নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক উকিল হলের ডাইনিংয়ের খাবারে ব্লেড পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বুধবার (২৩ জুলাই) রাতে খাওয়ার সময় এক ছাত্র তার খাবারে ব্লেড পান বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী কৃষি বিভাগের মোহাম্মদ আমির বলেন, ‘আমি টিউশন করে ক্যাম্পাসে ফিরে অনেক ক্ষুধার্ত ছিলাম। বন্ধুরা মিলে ডাইনিং থেকে খাবার নিয়ে রুমে খেতে বসি। হঠাৎ ভাতের মধ্যে শক্ত কিছু অনুভব করি, আর সঙ্গে সঙ্গে দেখি ব্লেড। হাত কাটার মতো অনুভূতিও হয়েছিল।’
আরও বলেন, ‘এটা খুবই ভয়াবহ একটা বিষয়। খাবারের মধ্যে ব্লেড থাকাটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। যদি সেটা আমার মুখে যেত, তাহলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। ঘটনাটি জানালে ডাইনিং কর্মচারীরা দুঃখ প্রকাশ করেন। বাবুর্চি জানান, সম্ভবত চালের বস্তা কাটার সময় ব্লেডটি পড়ে গেছে। পরে আমাকে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এক হাজার টাকা অফার করা হয়। এর আগেও ডাইনিংয়ে পোকামাকড় পাওয়া গেছে, কিন্তু কেউ ব্যবস্থা নেয়নি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, ‘হলের ডাইনিংয়ের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কোনো বালাই নেই। মালেক হল ডাইনিংয়ে নিত্তদিনের ঘটনা এটা। কিছুদিন আগে একজন খাবারে মাছি পাওয়ার পর আবার চেঞ্জ করে খাবার নিলে তাতেও মাছি পাওয়া যায়।’
অন্য আরেক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, ‘বাসি ভাত পরিবেশন, এক তরকারির ঝোল দিয়ে সবকিছু চালানো, পুরোনো মাছ-মাংস গরম করে দেওয়া-এসব এখন নিয়মিত চিত্র।’
শিক্ষার্থীরা বলছেন, ‘প্রশাসনকে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার আগেই ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে ভবিষ্যতে বড় বিপদের আশঙ্কা থেকেই যায়।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাইনিং ম্যানেজারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কোনো সাড়া দেয়নি।
মালেক উকিল হলের প্রভোস্ট ড. মো. তসলিম মাহমুদ বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই সিরিয়াস। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি এবং দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল হক বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আমরা অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’