ময়মনসিংহ , মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

চরফ্যাশন মুজিব নগর এলাকার তেতুলিয়া নদীতে রাতের আধারে জেলেদের উপর অতর্কিত হামলা আহত-৮

  • Md. Raduan Ahammed
  • আপডেট সময় ১০:২৮:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪
  • ২৭৯ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ছবি

হাবিবুর রহমান মিরাজ
(চরফ্যাশন উপজেলা প্রতিনিধি)

ভোলা চরফ্যাশন উপজেলার দুলার হাট থানাধীন মুজিব নগর এলাকার তেতুলিয়া নদীতে প্রভাবশালীদের চাঁদা আদায়ের নামে রাতের আধারে জেলেদের উপর অতর্কিত হামলা করার অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী মোঃ হেজু মাঝি অভিযোগ করে বলেন,আমরা জেলে মানুষ জেলে কাজ করা ছাড়া আমাদের সংসার চলেনা,জেলে কাজ করতে গিয়ে আমরা স্থানীয় প্রভাবশালীদের অনেক নির্যাতনের শিকার হতে হয় প্রতিনিয়ত,প্রভাবশালীদের চাঁদা না দিয়ে নদীতে মাছ শিকারে গেলেই হতে হবে বিভিন্ন হামলা মামলার শিকার,তাই অন্যায়কে মেনে এখন চাঁদা দিয়ে মাছ শিকারে যাওয়া নিয়মে পরিনত হয়েছে।

আবার অনেক সময় চাঁদা দিয়েও ঠিকমত মাছ শিকার করা সম্ভব হয়না,প্রতি বছর এই দিনে বাধা জাল দিয়ে মাছ শিকারের জন্য জেলে প্রতি প্রভাবশালীদের দিতে হয় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা,এই টাকা গুলো স্থানীয় চেয়ারম্যানের নির্দেশে ফরিদ উদ্দিন চাপরাশি,তার ছেলে ফাহাদ,এবং মিলন সহ অনেক নেতারা মিলে টাকা উঠিয়ে চলে যান চেয়ারম্যানের দরবারে,আর সেখানেই পদ অধিকার বলে ভাগ বাটোয়ারা হয়,তারই ধারাবাহিকতায় আমরা চার জেলে এক সাথে ৪৫ হাজার টাকা চাঁদা দিয়েও কাংখিত যায়গায় মাছ শিকার করতে না পেরে, আমরা অন্য যায়গায় গিয়ে মাছ শিকার করি, এতেই ক্ষিপ্ত হয় প্রভাবশালীরা এবং পুনরায় চাঁদা চাইতে থাকে,চাঁদা না দেওয়ায় গত ৭ মে মঙ্গলবার রাত ৯ ঘটিকার সময় স্থানীয় প্রভাবশালী ফরিদ উদ্দিন চাপরাশির নেতৃত্ব ফাহাদ, নোমান,হারিছ মাঝি,নুর হোসেন মাঝি,ছাদেক মাঝি,বিল্লাল,আমির হোসেন মাঝি,দুলাল মাঝি,ইব্রাহিম মাঝি সহ অঙ্গাত ১৫/১৬ জন নৌকা নিয়ে এসে আমাদের এলোপাতাড়ি মারধর করেন,এতে আমাদের চারটি নৌকার মাজি মাল্লা,মন্নান,রফিক মাঝি,শাহাবুদ্দিন মাঝি,রিপন,মিজান,জহির,মন্জু সহ ৮ জন আহত হয়েছে,এবং তারা তারা বেধড়ক মারধর থেকে বাঁচতে নদীতে পরে যায়,পরে তারা আমাকে নদী থেকে মুজিব নগর নিয় যায়,এবং সেখােও অনেক মারধর করেন,পরে আমার পরিবারের লোকজন দুলার হাট থানা পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে আমাকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এবিষয়ে অভিযুক্ত ফরিদ উদ্দিন চাপরাশির সাথে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন ঘটনা আমার জানা নেই,তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে,মুজিব নগর ইউনিয় পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ওদুদ মিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি। দুলার হাট থানার অফিসার ইন চার্জ মোঃ মুরাদ হোসেন বলেন,এবিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

চরফ্যাশন মুজিব নগর এলাকার তেতুলিয়া নদীতে রাতের আধারে জেলেদের উপর অতর্কিত হামলা আহত-৮

আপডেট সময় ১০:২৮:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪

হাবিবুর রহমান মিরাজ
(চরফ্যাশন উপজেলা প্রতিনিধি)

ভোলা চরফ্যাশন উপজেলার দুলার হাট থানাধীন মুজিব নগর এলাকার তেতুলিয়া নদীতে প্রভাবশালীদের চাঁদা আদায়ের নামে রাতের আধারে জেলেদের উপর অতর্কিত হামলা করার অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী মোঃ হেজু মাঝি অভিযোগ করে বলেন,আমরা জেলে মানুষ জেলে কাজ করা ছাড়া আমাদের সংসার চলেনা,জেলে কাজ করতে গিয়ে আমরা স্থানীয় প্রভাবশালীদের অনেক নির্যাতনের শিকার হতে হয় প্রতিনিয়ত,প্রভাবশালীদের চাঁদা না দিয়ে নদীতে মাছ শিকারে গেলেই হতে হবে বিভিন্ন হামলা মামলার শিকার,তাই অন্যায়কে মেনে এখন চাঁদা দিয়ে মাছ শিকারে যাওয়া নিয়মে পরিনত হয়েছে।

আবার অনেক সময় চাঁদা দিয়েও ঠিকমত মাছ শিকার করা সম্ভব হয়না,প্রতি বছর এই দিনে বাধা জাল দিয়ে মাছ শিকারের জন্য জেলে প্রতি প্রভাবশালীদের দিতে হয় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা,এই টাকা গুলো স্থানীয় চেয়ারম্যানের নির্দেশে ফরিদ উদ্দিন চাপরাশি,তার ছেলে ফাহাদ,এবং মিলন সহ অনেক নেতারা মিলে টাকা উঠিয়ে চলে যান চেয়ারম্যানের দরবারে,আর সেখানেই পদ অধিকার বলে ভাগ বাটোয়ারা হয়,তারই ধারাবাহিকতায় আমরা চার জেলে এক সাথে ৪৫ হাজার টাকা চাঁদা দিয়েও কাংখিত যায়গায় মাছ শিকার করতে না পেরে, আমরা অন্য যায়গায় গিয়ে মাছ শিকার করি, এতেই ক্ষিপ্ত হয় প্রভাবশালীরা এবং পুনরায় চাঁদা চাইতে থাকে,চাঁদা না দেওয়ায় গত ৭ মে মঙ্গলবার রাত ৯ ঘটিকার সময় স্থানীয় প্রভাবশালী ফরিদ উদ্দিন চাপরাশির নেতৃত্ব ফাহাদ, নোমান,হারিছ মাঝি,নুর হোসেন মাঝি,ছাদেক মাঝি,বিল্লাল,আমির হোসেন মাঝি,দুলাল মাঝি,ইব্রাহিম মাঝি সহ অঙ্গাত ১৫/১৬ জন নৌকা নিয়ে এসে আমাদের এলোপাতাড়ি মারধর করেন,এতে আমাদের চারটি নৌকার মাজি মাল্লা,মন্নান,রফিক মাঝি,শাহাবুদ্দিন মাঝি,রিপন,মিজান,জহির,মন্জু সহ ৮ জন আহত হয়েছে,এবং তারা তারা বেধড়ক মারধর থেকে বাঁচতে নদীতে পরে যায়,পরে তারা আমাকে নদী থেকে মুজিব নগর নিয় যায়,এবং সেখােও অনেক মারধর করেন,পরে আমার পরিবারের লোকজন দুলার হাট থানা পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে আমাকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এবিষয়ে অভিযুক্ত ফরিদ উদ্দিন চাপরাশির সাথে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন ঘটনা আমার জানা নেই,তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে,মুজিব নগর ইউনিয় পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ওদুদ মিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি। দুলার হাট থানার অফিসার ইন চার্জ মোঃ মুরাদ হোসেন বলেন,এবিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।