ময়মনসিংহ , বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কোথায় রাখা হবে জানালেন আইনজীবী জ্বালানি ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণ, নিহত অন্তত ৩৮ নাইজেরিয়ায় রাজমিস্ত্রির কাজ করে জিপিএ-৫ পেয়েছে বুলু সিরাজগঞ্জ ফুটবল খেলা নিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, আটক ৭ ঘরে বানানো বিশেষ এই পানীয় সর্দি-কাশি দূর করবে জেলার পর এবার মহানগর যুবদলের সভাপতি-সম্পাদককে শোকজ ফরিদপুর ফিলিস্তিনপন্থী মিছিল করে গ্রেপ্তার হওয়া ৩ তরুণী খালাস পেলেন সিঙ্গাপুরে ‘প্রসিকিউশন বলেছে গ্রেপ্তার, আমরা বলি আত্মসমর্পণ:ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন দ্বিতীয় দিনের আপিল শুনানি চলছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে নদীতে মিললো আগ্নেয়াস্ত্র ও ২৫ রাউন্ড গুলি সিলেটে
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে

আওয়ামী লীগের দীর্ঘ টিএফআই-জেআইসি সেলের অধীনে সংঘটিত গুম-খুন এবং জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা তিনটি পৃথক মামলায় ১৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি বিচারিক প্যানেল এই আদেশ দেন।

ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

একইসঙ্গে মামলার অন্যতম আসামি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্যান্য পলাতক ব্যক্তিদের আদালতে হাজির করার লক্ষ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আদালত মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ২০ নভেম্বর ধার্য করেছেন।

এর আগে গত ১১ অক্টোবর সেনা সদরের এক ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চার্জশিটে নাম আসা সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৫ জনকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। ঢাকা সেনানিবাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে ব্রিফিংয়ে মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান এ তথ্য জানান।
 
সাবেক ও বর্তমান মিলিয়ে মোট ২৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের মধ্যে এলপিআরের একজন এবং সার্ভিসে থাকা ১৫ জনসহ মোট ১৬ জনকে সেনা সদরে সংযুক্ত হতে বলা হয়। ৯ অক্টোবরের মধ্যে সেনা সদরে আসার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। এরমধ্যে মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ ছাড়া বাকি ১৫ জন এসেছে।
 
এলপিআরে থাকা একজনসহ ১৫ জনকে সেনা হেফাজতে নেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, একজন আত্মগোপনে রয়েছেন। বাকি ৯ জন অবসরে গেছেন।
 
প্রসঙ্গত, গুম ও খুনের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে গেলো ৮ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ  ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে ডিজিএফআইয়ের সাবেক ৫ প্রধানসহ ২৫ জন সেনা কর্মকর্তা রয়েছেন। যা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা। কারণ দেশের ইতিহাসে চাকরিরত অবস্থায় এত সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা এটাই প্রথম। 
 
আগামী ২১ অক্টোবরের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করে ২২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছিল।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কোথায় রাখা হবে জানালেন আইনজীবী

গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে

আপডেট সময় ০৯:৪৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

আওয়ামী লীগের দীর্ঘ টিএফআই-জেআইসি সেলের অধীনে সংঘটিত গুম-খুন এবং জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা তিনটি পৃথক মামলায় ১৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি বিচারিক প্যানেল এই আদেশ দেন।

ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

একইসঙ্গে মামলার অন্যতম আসামি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্যান্য পলাতক ব্যক্তিদের আদালতে হাজির করার লক্ষ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আদালত মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ২০ নভেম্বর ধার্য করেছেন।

এর আগে গত ১১ অক্টোবর সেনা সদরের এক ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চার্জশিটে নাম আসা সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৫ জনকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। ঢাকা সেনানিবাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে ব্রিফিংয়ে মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান এ তথ্য জানান।
 
সাবেক ও বর্তমান মিলিয়ে মোট ২৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের মধ্যে এলপিআরের একজন এবং সার্ভিসে থাকা ১৫ জনসহ মোট ১৬ জনকে সেনা সদরে সংযুক্ত হতে বলা হয়। ৯ অক্টোবরের মধ্যে সেনা সদরে আসার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। এরমধ্যে মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ ছাড়া বাকি ১৫ জন এসেছে।
 
এলপিআরে থাকা একজনসহ ১৫ জনকে সেনা হেফাজতে নেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, একজন আত্মগোপনে রয়েছেন। বাকি ৯ জন অবসরে গেছেন।
 
প্রসঙ্গত, গুম ও খুনের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে গেলো ৮ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ  ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে ডিজিএফআইয়ের সাবেক ৫ প্রধানসহ ২৫ জন সেনা কর্মকর্তা রয়েছেন। যা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা। কারণ দেশের ইতিহাসে চাকরিরত অবস্থায় এত সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা এটাই প্রথম। 
 
আগামী ২১ অক্টোবরের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করে ২২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছিল।