দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা ও কৌতুকশিল্পী ফিশ ভেঙ্কট আর নেই। শুক্রবার (১৮ জুলাই) হায়দরাবাদের একটি হাসপাতালে ৫৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। দীর্ঘ চার বছর ধরে কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন এই অভিনেতা। চিকিৎসকরা কিডনি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দিলেও পরিবারের পক্ষ থেকে ৫০ লাখ রুপির ব্যয় সামলানো সম্ভব হয়নি।
মূলত ভেঙ্কট রাজ নামেই জন্ম হলেও, ‘ফিশ ভেঙ্কট’ নামে পরিচিতি পেয়েছিলেন তিনি। শেষ নয় মাসে তার শারীরিক অবস্থা মারাত্মকভাবে অবনতি ঘটে। কিডনি পুরোপুরি বিকল হয়ে গেলে তাকে বডুপালের আরবিএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং কিছুদিন আগে ভেন্টিলেটরে নেওয়া হঅভিনেতার মেয়ে সরাসরি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছিলেন, তবে সাড়া মেলেনি বললেই চলে। যদিও অভিনেতা বিষ্বক সেন সামান্য সহায়তা হিসেবে ২ লাখ রুপি দেন। তবে আলোচিত অভিনেতা প্রভাসের সহায়তার বিষয়ে পরিবারের অভ্যন্তরে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া যায়।
চলতি মাসেই এর আগে এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে ভেঙ্কট রাজের মেয়ে শ্রাবন্তী জানিয়েছিলেন, আরেক সুপারস্টার প্রভাসের টিম তাদের আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। তিনি জানিয়েছিলেন যে তার বাবার শারীরিক অবস্থা মোটেও ভালো নয়। তার অবস্থা গুরুতর এবং তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। তার এখন কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট দরকার। এতে খরচ হবে মোটামুটি ৫০ লাখ রুপি। প্রভাসের সহকারীরা শ্রাবন্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং তাদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এমনকী ঠিক কবে ফিশ ভেঙ্কটের এই কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট হবে তা জানাতেও বলেছিলেন প্রভাসের টিম।
প্রায় ৮০টির বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন ফিশ ভেঙ্কট। ‘বানি’, ‘আদি’, ‘গব্বর সিং’, ‘অধুরস’, ‘ডিজে টিল্লু’সহ বহু ছবিতে তার তেলেঙ্গানার আঞ্চলিক টোনে করা কৌতুক চরিত্র জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তবে শুধুই কমেডি নয়, খল চরিত্রেও নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন তিনি।
২০০০ সালে ‘সাম্মাকা সারাক্কা’ চলচ্চিত্র দিয়ে চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার শুরু করা এই অভিনেতার শেষ ছবি ছিল ‘কফি উইথ আ কিলার’, যা চলতি বছরের জানুয়ারিতে মুক্তি পায়। অভিনয়ের আগে হায়দরাবাদের মুশিরাবাদে মাছের ব্যবসা করতেন বলে পরবর্তীতে তার নামের সঙ্গে যুক্ত হয় ‘ফিশ’ উপসর্গটি।
ফিশ ভেঙ্কট রেখে গেছেন স্ত্রী সুবর্ণা এবং মেয়ে শ্রাবন্তীকে। তার মৃত্যুতে তেলেগু চলচ্চিত্র অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। অনেক সহকর্মী ও ভক্তরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।