালের ভ্যাকসিন রুমের সামনে প্রতিদিনই লম্বা সারি দেখা যাচ্ছে। রোগীরা জানান, সরকারি টিকা না থাকায় একেকটি ভ্যাকসিন চারজন মিলে ভাগ করে কিনতে হচ্ছে। অনেক সময় টাকার অভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না।

পলাশবাড়ি থেকে আসা সজল মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘১০০ টাকা দিয়ে গাড়ি ভাড়া করে এসে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছি। ফ্রি টিকা পাওয়া যায় ভেবেছিলাম, কিন্তু টাকা না থাকায় নিতে পারলাম না।’
একইভাবে ফুলছড়ি থেকে আসা দীপ সাহা বলেন, ‘রাস্তার কুকুর, বিড়াল আর রাতে শিয়ালের উপদ্রব বেড়ে গেছে। প্রতিদিন অনেক মানুষ কামড়ে আক্রান্ত হচ্ছে। সরকারি ভ্যাকসিন না পেলে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়বে।’

ভ্যাকসিনের দায়িত্বে থাকা নার্স মো. শফিকুল ইসলাম জানান, প্রতিদিনই ভ্যাকসিন না পেয়ে রোগীরা হট্টগোল করেন। টাকা না থাকায় অনেককে খালি হাতে ফেরত যেতে হয়, যা খুবই দুঃখজনক।
গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. কাজী মিজানুর রহমান বলেন, ‘বরাদ্দকৃত ভ্যাকসিনের তুলনায় রোগীর সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি হওয়ায় সংকট তৈরি হয়েছে।’
তিনি জানান, নতুন বরাদ্দের জন্য চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়ানো এবং বন্য কুকুর-শিয়াল নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন।
প্রতি সপ্তাহে জেলার সাত উপজেলা থেকে হাজারেরও বেশি মানুষ গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে আসেন চিকিৎসা ও রেবিস ভ্যাকসিন নিতে। দ্রুত এ সংকট সমাধান না হলে জলাতঙ্কের ঝুঁকি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।