টানা ক্ষমতাকালীন সময়ে টিএফআই সেলে গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সেনাবাহিনীর ১০ কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। একই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ২৩ মিনিটে ঢাকার সেনানিবাসের বিশেষ কারাগার থেকে ‘বাংলাদেশ জেল–প্রিজন ভ্যান’ লেখা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সবুজ ভ্যানে করে তাদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়।
পলাতক আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি ড. বেনজির আহমেদ, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন এবং ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ।
আদালত প্রাঙ্গণজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করা হয়েছে। হাইকোর্টের মূল ফটক ও ট্রাইব্যুনাল এলাকার দুই পাশে পুলিশ, সেনা, র্যাব, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের টহল দেখা গেছে।
এর আগে, ২৩ নভেম্বর শুনানির জন্য আজকের দিন ঠিক করা হয়। ওই দিন সেনানিবাসের বিশেষ কারাগারে থাকা ১০ কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে হাজির হন। যদিও তাদের আইনজীবীরা ভার্চুয়াল হাজিরার আবেদন করেছিলেন, এ বিষয়ে আজ পুনরায় শুনানি হবে।
ওই দিন ট্রাইব্যুনাল মন্তব্য করে, আইন সবার জন্য সমান। সাবেক প্রধান বিচারপতিও জেলে সশরীরে হাজির হন। সাবেক মন্ত্রীরাও নিয়মিত হাজিরা দেন।
পলাতক আসামি শেখ হাসিনার পক্ষে দাঁড়ানোর আবেদন করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেডআই খান পান্না। পরে তাকে স্টেট ডিফেন্স হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে তিনি মৌখিকভাবে এ মামলায় না লড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
গত ২২ অক্টোবর সেনা হেফাজতে থাকা ১০ কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। পলাতক আসামিদের সাত দিনের মধ্যে দুটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে হাজির হতে বলা হলেও কেউ হাজির না হওয়ায় তাদের পক্ষে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ করা হয়। ৮ অক্টোবর মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের পর ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

ডিজিটাল রিপোর্ট 



















