ময়মনসিংহ , সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

চাঁদাবাজির ১০ লাখ টাকা ভাগ-বাটোয়ারার বিবরণ দিলেন রিয়াদ

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বহিষ্কৃত আহ্বায়ক সদস্য আবদুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ স্বীকার করেছেন, তিনি সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরের কাছ থেকে দশ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছেন।

রোববার (৩ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাত উল্লাহর খাস কামরায় দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তিনি এ কথা বলেন।

গত ২৭ জুলাই চাঁদাবাজির মামলায় রিয়াদকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে তিনি স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, জবানবন্দিতে রিয়াদ জানিয়েছেন, তিনি এবং তার সহযোগীরা প্রথমে ১০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেন। এর মধ্যে পাঁচ লাখ টাকা নিজে রাখেন এবং বাকি পাঁচ লাখ টাকা অন্যদের মধ্যে ভাগ করে দেন।

জবানবন্দিতে রিয়াদ আরও জানান, তারা সিদ্দিক আবু জাফরকে আওয়ামী লীগ ট্যাগ দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা আদায়ের চেষ্টা করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি ১০ লাখ টাকা দেন।

রিয়াদ স্বীকার করেন, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপু, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব—এরা সবাই এই ঘটনায় জড়িত। ২৬ জুলাই তারা বাদীর কাছ থেকে আরও ৪০ লাখ টাকা নিতে গুলশানের বাসায় গেলে পুলিশ পাঁচজনকে সেখানেই আটক করে।

রিয়াদ জানিয়েছেন, এই পাঁচজন ছাড়াও আরও দুই-তিনজন চাঁদাবাজিতে জড়িত ছিলেন। তিনি ও জানে আলম অপুই চাঁদাবাজির নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং গুলশানের আরও কয়েকজনের কাছ থেকেও চাঁদা আদায় করেছেন বলে স্বীকার করেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

চাঁদাবাজির ১০ লাখ টাকা ভাগ-বাটোয়ারার বিবরণ দিলেন রিয়াদ

আপডেট সময় ০৯:৫৬:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বহিষ্কৃত আহ্বায়ক সদস্য আবদুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ স্বীকার করেছেন, তিনি সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরের কাছ থেকে দশ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছেন।

রোববার (৩ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাত উল্লাহর খাস কামরায় দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তিনি এ কথা বলেন।

গত ২৭ জুলাই চাঁদাবাজির মামলায় রিয়াদকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে তিনি স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, জবানবন্দিতে রিয়াদ জানিয়েছেন, তিনি এবং তার সহযোগীরা প্রথমে ১০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেন। এর মধ্যে পাঁচ লাখ টাকা নিজে রাখেন এবং বাকি পাঁচ লাখ টাকা অন্যদের মধ্যে ভাগ করে দেন।

জবানবন্দিতে রিয়াদ আরও জানান, তারা সিদ্দিক আবু জাফরকে আওয়ামী লীগ ট্যাগ দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা আদায়ের চেষ্টা করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি ১০ লাখ টাকা দেন।

রিয়াদ স্বীকার করেন, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপু, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব—এরা সবাই এই ঘটনায় জড়িত। ২৬ জুলাই তারা বাদীর কাছ থেকে আরও ৪০ লাখ টাকা নিতে গুলশানের বাসায় গেলে পুলিশ পাঁচজনকে সেখানেই আটক করে।

রিয়াদ জানিয়েছেন, এই পাঁচজন ছাড়াও আরও দুই-তিনজন চাঁদাবাজিতে জড়িত ছিলেন। তিনি ও জানে আলম অপুই চাঁদাবাজির নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং গুলশানের আরও কয়েকজনের কাছ থেকেও চাঁদা আদায় করেছেন বলে স্বীকার করেন।